বলিভিয়ায় একটি সামরিক ঘাঁটিতে ভয়াবহ হামলার ঘটনা ঘটেছে। সশস্ত্র এই হামলার মাধ্যমে হামলাকারীরা সামরিক ঘাঁটিটি দখলে নিয়ে অন্তত ২০০ সৈন্যকে অপহরণ ও জিম্মি করেছে। হামলাকারীরা দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ইভো মোরালেসের সমর্থক বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বলিভিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, সশস্ত্র ওই গোষ্ঠীটি সামরিক ঘাঁটি থেকে “অস্ত্র ও গোলাবারুদ জব্দ করেছে”। তিনটি সামরিক ইউনিটে ওই সশস্ত্র গোষ্ঠী আক্রমণ করছে।
বিবিসি’র প্রতিবেদনে জানা যায়, স্থানীয় টেলিভিশনে পিঠের পেছনে হাত বাঁধা অবস্থায় সারি সারি সৈন্যদের ছবি দেখানো হয়েছে। এসময় তাদেরকে সশস্ত্র গোষ্ঠীর সদস্যদের বেষ্টিত অবস্থায় দেখা যায়।
মূলত কোচাবাম্বা শহরটি মধ্য বলিভিয়ায় অবস্থিত এবং সেখানে সাবেক প্রেসিডেন্ট ইভো মেরালেসের অনেক সমর্থক বাস করেন। এছাড়া সামরিক স্থাপনাটি সশস্ত্র গোষ্ঠী নিজেদের দখলে নেওয়ার পরপরই দেশটির সামরিক বাহিনী সৈন্যদের এবং তাদের পরিবারদের সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দেয় বলে স্থানীয় মিডিয়া জানিয়েছে।
এর আগে গত রোববার মোরালেস তার গাড়িতে গুলিবর্ষণের একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন। আর এটিকে তাকে “হত্যার চেষ্টা” বলে আখ্যায়িত করেছেন তিনি। তবে বলিভিয়ার সরকার মোরালেসের এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে।
মোরালেসের সমর্থকরা গত ১৯ দিন ধরে সারা দেশে অবরোধ তৈরি করেছে। সাবেক এই প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে ধর্ষণ এবং মানব পাচারের অভিযোগে তদন্ত বন্ধ করার দাবি করছেন তারা। যদিও এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মোরালেস।
ইভো মোরালেস ২০০৬ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত বলিভিয়ার প্রেসিডেন্ট ছিলেন। ২০১৯ সালের নির্বাচনেও তাকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছিল, কিন্তু নির্বাচন জালিয়াতির অভিযোগে দেশব্যাপী বিক্ষোভ শুরু হওয়ার কয়েক সপ্তাহ পরে তিনি পদত্যাগ করেন।