গত বছরের ১৮ অক্টোবর বিশ্বকাপ বাছাইয়ে উরুগুয়ের বিপক্ষে ম্যাচে চোট পেয়ে মাঠের বাইরে যান নেইমার। যে চোটে দীর্ঘ এক বছরের বেশি সময় মাঠের বাইরে থাকতে হয় ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টারকে। দীর্ঘ প্রতিক্ষার অবসান ঘটিয়ে গত ২১ অক্টোবর আল আইনের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে ৩৬৯ দিন পর মাঠের ফুটবলে প্রত্যাবর্তন ঘটে নেইমারের।
সেটা ক্লাব আল হিলালের জার্সিতে। ভক্তরা নেইমারকে আবারও জাতীয় দলে দেখার অপেক্ষায় ছিলেন। সে অপেক্ষা আপাতত দীর্ঘ হচ্ছে। অন্তত এ বছর ব্রাজিলের জার্সিতে দেখা যাবে না নেইমারকে।
লাতিন অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে আগামী ১৪ নভেম্বর রাতে ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে মাঠে নামবে ব্রাজিল। এরপর ২০ নভেম্বর ভোরে উরুগুয়ের মুখোমুখি হবে সেলেসাওরা। গতকাল শুক্রবার রাতে এ দুই ম্যাচের জন্য দল ঘোষণা করেছে ব্রাজিল। চোট কাটিয়ে ফিরলেও ২৩ সদস্যের দলে জায়গা হয়নি নেইমারের। এছাড়া রেয়াল মাদ্রিদের তরুণ স্ট্রাইকার এনদ্রিককেও রাখেননি ব্রাজিল কোচ দরিফাউ জুনিয়র।
নেইমারকে দলে না নেওয়া প্রসঙ্গে দরিফাউ বলেছেন, ‘আমরা নেইমারকে নিয়ে তাড়াহুড়ো করে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে চাই না। ও (নেইমার) পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠেছে। কিন্তু মাঠে সে খুব মিনিট পেয়েছে। ওর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পেছনে এটা একটা বড় কারণ।’
ব্রাজিল কোচ যোগ করেন, ‘সে দলে থাকতে চেয়েছিল। একইসঙ্গে তাঁকে পরিস্থিতিটাও বুঝতে হবে। সে মাঠে খুবই কম মিনিট পেয়েছে।’ দরিফাউয়ের যুক্তি অবশ্য ফেলে দেওয়ার মতো নয়। আল আইনের বিপক্ষে প্রত্যাবর্তনের ম্যাচে বদলি নেমে মাত্র ১৩ মিনিট খেলেছেন নেইমার। হিলালের পরের দুটি ম্যাচে স্কোয়াডেই ছিলেন না ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার।
এবার দলে ডাক না পাওয়ায় জাতীয় দলের জার্সিতে খেলতে নেইমারকে অপেক্ষা করতে হবে পরের বছরের মার্চ পর্যন্ত। মার্চে কলম্বিয়া ও আর্জেন্টিনার বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচ খেলবে পাঁচ বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। সব ঠিকঠাক থাকলে সে সময় ব্রাজিলের জার্সিতে দেখা যেতে পারে নেইমারকে। তেমনটাই ইঙ্গিত দিয়েছেন দরিফাউও, ‘আমরা পরেরবার তাঁকে ফেরানোর জন্য প্রস্তুত থাকব, সেও প্রস্তুত থাকবে।’
নেইমার না ফিরলেও ব্রাজিল দলে ফিরেছেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। চোটের কারণে গত অক্টোবরে ম্যাচ দুটি খেলতে পারেননি রেয়াল মাদ্রিদ উইঙ্গার।
লাতিন অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ১০ রাউন্ড শেষে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার চতুর্থ স্থানে আছে ব্রাজিল। সমান ম্যাচে ২২ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে আর্জেন্টিনা।
ব্রাজিলের ২৩ সদস্যের স্কোয়াড:
গোলকিপার: বেন্তো, এদেরসন, ওয়েবেরতন।
ডিফেন্ডার: দানিলো, ভ্যান্ডারসন, আবনের, গিলের্মো আরানা, এদের মিলিতাও, গাব্রিয়েল মাগলায়েস, মার্কিনিওস, মুরিলো।
মিডফিল্ডার: আন্দ্রে, আন্দ্রেস পেরেইরা, ব্রুনো গিমারেস, গারসন, লুকাস পাকেতা, রাফিনিয়া।
ফরোয়ার্ড: এস্তেভাও, ইগর জেসুস, লুইস এনরিকে, রদ্রিগো, সাভিনিও ও ভিনিসিয়ুস জুনিয়র।