জবাবদিহি নিশ্চিতে অন্তর্বর্তী সরকারের পদক্ষেপের প্রভাব এডিপিতে
- আপডেট সময় : ০২:২৩:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ নভেম্বর ২০২৪
- / ৩৬০ বার পড়া হয়েছে
অর্থের অপচয় রোধ আর জবাবদিহি নিশ্চিত করতে প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে নানা বিধি নিষেধ দিয়েছে অন্তবর্তী সরকার। পাশাপাশি ছিলো অর্থবছরের প্রথম দুমাসের রাজনৈতিক অস্থিরতা। ফলে এই সময়ে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি- এডিপির বাস্তবায়ন হয়েছে পৌণে ৫ শতাংশ। যা গেলো ১৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম।
মাস তিনেক ধরেই থমকে আছে অধিকাংশ প্রকল্পের কাজ। জুলাই বিপ্লবের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে অপ্রয়োজনীয় ও রাজনৈতিক বিবেচনায় নেয়া প্রকল্পে কঠোর নজরদারি ও কাটছাটে মনোযোগী অন্তর্বর্তী সরকার। এরই স্পষ্ট রেশ ফুটে উঠেছে আইএমইডির সবশেষ প্রতিবেদনে।
বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের সবশেষ হিসাবে, চলতি অর্থবছরের প্রথম তিনমাসে এডিপি বাস্তবায়ন হয়েছে মাত্র পৌণে ৫ শতাংশ। টাকার অংকে যা ১৩ হাজার ২১৫ কোটি। যা গেলো বছরের একই সময়ের তুলনায় পৌণে তিন শতাংশ কম। অন্যদিকে বাস্তবায়নের এই মন্থর গতি টাকার অংকে গেলো ১৫ বছরের মধ্যে রেকর্ড সর্বনিম্ন। তবে, এতে এখই উদ্বিগ্ন হতে চান না বিশ্লেষকরা।
অর্থনীতিবিদ ড. আইনুল ইসলাম বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়নে অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে কাজ করতে হবে। বর্তমান সরকার কোন জায়গাগুলো সমস্যা সেগুলো যদি চিহ্নিত করতে পারে তাহলে পরবর্তীতে সংস্কার করা যাবে।
রাজনৈতিক বিবেচনায় নেয়া অপ্রয়োজনীয় প্রকল্পে খড়গ পড়েছে অন্তবর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার পরই। আইএমইডির তথ্য বলছে, এখনো বরাদ্দের একটাকাও খরচ করতে পারেনি স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগসহ তিনটি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ।
পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে প্রকল্পের সংখ্যা না বাড়িয়ে বরং জনমুখী প্রকল্পে মনোযোগের পরামর্শ দেন সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. তৌফিকুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, যে প্রকল্পগুলো মাত্র শুরু হয়েছে, এর মধ্যে যেগুলো বন্ধ করলে তেমন ক্ষতি হবে না সেগুলো ধীরে করলে ভলো হবে।
খরচের খাতা খুললেও, এখনো মোট বরাদ্দের ১ শতাংশও বাস্তবায়ন করতে পারেনি ১০টি মন্ত্রণালয়।