গত নির্বাচনে অংশ নিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে টেলিফোন করেছিলেন বলে জানিয়েছেন গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর। এমনকি ১২ কোটি টাকার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি করেন তিনি। ওষুধের কার্টনে করে টাকা নিয়ে আসা হয়েছিল। কিন্তু তিনি নিজের বিবেককে বিক্রি করে দেননি।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে পটুয়াখালী গণ অধিকার পরিষদ কার্যালয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন নুরুল হক নুর।
গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি বলেন, ‘গত সরকারের আমলে শেখ হাসিনা টেলিফোন করে আমাদের নির্বাচনে যেতে অনুরোধ করেন। গণভবনে নিয়ে গেছেন। গণভবনে গিয়ে আমরা মাথা বিক্রি করে দেইনি, বিবেক বিক্রি করে দেইনি। শেখ হাসিনার টেলিফোনে, ডিজিএফআই, এনএসআইয়ের চাপ; এরপর ওষুধের কার্টনে করে ১২ কোটি টাকা নিয়ে এসেছিল।’
তিনি বলেন, ‘আমরা যদি বিক্রি হয়ে যাই, তাহলে মানুষ হতাশ হবে। এই দেশে আর কিছু হবে না। যে কারণে স্রোতের বিপরীতে প্রতিকূল সময়ে আপসহীন থেকে পট পরিবর্তনের দিকে এগিয়ে গেছি।’
ভিপি নুর তার বক্তব্যের শেষ দিকে দু-একটি রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের সাম্প্রতিক কর্মকান্ড নিয়েও কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘পটুয়াখালীর মতো দেশের বিভিন্ন এলাকায় দু-একটি রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের উৎপাত শুরু হয়েছে। তারা বিভিন্ন জনকে হামলার হুমকি দিচ্ছেন। সাংবাদিকদের হয়রানি করছেন, ঢালাওভাবে আওয়ামী লীগের ট্যাগ দিচ্ছেন। মামলা বাণিজ্য শুরু হয়েছে। আন্দোলন করলো ছাত্র-জনতা আর এরা শুরু করেছে হামলা-মামলা, মিষ্টি খাওয়ার ব্যবসা। এরা যে মাথা গজিয়েছে, তা এখনই ভেঙে দিতে হবে।’
মতবিনিময় সভায় গণ অধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য কৃষিবিদ শহিদুল ইসলাম ফাহিম, জেলা সভাপতি নজরুল ইসলাম লিটু, সাধারণ সম্পাদক শাহ আলমসহ গণঅধিকার পরিষদের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।