ঢাকা ০৭:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

কম খরচে অধিক লাভ, করলা চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১২:৫৪:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০২৪
  • / ৩৫৩ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার বিস্তীর্ণ জমিতে করলার বাম্পার ফলন হয়েছে। ভালো ফলনে কৃষকদের মুখে ফুটেছে হাসি। অল্প সময় আর কম খরচে অধিক লাভজনক হওয়ায় গেল বছরের তুলনায় চলতি বছর করলার আবাদ হয়েছে ৩৫ হেক্টর বেশি জমিতে।

মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার জাগির, গড়পাড়া ও কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের কয়েকশ কৃষক বাণিজ্যিকভাবে করলার আবাদ করছেন। চলতি বছর ২২৫ হেক্টর জমিতে করলার আবাদ হয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় ৩৫ হেক্টর বেশি।

বিঘা প্রতি ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা খরচ হলেও কৃষকরা করলা বিক্রি করছেন লাখ টাকার বেশি। একদিকে কম খরচে অধিক লাভ, অন্যদিকে বাজারে করলার চাহিদা বাড়ায় কৃষকদের মুখে ফুটেছে হাসি।

এদিকে, করলার আবাদ ঘিরে উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নে গড়ে উঠেছে অস্থায়ী দুইটি আড়ত। স্থানীয় কৃষকরা সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত উৎপাদিত সবজি সেখানে বিক্রি করছেন। যাতে প্রতিদিন করলা বিক্রি হয় আড়ত দুটিতে লেনদেন হয় ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকা।

কৃষকদের উন্নত চাষাবাদ পদ্ধতিসহ বাজার ব্যবস্থাপনায় নানা পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। আগামী বছর চাষাবাদ আরো বৃদ্ধি পাওয়ার প্রত্যাশা কৃষি বিভাগের।

ড. রবীআহ নুর আহমেদ উপ-পরিচালক মানিকগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলেন, ‘করলার উৎপাদনকারী কৃষকরা একত্রিতভাবে একটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন, আর তা হলো উৎপাদিত করলা একত্রে জড়ো করে ঢাকাসহ অন্যান্য যে-সব পাইকারি ক্রেতা রয়েছে তাদের নিকট সরাসরি বিক্রি করা হবে। আর এ পদ্ধতি অবলম্বন করার ফলে উৎপাদনকারী কৃষকেরা ন্যায্য মূল্য প্রাপ্তি নিশ্চিত হচ্ছে।’

চলতি বছর মানিকগঞ্জে ৫৮০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের করলার আবাদ হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

কম খরচে অধিক লাভ, করলা চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের

আপডেট সময় : ১২:৫৪:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০২৪

মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার বিস্তীর্ণ জমিতে করলার বাম্পার ফলন হয়েছে। ভালো ফলনে কৃষকদের মুখে ফুটেছে হাসি। অল্প সময় আর কম খরচে অধিক লাভজনক হওয়ায় গেল বছরের তুলনায় চলতি বছর করলার আবাদ হয়েছে ৩৫ হেক্টর বেশি জমিতে।

মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার জাগির, গড়পাড়া ও কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের কয়েকশ কৃষক বাণিজ্যিকভাবে করলার আবাদ করছেন। চলতি বছর ২২৫ হেক্টর জমিতে করলার আবাদ হয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় ৩৫ হেক্টর বেশি।

বিঘা প্রতি ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা খরচ হলেও কৃষকরা করলা বিক্রি করছেন লাখ টাকার বেশি। একদিকে কম খরচে অধিক লাভ, অন্যদিকে বাজারে করলার চাহিদা বাড়ায় কৃষকদের মুখে ফুটেছে হাসি।

এদিকে, করলার আবাদ ঘিরে উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নে গড়ে উঠেছে অস্থায়ী দুইটি আড়ত। স্থানীয় কৃষকরা সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত উৎপাদিত সবজি সেখানে বিক্রি করছেন। যাতে প্রতিদিন করলা বিক্রি হয় আড়ত দুটিতে লেনদেন হয় ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকা।

কৃষকদের উন্নত চাষাবাদ পদ্ধতিসহ বাজার ব্যবস্থাপনায় নানা পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। আগামী বছর চাষাবাদ আরো বৃদ্ধি পাওয়ার প্রত্যাশা কৃষি বিভাগের।

ড. রবীআহ নুর আহমেদ উপ-পরিচালক মানিকগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলেন, ‘করলার উৎপাদনকারী কৃষকরা একত্রিতভাবে একটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন, আর তা হলো উৎপাদিত করলা একত্রে জড়ো করে ঢাকাসহ অন্যান্য যে-সব পাইকারি ক্রেতা রয়েছে তাদের নিকট সরাসরি বিক্রি করা হবে। আর এ পদ্ধতি অবলম্বন করার ফলে উৎপাদনকারী কৃষকেরা ন্যায্য মূল্য প্রাপ্তি নিশ্চিত হচ্ছে।’

চলতি বছর মানিকগঞ্জে ৫৮০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের করলার আবাদ হয়েছে।