ইরাকের ভূখণ্ড থেকে এবার ইসরায়েলে হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে ইরান। আগামী ৫ নভেম্বরের মার্কিন নির্বাচনের আগেই এই হামলা হতে পারে। ইসরায়েলি গোয়েন্দাদের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে অ্যাক্সিওস।

ইসরায়েলি দুটি সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি জানায়, অসংখ্য ড্রোন ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে ইরান।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ইরাক থেকে ইরানপন্থী মিলিশিয়াদের দিয়ে হামলা চালানোর মাধ্যমে ইরান ইসরায়েলের প্রতিশোধমূলক হামলা এড়াতে চাইছে।

সম্প্রতি মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনেও জানানো হয় , আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগেই ইসরায়েলকে হামলার জবাব দেবে ইরান।

এমন অবস্থায় ইসরায়েলের মিত্র যুক্তরাষ্ট্র বলছে, কোনো অবস্থাতেই নতুন করে হামলা চালানো উচিত হবে না ইরানের।

হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র জিন-পিয়েরে বলেন, ‘ইসরায়েলে প্রতিশোধমূলক হামলার জবাব ইরানের দেওয়া উচিত নয়।’

তিনি বলেন, ‘যদি তারা হামলা করে, ‘আমরা আত্মরক্ষার জন্য ইসরায়েলকে সমর্থন করব; কিন্তু সেটা করা তাদের উচিত নয়।’

এদিকে ইসরায়েল তেহরানকে আগেই সতর্ক করে বলেছে, আর কোনো হামলা হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরুল্লাহকে হত্যার পর গত পহেলা অক্টোবর ইসরাইলকে লক্ষ্য করে প্রায় ২০০ ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছিল ইরান। তবে এসব ক্ষেপণাস্ত্রের অধিকাংশ লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার আগেই ভূপাতিত করার দাবি করে ইসরাইল। নেতানিয়াহুর দেশ হামলায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও গোপন করেছে বলে ধারণা করা হয়। যদিও ওই হামলার পর ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছিলেন, ইরান ‘বড় ভুল করেছে’ এবং ‘এর মাশুল দিতে হবে’।

ইসরাইল হামলার জবাবে গত ২৬শে অক্টোবর ইরানের তিন প্রদেশে হামলা চালায়। এতে ইরানের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে দাবি করে ইসরাইল। তবে ইরান হামলার পর তাদের খুব বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বললেও পরবর্তীতে হামলার তীব্রতা পর্যবেক্ষণ ও চার সেনার মৃত্যুর খবর জানায়।

তবে হামলায় নিজেদের ‘সব লক্ষ্য অর্জিত হয়েছে’ বলে সফলতার দাবি করেন নেতানিয়াহু। হামলার পর ইসরাইল হুঁশিয়ারি দিয়েছে, ফের ইরান হামলা করলে তার কড়া জবাব দেয়া হবে। এদিকে, ইসরাইলি হামালার পর যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য ইরানকে ফের হামলা না চালানোর আহ্বান জানিয়েছে।