সমুদ্রে দাপট বাড়াতে নতুন এক নৌযান বানিয়েছে চীন। আর এই ধরনের যান এর আগে কোনো দেশ বানাতে পারেনি। এই নৌযান দিয়ে সমুদ্রে আরও বেশি প্রভাব বিস্তার করতে পারবে তারা। এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন।
সিএনএন বলছে, সম্প্রতি চীনের গুয়াংডং প্রদেশের দক্ষিণাঞ্চলে লংকু দ্বীপে অবস্থিত গুয়াংজু ইন্টারন্যাশনাল শিপইয়ার্ডে নতুন এই নৌযান দেখা যায়। এমন ছবি প্রকাশ করেছে প্লানেট ল্যাবস। ছবিটি স্যাটেলাইট থেকে তোলা। এটি আসলে একটি এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার।
স্যাটেলাইটে তোলা ছবিতে দেখা যায়, নৌযানটি বেশ বড়। এখনো এর ভিত তৈরি করা হচ্ছে। এই যান নিয়ে মার্কিন নৌবাহিনীর সাবেক সাবমেরিন কমান্ডার থমাস শুগার্ট সিএনএনকে বলেন, এই নৌযানের আকার বেশ অদ্ভুত। এটি অন্যান্য নৌযানের চেয়ে কিছুটা ছোট। ধারণা করা হচ্ছে, নতুন এক যান বানিয়েছে তারা। এর আগে এ ধরনের যানের তথ্য প্রকাশ করেছিল সংবাদমাধ্যম ওয়ারজোন।
রয়টার্স বলছে, বিশ্বের সবচেয়ে বড় নেভি হচ্ছে চীনের। তাদের নৌ-শক্তিতে রয়েছে ৩২০টির বেশি জাহাজ। এ ছাড়া একের পর এক নতুন প্রযুক্তির পারমাণবিক সাবমেরিন বানিয়েই যাচ্ছে তারা। আমেরিকাকে টেক্কা দিতে আরও সমৃদ্ধ করছে নিজেদের নৌবাহিনীর অস্ত্রাগার।
এর আগে চলতি বছরের মাঝামাঝি সময়ে জেটিতে ডুবে যায় চীনা একটি পারমাণবিক সাবমেরিন। তবে দেশটি এই তথ্য প্রকাশ করেনি। মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা সম্প্রতি এই তথ্য প্রকাশ করেন। এ সময় পারমাণবিক সাবমেরিন ডুবে যাওয়ার ছবিও প্রকাশ করা হয়।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ডুবে যাওয়া পারমাণবিক সাবমেরিনটি নতুন প্রযুক্তিতে বানানো ছিল। এই ঘটনা চীনের জন্য বেশ বিব্রতকর বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের ওই উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। তবে তিনি নিজের নাম প্রকাশে অস্বীকৃতি জানান।।
মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের ওই উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা বলেন, জেটিতে রাখা অবস্থায় গত মে কিংবা জুনে চীনের ফার্স্ট-ইন-ক্লাস পারমাণবিক সাবমেরিন ডুবে যায়। কিন্তু ঠিক কি কারণে এটি ডুবে গেল, তা বোঝা যাচ্ছে না। তাঁর জানামতে ওই সময় সাবমেরিনটিতে জ্বালানি ছিল। তবে এ ব্যাপারে কোনো তথ্য নেই বলে এক মন্তব্যে জানিয়েছে ওয়াশিংটনে অবস্থিত চীনা দূতাবাসের মুখপাত্র।