ঢাকা ১২:৩২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

আজ থেকে কাঁচাবাজারেও নিষিদ্ধ পলিথিন

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১১:২৪:৩৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০২৪
  • / ৩৫৭ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সুপারশপের পর কাঁচাবাজারেও আজ থেকে নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যাগ। একইসঙ্গে পলিথিন উৎপাদন ও ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধেও চালানো হবে অভিযান।

সরবরাহকারীরা বলছেন, পলিথিন নিষিদ্ধ হলেও বিকল্প কিছু নেই তাদের কাছে। বিক্রেতারা বলছেন, বিকল্প কিছু না থাকায় সমস্যা তৈরি হচ্ছে।

গত ২৪ সেপ্টেম্বর এক মতবিনিময় সভায় পলিথিন নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত জানান বনও পরিবেশ বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এ উদ্যোগকে স্বাগত জানালেও তা বাস্তবায়ন কঠিন বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের পরামর্শ, শুরুতেই বাজারে নয়, পলিথিন উৎপাদন ও বাজারজাতকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। পাশাপাশি পাটসহ পরিবেশবান্ধব ব্যাগ ব্যবহারে সচেতনতা বাড়ানোর পরামর্শ তাঁদের।

বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) সমন্বয়কারী লিংকন গায়েন বলেন, ‘এটা সত্য যে পলিথিন পরিবেশ, খাল–নদী ও মাটির জন্য বিপদজ্জনক, সেজন্য এটি বন্ধ হওয়া দরকার। পাশাপাশি এটিও সত্য যে বাজারে বিকল্প সামগ্রী না দেওয়ায় বিভিন্ন সময় সরকারের নেওয়া পলিথিন বন্ধের ঘোষণা সুফল পায়নি। এবারেও আমরা মনে করি যে সাধারণ মানুষ এখনও প্রস্তুত হয়ে উঠতে পারেনি। এখনও বিকল্প কিছু বাজারে আসেনি। এ অবস্থায় পর্যায়ক্রমে পলিথিন বন্ধের বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে।’

দেশে ২০০২ সালে পলিথিন নিষিদ্ধ করা হয়। কিন্তু গত দুই দশকের বেশি সময় নজরদারি ও আইনের প্রয়োগ না থাকায় তা ভুলেই গেছেন সাধারণ মানুষ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আজ থেকে কাঁচাবাজারেও নিষিদ্ধ পলিথিন

আপডেট সময় : ১১:২৪:৩৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০২৪

সুপারশপের পর কাঁচাবাজারেও আজ থেকে নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যাগ। একইসঙ্গে পলিথিন উৎপাদন ও ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধেও চালানো হবে অভিযান।

সরবরাহকারীরা বলছেন, পলিথিন নিষিদ্ধ হলেও বিকল্প কিছু নেই তাদের কাছে। বিক্রেতারা বলছেন, বিকল্প কিছু না থাকায় সমস্যা তৈরি হচ্ছে।

গত ২৪ সেপ্টেম্বর এক মতবিনিময় সভায় পলিথিন নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত জানান বনও পরিবেশ বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এ উদ্যোগকে স্বাগত জানালেও তা বাস্তবায়ন কঠিন বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের পরামর্শ, শুরুতেই বাজারে নয়, পলিথিন উৎপাদন ও বাজারজাতকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। পাশাপাশি পাটসহ পরিবেশবান্ধব ব্যাগ ব্যবহারে সচেতনতা বাড়ানোর পরামর্শ তাঁদের।

বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) সমন্বয়কারী লিংকন গায়েন বলেন, ‘এটা সত্য যে পলিথিন পরিবেশ, খাল–নদী ও মাটির জন্য বিপদজ্জনক, সেজন্য এটি বন্ধ হওয়া দরকার। পাশাপাশি এটিও সত্য যে বাজারে বিকল্প সামগ্রী না দেওয়ায় বিভিন্ন সময় সরকারের নেওয়া পলিথিন বন্ধের ঘোষণা সুফল পায়নি। এবারেও আমরা মনে করি যে সাধারণ মানুষ এখনও প্রস্তুত হয়ে উঠতে পারেনি। এখনও বিকল্প কিছু বাজারে আসেনি। এ অবস্থায় পর্যায়ক্রমে পলিথিন বন্ধের বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে।’

দেশে ২০০২ সালে পলিথিন নিষিদ্ধ করা হয়। কিন্তু গত দুই দশকের বেশি সময় নজরদারি ও আইনের প্রয়োগ না থাকায় তা ভুলেই গেছেন সাধারণ মানুষ।