ঢাকা ০৫:০৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

রাষ্ট্রপতির ক্ষমা নয়, আইনিভাবে নির্দোষ হতে চান বিএনপি চেয়ারপারসন

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৩:২৩:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ নভেম্বর ২০২৪
  • / ৩৬৪ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

দুর্নীতির দুই মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া রাষ্ট্রপতির ক্ষমা গ্রহণ করবেন না। আইনি লড়াইয়ে আদালতের মাধ্যমে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে চান তিনি। তার পক্ষে আইনজীবীরা হাইকোর্টে আপিল শুনানির প্রস্তুতি নিচ্ছেন। নিজেদের খরচে করবেন পেপারবুক।

গেল ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে পতন ঘটে শেখ হাসিনা সরকারের। মুহূর্তে পাল্টে যায় দৃশ্যপট। রাতেই আওয়ামী লীগ বাদে বিএনপি, জামায়াত, জাতীয় পার্টিসহ সব রাজনৈতিক দলের সেই বঙ্গভবনে বৈঠক হয় রাষ্ট্রপতির। সেখানেই সিদ্ধান্ত হয় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দণ্ড মওকুফের।

৬ আগস্ট সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদের ক্ষমতাবলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ১৭ বছরের দণ্ড মওকুফ করেন রাষ্ট্রপতি। জারি করা হয় প্রজ্ঞাপন।

এর আগে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকারের নির্বাহী আদেশে সাজা স্থগিত করে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল থেকে সরাসরি গুলশানের বাসা ফিরোজায় অবস্থান করেন খালেদা জিয়া।

রাষ্ট্রপতির দণ্ড মওকুফের তিন মাস পর বিএনপির আইনজীবীরা জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার আপিল শুনানি করার উদ্যোগ নিয়েছেন। রোববার খালেদা জিয়ার পক্ষে আইনজীবীরা পেপারবুক তৈরি করার আবেদন করেন। পেপারবুক প্রস্তুত না হওয়ায় নিজেরাই খরচ দিয়ে করতে চান বিএনপির আইনজীবীরা।

রাষ্ট্রপতি খালেদা জিয়ার সাজা মওকুফ করায় ধন্যবাদ জানান আইনজীবীরা তবে তারা আদালতের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে নির্দোষ প্রমাণ করতে চান।

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশেষ জজ আদালত জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় ৫ বছরের দণ্ড দেয়। পরে হাইকোর্ট আপিল শুনানি করে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেন। আর ওই বছরের জুলাইয়ে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ৭ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। দুটি মামলায় ১৭ বছরের দণ্ড নিয়ে সাত বছর রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে দূরে আছেন বিএনপি চেয়ারপারসন।

নিউজটি শেয়ার করুন

রাষ্ট্রপতির ক্ষমা নয়, আইনিভাবে নির্দোষ হতে চান বিএনপি চেয়ারপারসন

আপডেট সময় : ০৩:২৩:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ নভেম্বর ২০২৪

দুর্নীতির দুই মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া রাষ্ট্রপতির ক্ষমা গ্রহণ করবেন না। আইনি লড়াইয়ে আদালতের মাধ্যমে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে চান তিনি। তার পক্ষে আইনজীবীরা হাইকোর্টে আপিল শুনানির প্রস্তুতি নিচ্ছেন। নিজেদের খরচে করবেন পেপারবুক।

গেল ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে পতন ঘটে শেখ হাসিনা সরকারের। মুহূর্তে পাল্টে যায় দৃশ্যপট। রাতেই আওয়ামী লীগ বাদে বিএনপি, জামায়াত, জাতীয় পার্টিসহ সব রাজনৈতিক দলের সেই বঙ্গভবনে বৈঠক হয় রাষ্ট্রপতির। সেখানেই সিদ্ধান্ত হয় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দণ্ড মওকুফের।

৬ আগস্ট সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদের ক্ষমতাবলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ১৭ বছরের দণ্ড মওকুফ করেন রাষ্ট্রপতি। জারি করা হয় প্রজ্ঞাপন।

এর আগে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকারের নির্বাহী আদেশে সাজা স্থগিত করে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল থেকে সরাসরি গুলশানের বাসা ফিরোজায় অবস্থান করেন খালেদা জিয়া।

রাষ্ট্রপতির দণ্ড মওকুফের তিন মাস পর বিএনপির আইনজীবীরা জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার আপিল শুনানি করার উদ্যোগ নিয়েছেন। রোববার খালেদা জিয়ার পক্ষে আইনজীবীরা পেপারবুক তৈরি করার আবেদন করেন। পেপারবুক প্রস্তুত না হওয়ায় নিজেরাই খরচ দিয়ে করতে চান বিএনপির আইনজীবীরা।

রাষ্ট্রপতি খালেদা জিয়ার সাজা মওকুফ করায় ধন্যবাদ জানান আইনজীবীরা তবে তারা আদালতের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে নির্দোষ প্রমাণ করতে চান।

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশেষ জজ আদালত জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় ৫ বছরের দণ্ড দেয়। পরে হাইকোর্ট আপিল শুনানি করে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেন। আর ওই বছরের জুলাইয়ে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ৭ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। দুটি মামলায় ১৭ বছরের দণ্ড নিয়ে সাত বছর রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে দূরে আছেন বিএনপি চেয়ারপারসন।