ঢাকা ০৫:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

দুই বছরে ৫ লাখ কর্মসংস্থান তৈরি করা হবে: উপদেষ্টা আসিফ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০১:১৬:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০২৪
  • / ৩৪৯ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

যুব সমাজের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সরকারের বেশকিছু পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেছেন যুব ও ক্রীড়া এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। তিনি বলেন, যুব প্রশিক্ষণ ও যুব ঋণের মাধ্যমে উদ্যোক্তা তৈরি করে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করছে সরকার। বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতায় ৯ লাখ যুবককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে, যারা কোনো শিক্ষা বা কাজে নেই। আগামী দুই বছরে ৫ লাখ কর্মসংস্থান তৈরি করা হবে।’

শুক্রবার (১ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় যুব দিবসের আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।

আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের ম্যান্ডেট নিয়ে এই সরকার গড়ে উঠেছে। সংস্কার কার্যক্রমে যুবসমাজের সহযোগিতা ও মতামত প্রত্যাশা করে সরকার।’

তিনি বলেন, ‘৫ আগস্টের পর যারা ট্রাফিক কাজে যুক্ত হয়েছিল, তাদের আরও প্রশিক্ষণ শেষে সহ-পুলিশ হিসেবে নিয়োগ কার্যক্রম চলমান আছে। সাংবিধানিক ও কাঠামোগত সংস্কারের মাধ্যমে সমতা প্রতিষ্ঠার যে লক্ষ্য সেখানে সহায়ক ভূমিকায় থাকবে যুব সমাজ।’

যুব উপদেষ্টা বলেন, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পরে জাতীয় যে নৈতিক বুস্টিং হয়েছে তারই ফল হিসেবে ক্রীড়া ক্ষেত্রে আমাদের বেশকিছু অর্জন এসেছে।’

অনুষ্ঠানে তথ্য ও সম্প্রচার এবং আইসিটি উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘যে প্রজন্ম জুলাই অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে একটি নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছে, তারাই আগামীর বাংলাদেশ গড়ার দায়িত্ব নেবে। প্রমাণ করতে হবে, যে প্রজন্ম স্বপ্ন দেখতে পারে, তারা স্বপ্ন পূরণও করতে পারে। মাতৃভূমি অথবা মৃত্যু এর যেকোনো একটিকে বরণ করে নেওয়ার প্রতিজ্ঞা নিয়ে জুলাই বিপ্লব হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘তারুণ্যই হবে দেশের চালিকাশক্তি। দেশ গঠনের যে সময় সেখানে তরুণরাই এগিয়ে আসবে।’

নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘জুলাই আন্দোলন শুরু হয়েছিল মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র গড়ে তুলতে। মেধাভিত্তিক দেশ গঠনের যে কার্যক্রম সেটি শুধু সরকারি চাকরিতে নয়, সব পেশায় বজায় রাখতে হবে। সবচেয়ে বেশি কর্মশক্তি থাকে তরুণদের। কিন্তু দেশে কর্মসংস্থানের অভাব আছে। প্রচুর কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হবে। এ ক্ষেত্রে প্রযুক্তি খাত কাজে আসতে পারে।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় এ বছরের জাতীয় যুব দিবসের আয়োজন। ‘দক্ষ যুব গড়বে দেশ, বৈষম্যহীন বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্যে যুব দিবসের আলোচনায় যোগ দেন আরেক উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

নিউজটি শেয়ার করুন

দুই বছরে ৫ লাখ কর্মসংস্থান তৈরি করা হবে: উপদেষ্টা আসিফ

আপডেট সময় : ০১:১৬:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০২৪

যুব সমাজের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সরকারের বেশকিছু পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেছেন যুব ও ক্রীড়া এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। তিনি বলেন, যুব প্রশিক্ষণ ও যুব ঋণের মাধ্যমে উদ্যোক্তা তৈরি করে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করছে সরকার। বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতায় ৯ লাখ যুবককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে, যারা কোনো শিক্ষা বা কাজে নেই। আগামী দুই বছরে ৫ লাখ কর্মসংস্থান তৈরি করা হবে।’

শুক্রবার (১ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় যুব দিবসের আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।

আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের ম্যান্ডেট নিয়ে এই সরকার গড়ে উঠেছে। সংস্কার কার্যক্রমে যুবসমাজের সহযোগিতা ও মতামত প্রত্যাশা করে সরকার।’

তিনি বলেন, ‘৫ আগস্টের পর যারা ট্রাফিক কাজে যুক্ত হয়েছিল, তাদের আরও প্রশিক্ষণ শেষে সহ-পুলিশ হিসেবে নিয়োগ কার্যক্রম চলমান আছে। সাংবিধানিক ও কাঠামোগত সংস্কারের মাধ্যমে সমতা প্রতিষ্ঠার যে লক্ষ্য সেখানে সহায়ক ভূমিকায় থাকবে যুব সমাজ।’

যুব উপদেষ্টা বলেন, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পরে জাতীয় যে নৈতিক বুস্টিং হয়েছে তারই ফল হিসেবে ক্রীড়া ক্ষেত্রে আমাদের বেশকিছু অর্জন এসেছে।’

অনুষ্ঠানে তথ্য ও সম্প্রচার এবং আইসিটি উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘যে প্রজন্ম জুলাই অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে একটি নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছে, তারাই আগামীর বাংলাদেশ গড়ার দায়িত্ব নেবে। প্রমাণ করতে হবে, যে প্রজন্ম স্বপ্ন দেখতে পারে, তারা স্বপ্ন পূরণও করতে পারে। মাতৃভূমি অথবা মৃত্যু এর যেকোনো একটিকে বরণ করে নেওয়ার প্রতিজ্ঞা নিয়ে জুলাই বিপ্লব হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘তারুণ্যই হবে দেশের চালিকাশক্তি। দেশ গঠনের যে সময় সেখানে তরুণরাই এগিয়ে আসবে।’

নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘জুলাই আন্দোলন শুরু হয়েছিল মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র গড়ে তুলতে। মেধাভিত্তিক দেশ গঠনের যে কার্যক্রম সেটি শুধু সরকারি চাকরিতে নয়, সব পেশায় বজায় রাখতে হবে। সবচেয়ে বেশি কর্মশক্তি থাকে তরুণদের। কিন্তু দেশে কর্মসংস্থানের অভাব আছে। প্রচুর কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হবে। এ ক্ষেত্রে প্রযুক্তি খাত কাজে আসতে পারে।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় এ বছরের জাতীয় যুব দিবসের আয়োজন। ‘দক্ষ যুব গড়বে দেশ, বৈষম্যহীন বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্যে যুব দিবসের আলোচনায় যোগ দেন আরেক উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।