ঢাকা ০৮:০৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

গণতন্ত্রকে বিকশিত করতে দলকে নিষিদ্ধ নয়, মত বিশেষজ্ঞদের

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১২:২৮:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০২৪
  • / ৩৬৯ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

গণতন্ত্রকে বিকশিত করতে কোনো দলকে নিষিদ্ধ নয়, বরং নতুন দল গঠনের পক্ষে বিশ্লেষকেরা। তাঁদের মতে, নতুন রাজনৈতিক শক্তির উত্থানে শঙ্কিত না হয়ে, বড় দলগুলোর স্বাগত জানানো উচিত। কেননা, জনমতের তোয়াক্কা না করে প্রতিপক্ষকে নির্মূলের রাজনীতি দেশের গণতন্ত্রকে সংকুচিত করেছে। ধ্বংস করেছে সাংবিধানিক ও গুরুত্বপূর্ণ সব প্রতিষ্ঠানকে।

স্বাধীনতার পর দেশে জাতীয় নির্বাচন হয়েছে ১২টি। এর চারটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে। বাকিগুলো দলীয় সরকার বা সামরিক শাসনে। এরমধ্যে আওয়ামী লীগের জয় ৬টিতে ও বিএনপির ৪টি। জাতীয় পার্টি দুবার জয়ী হয়ে সরকার গঠন করে।

গত ৫৪ বছরে জনআকাঙ্খার বেশিরভাগই পূরণ করতে পারেনি অধিকাংশ সরকার। বরং ব্যর্থতা ঢাকতে অবতীর্ণ হয়েছে স্বৈরাচারের ভূমিকায়। তাই গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ফের তৃতীয় রাজনৈতিক শক্তির উত্থান নিয়ে আলোচনা। যা নিয়ে বড় দলেও তৈরি হয়েছে নতুন শঙ্কা।

গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র পরিষদের আহ্বায়ক শেখ আব্দুন নূর, ‘একটা বা দুইটা নির্বাচন মোটামুটি হলেও পরের নির্বাচনগুলো দেশকে আগ্রাসনের দিকে ঠেলে দিয়েছে, ফ্যাসিস্ট তৈরি করেছে বিভিন্ন দলকে। দেশের কোনো রাজনৈতিক দলই জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে পারেনি।’

গণহত্যার অভিযোগে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের জোর দাবি ছাত্রদের। আরও ১১টি দলের কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধের দাবিতে রিট করেও তা তুলে নেয় ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। যা নিয়ে চলছে নানা গুঞ্জন।

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘বিশেষ করে যারা যখন ক্ষমতায় ছিলেন তাঁদের এর জন্য দায় নিতে হবে। এবারের অভ্যুত্থান প্রমাণ করেছে পুরনো-পচে যাওয়া রাজনীতির মধ্যে আমাদের ফিরে যাওয়ার আর সুযোগ নেই।’

রাজনীতিকে মোকাবিলা করতে হয় রাজনীতি দিয়ে। তাই দলীয় নেতার একচ্ছত্র বা সামষ্টিক দায়ে কোনো দলকে নিষিদ্ধ করা সমীচীন নয় বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। তাঁদের মতে, দলগুলোতে ব্যাপক সংস্কার ও গণতান্ত্রিক চর্চা প্রয়োজন।

লেখক ও বিশ্লেষক ডা. জাহেদ উর রহমান বলেন, ‘দেশের যে পথে যাওয়ার কথা ছিল, যতটা গণতান্ত্রিক হওয়ার কথা ছিল ততটা হয়নি। এর জন্য দল নিষিদ্ধ করে দেব, এটা ভুল ধারণা। এটা একধরনের স্বৈরতান্ত্রিক মানসিকতা। যদি নিষিদ্ধ নিয়ে জনমত তৈরি হয়, তবে সেই জনমত নিয়েই নতুন দল গঠন করা যেতে পারে।’

কোনো দলকে নিষিদ্ধ করে নয়, সঠিক নেতৃত্ব তৈরি ও দেশ গঠনে তরুণদেরও দল গঠন করা উচিত বলে মনে করেন এই বিশ্লেষক।

নিউজটি শেয়ার করুন

গণতন্ত্রকে বিকশিত করতে দলকে নিষিদ্ধ নয়, মত বিশেষজ্ঞদের

আপডেট সময় : ১২:২৮:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০২৪

গণতন্ত্রকে বিকশিত করতে কোনো দলকে নিষিদ্ধ নয়, বরং নতুন দল গঠনের পক্ষে বিশ্লেষকেরা। তাঁদের মতে, নতুন রাজনৈতিক শক্তির উত্থানে শঙ্কিত না হয়ে, বড় দলগুলোর স্বাগত জানানো উচিত। কেননা, জনমতের তোয়াক্কা না করে প্রতিপক্ষকে নির্মূলের রাজনীতি দেশের গণতন্ত্রকে সংকুচিত করেছে। ধ্বংস করেছে সাংবিধানিক ও গুরুত্বপূর্ণ সব প্রতিষ্ঠানকে।

স্বাধীনতার পর দেশে জাতীয় নির্বাচন হয়েছে ১২টি। এর চারটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে। বাকিগুলো দলীয় সরকার বা সামরিক শাসনে। এরমধ্যে আওয়ামী লীগের জয় ৬টিতে ও বিএনপির ৪টি। জাতীয় পার্টি দুবার জয়ী হয়ে সরকার গঠন করে।

গত ৫৪ বছরে জনআকাঙ্খার বেশিরভাগই পূরণ করতে পারেনি অধিকাংশ সরকার। বরং ব্যর্থতা ঢাকতে অবতীর্ণ হয়েছে স্বৈরাচারের ভূমিকায়। তাই গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ফের তৃতীয় রাজনৈতিক শক্তির উত্থান নিয়ে আলোচনা। যা নিয়ে বড় দলেও তৈরি হয়েছে নতুন শঙ্কা।

গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র পরিষদের আহ্বায়ক শেখ আব্দুন নূর, ‘একটা বা দুইটা নির্বাচন মোটামুটি হলেও পরের নির্বাচনগুলো দেশকে আগ্রাসনের দিকে ঠেলে দিয়েছে, ফ্যাসিস্ট তৈরি করেছে বিভিন্ন দলকে। দেশের কোনো রাজনৈতিক দলই জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে পারেনি।’

গণহত্যার অভিযোগে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের জোর দাবি ছাত্রদের। আরও ১১টি দলের কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধের দাবিতে রিট করেও তা তুলে নেয় ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। যা নিয়ে চলছে নানা গুঞ্জন।

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘বিশেষ করে যারা যখন ক্ষমতায় ছিলেন তাঁদের এর জন্য দায় নিতে হবে। এবারের অভ্যুত্থান প্রমাণ করেছে পুরনো-পচে যাওয়া রাজনীতির মধ্যে আমাদের ফিরে যাওয়ার আর সুযোগ নেই।’

রাজনীতিকে মোকাবিলা করতে হয় রাজনীতি দিয়ে। তাই দলীয় নেতার একচ্ছত্র বা সামষ্টিক দায়ে কোনো দলকে নিষিদ্ধ করা সমীচীন নয় বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। তাঁদের মতে, দলগুলোতে ব্যাপক সংস্কার ও গণতান্ত্রিক চর্চা প্রয়োজন।

লেখক ও বিশ্লেষক ডা. জাহেদ উর রহমান বলেন, ‘দেশের যে পথে যাওয়ার কথা ছিল, যতটা গণতান্ত্রিক হওয়ার কথা ছিল ততটা হয়নি। এর জন্য দল নিষিদ্ধ করে দেব, এটা ভুল ধারণা। এটা একধরনের স্বৈরতান্ত্রিক মানসিকতা। যদি নিষিদ্ধ নিয়ে জনমত তৈরি হয়, তবে সেই জনমত নিয়েই নতুন দল গঠন করা যেতে পারে।’

কোনো দলকে নিষিদ্ধ করে নয়, সঠিক নেতৃত্ব তৈরি ও দেশ গঠনে তরুণদেরও দল গঠন করা উচিত বলে মনে করেন এই বিশ্লেষক।