মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আর বাকি মাত্র দুই দিন। আগামী ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস ও রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন নির্বাচনে বিশ্বনেতাদের পছন্দের প্রার্থী কে, তা নিয়ে অনেক আলোচনা রয়েছে।

এ তালিকায় সবার আগে উঠে আসে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নাম। বেশ আগে পুতিন মজা করে কমলাকে পছন্দের কথা বলা হলেও তাঁর পছন্দের মানুষ যে ট্রাম্প, তার অনেক প্রমাণ পাওয়া গেছে।

গবেষণা প্রতিষ্ঠান চ্যাথাম হাউসের রাশিয়া এবং ইউরেশিয়া প্রোগ্রামের সহযোগী ফেলো টিমোথি অ্যাশ। তিনি আল-জাজিরাকে বলেছেন, পুতিন নানা কারণে ট্রাম্পকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে পছন্দ করতে পারেন। প্রথমত, পুতিন মনে করেন ট্রাম্প রাশিয়ার প্রতি নমনীয় এবং ইউক্রেনের সঙ্গে একটি ভালো চুক্তিতে সহায়তা করবেন। এ ছাড়া ইউক্রেনকে সহায়তা বন্ধ ও রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবেন।

অ্যাশ বলেন, ‘আমি মনে করি, ট্রাম্পের মধ্যে নিজের কর্তৃত্ববাদী হিসেবে নিজের ছবি দেখেন পুতিন। তিনি মনে করেন, ট্রাম্পকে তিনি বুঝতে পারেন।’

তবে বিশ্লেষকদের ভাষ্য ভিন্ন। তারা বলছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে যেই জিতুন, মস্কো মনে করে, রাশিয়ার প্রতি তাদের দৃষ্টিভঙ্গি একই থাকবে।

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং সরাসরি কমলা বা ট্রাম্প কাউকেই সমর্থন দেননি। চীনের সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধ থাকলেও দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক ভালো রাখতে চেয়েছেন ট্রাম্প। গত ১৪ জুলাই ট্রাম্পকে হত্যাচেষ্টার ঘটনার পর শি জিন পিং বার্তা দিয়েছিলেন ট্রাম্পকে। অবশ্য চীনের কর্মকর্তারা আবার কমলাঘেঁষা বেশি।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী কাউকে সরাসরি সমর্থন দেন নি। তবে তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন ট্রাম্পের প্রতিই ঝুঁকে রয়েছেন তিনি।

জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ কমলাকে সমর্থন করে বলেছেন, ‘আমি তাঁকে ভালোভাবে চিনি। তিনি দারুণ প্রেসিডেন্ট হবেন।’

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ট্রাম্পের সম্পর্ক অনেক ঘনিষ্ঠ। তবে চ্যাথাম হাউসের দক্ষিণ এশিয়ার জ্যেষ্ঠ রিসার্চ ফেলো চৈতজ্ঞ বাজপেয়ী বলেন, ‘আমি মনে করি না, মোদির কোনো পছন্দের প্রার্থী আছেন। ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক গভীর করতে দুই দলেরই মত রয়েছে।’

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল কাউকেই সরাসরি সমর্থন দেননি। তবে বাইডেন প্রশাসনের অধীনে দুই দেশের সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হয়েছে। ট্রাম্পের সময় কোরিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষায় খরচ না বাড়ানোর অভিযোগ ছিল।

ট্রাম্প জয়ী হলে জাপানে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা কমবে। সেক্ষেত্রে জাপানের পছন্দের প্রার্থী ধরা হচ্ছে কমলাকে।