ঢাকা ০৮:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১৮ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ট্রাম্পের দিকে ঝুঁকছেন আরব-আমেরিকানরা

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০২:১৫:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ নভেম্বর ২০২৪
  • / ৩৪৮ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

গাজা ইস্যুতে বাইডেন প্রশাসনের অবস্থানকে বিশ্বাসঘাতকতা হিসেবে দেখছেন মার্কিন মুসলিমরা। আর তাই নির্বাচন সামনে রেখে ডেমোক্র্যাটদের শক্ত জবাব দিতে ট্রাম্পের দিকে ঝুঁকছেন আরব-আমেরিকান ভোটাররা, এমনটাই উঠে আসছে জরিপে। অন্যদিকে, গেলো ৪৫ বছরের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে ইহুদিবিদ্বেষ সর্বোচ্চ এখন, ভুক্তভোগী ৩৫ লাখ মার্কিন ইহুদি। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে একাধিক জরিপে করা হয় এ দাবি, যাকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছেন রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প।

চূড়ান্ত ধাপে এসে পৌঁছেছে নির্বাচনী দৌড়। সময় গড়ানোর সাথে মুসলিম ভোটারদের জন্য কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে প্রার্থী বাছাইয়ের সিদ্ধান্ত।

ঐতিহাসিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিমদের সমর্থনের পাল্লা ভারী ডেমোক্র্যাটদের দিকে। কিন্তু অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় চলমান রক্তক্ষয়ী আগ্রাসন চালাতে থাকা ইসরাইলকে শত-কোটি ডলারের সামরিক সহায়তা ও সমর্থন অব্যাহত রাখায় ক্ষোভ বাড়ছে বর্তমান মার্কিন প্রশাসনের প্রতি।

এবারের ভোটযুদ্ধে যে সাত অঙ্গরাজ্যের ফল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে, অর্থাৎ সুইং স্টেটসের একটি মিশিগান; যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বেশি আরব-আমেরিকানদের বাস। শুধু ডিয়ারবর্ন শহরেই মুসলিম জনসংখ্যা প্রায় ৫৫ হাজার। এদের অনেকেই ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কামালা হ্যারিসকে গাজায় ফিলিস্তিনি হত্যাযজ্ঞের শাস্তি দিতে ভোট দিতে পারেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে, এমন শঙ্কা ঘিরে ধরেছে ডেমোক্রেটিক শিবিরকে।

আরব-আমেরিকানদের একজন বলেন, ‘হ্যারিসকে ছুঁড়ে ফেলবো আমরা। বাইডেন প্রশাসন, হ্যারিস প্রশাসন সবাইকে শাস্তি দেবো। হোয়াইট হাউজে কিছুতেই আমরা হ্যারিসকে দেখতে চাই না। বরং তারা হারলে সে দোষের ভাগ নিতে চাই।’

আরব নিউজের জরিপ বলছে, আরব-আমেরিকান ভোটারদের সমর্থনে কামালাকে ছাড়িয়ে গেছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংকটের সমাধান কার হাত ধরে আসবে, এ প্রশ্নের জবাবে রিপাবলিকান প্রার্থীর প্রতি সমর্থন বেশি ছিল ছয় শতাংশ। মধ্যপ্রাচ্যে সামগ্রিকভাবে কার ভূমিকা ভালো হবে, সে প্রশ্নে দুই নেতার প্রতি জনসমর্থন সমান।

এরই মধ্যে একই অঙ্গরাজ্যে মুসলিম অধ্যুষিত শহরের দুজন ডেমোক্র্যাট মেয়রসহ এরই মধ্যে মুসলিমদের একাংশের সমর্থন নিশ্চিত করে ফেলেছেন রিপাবলিকান প্রার্থী। আরব-আমেরিকান ভোটাররা প্রার্থী বাছাইয়ে কোন বিষয়টিতে সবচেয়ে গুরুত্ব দিচ্ছেন, সে প্রশ্নে সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছে ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংকট ইস্যুতে। সবমিলিয়ে গাজা ইস্যুতে বাইডেন প্রশাসনের অবস্থানকে বিশ্বাসঘাতকতা হিসেবে দেখছেন মার্কিন মুসলিমরা।

আরব-আমেরিকান ভোটারদের একজন বলেন, ‘আমাদের সাহায্য না করলে আরব আর মুসলিমদের ভোট কেউ পাবে না। তারা ধরেই নিয়েছে যে আমরা ফেলনা, আমরা পরিত্যক্ত। অথচ গত কয়েক দশকে তাদের পেছনে কত সময় আর অর্থ ব্যয় করেছি আমরা।’

২০২০ সালের নির্বাচনে জয়ী বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের তুলনায় এবারের নির্বাচনে আরব-আমেরিকান ভোটারদের সমর্থন ১৮ শতাংশ কমেছে ডেমোক্র্যাট শিবিরে। কিন্তু ইসরাইলের বর্তমান সরকারের সঙ্গে যে ঘনিষ্ঠতা আরও বেশি সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের, ভোলেননি অনেকেই। বিগত মেয়াদে পূর্ব জেরুজালেমকে ট্রাম্প ঘোষণা করেছিলেন ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে। সে ইতিহাস মনে রেখে অনেক মুসলিম ভোটার ট্রাম্প-কামালা দুজনকেই বাদ দিয়ে ক্ষোভ প্রকাশে ভোট দেবেন তৃতীয় প্রেসিডেন্ট প্রার্থী গ্রিন পার্টির জিল স্টেইনকে।

ভোটারদের একজন বলেন, ‘তারা দুইজন একই গোত্রের। আমি নিঃসন্দেহে তাদের কাউকেই ভোট দেবো না। মিশিগান আর ডিয়ারবর্ন এলাকার অনেক মানুষই আসলে বলছে যে ট্রাম্প-কামালাকে নয়, তারা ভোট দেবে অন্য কাউকে।’

ইসরাইলের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের অবিচ্ছেদ্য মিত্রতা ছয় দশকের বেশি সময়ের। বিপদে সঙ্গী তো হয়েছেই, ভূমি দখল থেকে শুরু করে ফিলিস্তিনি গণহত্যা- সব কুকর্মে ইসরাইলকে প্রকাশ্য সমর্থন দিয়ে গেছে যুক্তরাষ্ট্রের সকল প্রশাসন। ব্যতিক্রম নয় বর্তমান বাইডেন-কামালা প্রশাসনও। তাই বাইডেনের চেয়ে কামালার জনপ্রিয়তা বেশি হলেও তার জয়ে আরব জনগোষ্ঠীর ওপর তেমন প্রভাব পড়বে না বলে মত যুক্তরাষ্ট্রের ফিলিস্তিনি অধিকার কর্মীদের।

আনকমিটেডের ফিলিস্তিনি অধিকার কর্মী ও সহ-প্রতিষ্ঠাতা লায়লা এলাবেদ বলেন, ‘বাইডেনকে নিয়ে ভোটারদের মোহভঙ্গ হয়েছিল। তাই তার বদলে কামালা প্রার্থী হওয়ার পর ডেমোক্র্যাটদের প্রতি সমর্থন বেড়েছে। কিন্তু এতে গাজায় আমাদের প্রিয়জনদের ভাগ্য বদলায়নি, পশ্চিম তীরেও অবৈধ দখলদারদের সহিংসতা বন্ধ হয়নি। এখন তো লেবাননের সাথেও গাজার মতো একই আচরণ করছে নেতানিয়াহু আর ইসরাইলি সেনাবাহিনী।’

অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে ইহুদিরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে দাবি ইউনিভার্সিটি অব মায়ামির জরিপে। বলা হয়, গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনের এক বছরে যুক্তরাষ্ট্রে ইহুদিবিদ্বেষের শিকার ৩৫ লাখ মার্কিন ইহুদি। অ্যান্টি ডিফেমেশন লিগের পৃথক জরিপে দাবি, ১৯৭৯ সালের পর মার্কিন ভূখণ্ডে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে ইহুদিবিদ্বেষী ঘটনা। চলতি বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এক বছরে এ ধরনের ১০ হাজারের বেশি ঘটনা লিপিবদ্ধ করেছে সংস্থাটি, যা আগের বছরের তুলনায় ২শ’ শতাংশ বেশি।

৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে প্রকাশ হয় এসব জরিপ; যখন বাতাসে জোর গুঞ্জন, ঘনিষ্ঠতম মিত্র দেশের রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তন চান ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী। আর এ কারণেই বাইডেন প্রশাসনকে বিপাকে ফেলতে গাজায় অস্ত্রবিরতি বারবার ঠেকিয়ে দিচ্ছেন বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্রাম্পের দিকে ঝুঁকছেন আরব-আমেরিকানরা

আপডেট সময় : ০২:১৫:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ নভেম্বর ২০২৪

গাজা ইস্যুতে বাইডেন প্রশাসনের অবস্থানকে বিশ্বাসঘাতকতা হিসেবে দেখছেন মার্কিন মুসলিমরা। আর তাই নির্বাচন সামনে রেখে ডেমোক্র্যাটদের শক্ত জবাব দিতে ট্রাম্পের দিকে ঝুঁকছেন আরব-আমেরিকান ভোটাররা, এমনটাই উঠে আসছে জরিপে। অন্যদিকে, গেলো ৪৫ বছরের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে ইহুদিবিদ্বেষ সর্বোচ্চ এখন, ভুক্তভোগী ৩৫ লাখ মার্কিন ইহুদি। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে একাধিক জরিপে করা হয় এ দাবি, যাকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছেন রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প।

চূড়ান্ত ধাপে এসে পৌঁছেছে নির্বাচনী দৌড়। সময় গড়ানোর সাথে মুসলিম ভোটারদের জন্য কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে প্রার্থী বাছাইয়ের সিদ্ধান্ত।

ঐতিহাসিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিমদের সমর্থনের পাল্লা ভারী ডেমোক্র্যাটদের দিকে। কিন্তু অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় চলমান রক্তক্ষয়ী আগ্রাসন চালাতে থাকা ইসরাইলকে শত-কোটি ডলারের সামরিক সহায়তা ও সমর্থন অব্যাহত রাখায় ক্ষোভ বাড়ছে বর্তমান মার্কিন প্রশাসনের প্রতি।

এবারের ভোটযুদ্ধে যে সাত অঙ্গরাজ্যের ফল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে, অর্থাৎ সুইং স্টেটসের একটি মিশিগান; যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বেশি আরব-আমেরিকানদের বাস। শুধু ডিয়ারবর্ন শহরেই মুসলিম জনসংখ্যা প্রায় ৫৫ হাজার। এদের অনেকেই ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কামালা হ্যারিসকে গাজায় ফিলিস্তিনি হত্যাযজ্ঞের শাস্তি দিতে ভোট দিতে পারেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে, এমন শঙ্কা ঘিরে ধরেছে ডেমোক্রেটিক শিবিরকে।

আরব-আমেরিকানদের একজন বলেন, ‘হ্যারিসকে ছুঁড়ে ফেলবো আমরা। বাইডেন প্রশাসন, হ্যারিস প্রশাসন সবাইকে শাস্তি দেবো। হোয়াইট হাউজে কিছুতেই আমরা হ্যারিসকে দেখতে চাই না। বরং তারা হারলে সে দোষের ভাগ নিতে চাই।’

আরব নিউজের জরিপ বলছে, আরব-আমেরিকান ভোটারদের সমর্থনে কামালাকে ছাড়িয়ে গেছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংকটের সমাধান কার হাত ধরে আসবে, এ প্রশ্নের জবাবে রিপাবলিকান প্রার্থীর প্রতি সমর্থন বেশি ছিল ছয় শতাংশ। মধ্যপ্রাচ্যে সামগ্রিকভাবে কার ভূমিকা ভালো হবে, সে প্রশ্নে দুই নেতার প্রতি জনসমর্থন সমান।

এরই মধ্যে একই অঙ্গরাজ্যে মুসলিম অধ্যুষিত শহরের দুজন ডেমোক্র্যাট মেয়রসহ এরই মধ্যে মুসলিমদের একাংশের সমর্থন নিশ্চিত করে ফেলেছেন রিপাবলিকান প্রার্থী। আরব-আমেরিকান ভোটাররা প্রার্থী বাছাইয়ে কোন বিষয়টিতে সবচেয়ে গুরুত্ব দিচ্ছেন, সে প্রশ্নে সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছে ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংকট ইস্যুতে। সবমিলিয়ে গাজা ইস্যুতে বাইডেন প্রশাসনের অবস্থানকে বিশ্বাসঘাতকতা হিসেবে দেখছেন মার্কিন মুসলিমরা।

আরব-আমেরিকান ভোটারদের একজন বলেন, ‘আমাদের সাহায্য না করলে আরব আর মুসলিমদের ভোট কেউ পাবে না। তারা ধরেই নিয়েছে যে আমরা ফেলনা, আমরা পরিত্যক্ত। অথচ গত কয়েক দশকে তাদের পেছনে কত সময় আর অর্থ ব্যয় করেছি আমরা।’

২০২০ সালের নির্বাচনে জয়ী বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের তুলনায় এবারের নির্বাচনে আরব-আমেরিকান ভোটারদের সমর্থন ১৮ শতাংশ কমেছে ডেমোক্র্যাট শিবিরে। কিন্তু ইসরাইলের বর্তমান সরকারের সঙ্গে যে ঘনিষ্ঠতা আরও বেশি সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের, ভোলেননি অনেকেই। বিগত মেয়াদে পূর্ব জেরুজালেমকে ট্রাম্প ঘোষণা করেছিলেন ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে। সে ইতিহাস মনে রেখে অনেক মুসলিম ভোটার ট্রাম্প-কামালা দুজনকেই বাদ দিয়ে ক্ষোভ প্রকাশে ভোট দেবেন তৃতীয় প্রেসিডেন্ট প্রার্থী গ্রিন পার্টির জিল স্টেইনকে।

ভোটারদের একজন বলেন, ‘তারা দুইজন একই গোত্রের। আমি নিঃসন্দেহে তাদের কাউকেই ভোট দেবো না। মিশিগান আর ডিয়ারবর্ন এলাকার অনেক মানুষই আসলে বলছে যে ট্রাম্প-কামালাকে নয়, তারা ভোট দেবে অন্য কাউকে।’

ইসরাইলের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের অবিচ্ছেদ্য মিত্রতা ছয় দশকের বেশি সময়ের। বিপদে সঙ্গী তো হয়েছেই, ভূমি দখল থেকে শুরু করে ফিলিস্তিনি গণহত্যা- সব কুকর্মে ইসরাইলকে প্রকাশ্য সমর্থন দিয়ে গেছে যুক্তরাষ্ট্রের সকল প্রশাসন। ব্যতিক্রম নয় বর্তমান বাইডেন-কামালা প্রশাসনও। তাই বাইডেনের চেয়ে কামালার জনপ্রিয়তা বেশি হলেও তার জয়ে আরব জনগোষ্ঠীর ওপর তেমন প্রভাব পড়বে না বলে মত যুক্তরাষ্ট্রের ফিলিস্তিনি অধিকার কর্মীদের।

আনকমিটেডের ফিলিস্তিনি অধিকার কর্মী ও সহ-প্রতিষ্ঠাতা লায়লা এলাবেদ বলেন, ‘বাইডেনকে নিয়ে ভোটারদের মোহভঙ্গ হয়েছিল। তাই তার বদলে কামালা প্রার্থী হওয়ার পর ডেমোক্র্যাটদের প্রতি সমর্থন বেড়েছে। কিন্তু এতে গাজায় আমাদের প্রিয়জনদের ভাগ্য বদলায়নি, পশ্চিম তীরেও অবৈধ দখলদারদের সহিংসতা বন্ধ হয়নি। এখন তো লেবাননের সাথেও গাজার মতো একই আচরণ করছে নেতানিয়াহু আর ইসরাইলি সেনাবাহিনী।’

অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে ইহুদিরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে দাবি ইউনিভার্সিটি অব মায়ামির জরিপে। বলা হয়, গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনের এক বছরে যুক্তরাষ্ট্রে ইহুদিবিদ্বেষের শিকার ৩৫ লাখ মার্কিন ইহুদি। অ্যান্টি ডিফেমেশন লিগের পৃথক জরিপে দাবি, ১৯৭৯ সালের পর মার্কিন ভূখণ্ডে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে ইহুদিবিদ্বেষী ঘটনা। চলতি বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এক বছরে এ ধরনের ১০ হাজারের বেশি ঘটনা লিপিবদ্ধ করেছে সংস্থাটি, যা আগের বছরের তুলনায় ২শ’ শতাংশ বেশি।

৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে প্রকাশ হয় এসব জরিপ; যখন বাতাসে জোর গুঞ্জন, ঘনিষ্ঠতম মিত্র দেশের রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তন চান ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী। আর এ কারণেই বাইডেন প্রশাসনকে বিপাকে ফেলতে গাজায় অস্ত্রবিরতি বারবার ঠেকিয়ে দিচ্ছেন বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু।