আয়কর রিটার্ন জমায় রোববার থেকে কর অফিসগুলোতে শুরু হচ্ছে মাসব্যাপী সেবা। মেলার মতো পরিবেশ নিশ্চিতে কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। যদিও ঘুষ-হয়রানি কমাতে অনলাইনে রিটার্ন জমায় জোর দিচ্ছে সংস্থাটি। এনবিআর চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, অনলাইনে রিটার্ন পূরণে কোনো কাগজপত্র জমা দিতে হবে না।
গত কয়েক বছরের ধারাবাহিকতায় আয়কর রিটার্ন জমা নিতে এবারও কর অফিসে বিশেষ ব্যবস্থা থাকছে করদাতাদের জন্য। নভেম্বর জুড়ে এক ছাদের নিচে মিলবে রিটার্ন পূরণ, ইটিআইএন নেওয়াসহ নানা সেবা। এজন্য প্রস্তুত সারা দেশের ৪১ কর অঞ্চলের ৬৫০ সার্কেল। পাশাপাশি থাকবে অনলাইনে রিটার্ন পূরণের হেল্প ডেস্ক।
এবারও সরকারি কর্মচারিদের জন্য সচিবালয়ে রিটার্ন জমার বুথ বসাবে এনবিআর। যা চালু থাকবে ৩ থেকে ১৭ নভেম্বর। আর শেরে বাংলা নগরে সরকারি কর্মচারীরা এই সেবা পাবেন ১৯ থেকে ২৩ নভেম্বর। এবারো সেনা মালঞ্চে সামরিক বাহিনীর সদস্যদের রিটার্ন জমা দেওয়ার বিশেষ ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান বলেন, ‘আমরা আয়করদাতাদের অনলাইনে রিটার্ন জমা দিতে উৎসাহ দিতে চাই। ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে সহজেই ঘরে বসে রিটার্ন জমা দেওয়া যাবে। ফলে আর ট্যাক্স অফিসে যেত হলো না, ব্যাংকে যেতে হলো না। সাথে সাথেই পাওয়া যাবে প্রাপ্তি স্বীকারপত্র।’
তবে যারা কর অফিসে যেতে চান না, তাদের জন্য এবার উদার এনবিআর। কয়েক বছরের চেষ্টায় অনলাইন ট্যাক্স রিটার্ন জমার ব্যবস্থা আরও উন্নত করেছে সংস্থাটি। কর্মকর্তারা জানান, etaxnbr.gov.bd সাইটে প্রথমে নিবন্ধন করতে হবে। এরপর আয়-ব্যয়ের প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে রিটার্ন পূরণ করতে হবে। আপলোড করতে হবে না কোনো দলিলপত্র। অনলাইনেই মিলবে রিটার্ন জমার প্রমাণপত্র।
আবদুর রহমান খান বলেন, ‘ওয়েবসাইটে শুধু ডাটা দিলেই সহজেই হিসাব হয়ে যাবে। করদাতাদের কোনো ঝামেলা হবে না অনলাইনে রিটার্ন দাখিলে।’
এবার ঢাকার দুটিসহ চার সিটি করপোরেশনের সরকারি কর্মচারীদের অনলাইনে রিটার্ন দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ব্যাংকসহ কিছু বহুজাতিক কোম্পানির কর্মীদের জন্যও একই নিয়ম করা হয়েছে। রিটার্ন পূরণে কোনো জটিলতা দেখা দিলে সেবা মিলবে হেল্পলাইনে।