ঢাকা ০২:৫৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ২০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

শপথ নিলেন চসিকের নতুন মেয়র ডা. শাহাদাত

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৩:১৮:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ নভেম্বর ২০২৪
  • / ৩৪৫ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) নতুন মেয়র হিসেবে শপথ নিলেন ডা. শাহাদাত হোসেন। আদালতের রায়ের পর আজ (রোববার, ৩ নভেম্বর) সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে তাকে শপথবাক্য পাঠ করিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ।

২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগে ২৪ ফেব্রুয়ারি আদালতে ৯ জনকে বিবাদি করে মামলা করেন বিএনপির প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন।

এরপর দীর্ঘ চার বছরের ব্যবধানে গেল ১ অক্টোবর শাহাদাত হোসেনকে চট্টগ্রাম সিটির মেয়র হিসেবে ঘোষণা করে রায় দিয়েছিলেন আদালত। রায় ঘোষণার সাত দিন পরই ৮ অক্টোবর শাহাদাত হোসেনকে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ঘোষণা করে সংশোধিত প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন।

তবে ১৯ আগস্ট মেয়রদের অপসারণ করে বিভাগীয় কমিশনারদের প্রশাসক হিসেবে যে প্রজ্ঞাপন দিয়েছিল স্থানীয় সরকার বিভাগ, তা নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক। পরে যদিও চট্টগ্রামকে বাদ দিয়ে পুনরায় প্রজ্ঞাপন দেয় স্থানীয় সরকার বিভাগ। এমন অবস্থায় মেয়রের কার্যক্রম নিয়ে শুরু হয় নতুন বিতর্ক।

শপথের পর গণমাধ্যমে সঙ্গে কথা বলেন নতুন মেয়র। নানা চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরে পর্যটনকে এগিয়ে নিতে চট্টগ্রাম বিভাগে কাঠামোগত সংস্কারের কথা বলেন তিনি।

নতুন মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘চট্টগ্রাম বাঁচলে বাংলাদেশ বাঁচবে। পর্যটন শিল্পের জন্য কাজ করতে চাই। চট্টগ্রাম এমন একটি জায়গায় আছে যেখানে পর্যটন শিল্পের অপার সম্ভাবনা। চট্টগ্রাম বিভাগে কাঠামোগত সংস্কার করা দরকার।’

তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রামের জন্য আলাদা বাজেট দিয়ে কাঠামোগত উন্নয়ন করতে হবে। জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ করবে। সবাইকে সাথে নিয়ে চট্টগ্রামকে একটি পরিকল্পিত শহর হিসেবে গড়ে তোলা হবে।’

এসময় উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ নতুন মেয়রকে শুভেচ্ছা জানিয়ে স্মরণ করিয়ে দেন, বিপ্লবোত্তর সময়ের কথা।

হাসান আরিফ বলেন, ‘যে একটি বিপ্লবোত্তর সময়ে তিনি শপ নিলেন। ছাত্র জনতার আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখতে হবে। তাই আগের ধ্যান ধারণা থেকে বের হয়ে এসে চট্টগ্রাম সিটির মানুষের জন্য কাজ করবেন। জলাবদ্ধতা মুক্ত সিটি চাই, জনবান্ধব সিটি দেখতে চাই।’

মেয়রের মেয়াদ কত দিন হবে এমন প্রশ্নে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা বিদ্যমান আইনে উদ্ধৃতি দেন। বলেন আইন অনুযায়ী মেয়াদ হবে তার।

তিনি বলেন, ‘নতুন মেয়রের মেয়াদ আইন অনুযায়ী যা হওয়া দরকার তাই হবে। এছাড়া কাউন্সিলর না থাকলেও ১৭ জন প্রতিনিধি রয়েছে। তাই তারা একজন অভিভাবক হিসেবে মেয়রকে পাচ্ছেন।’

এছাড়া কাউন্সিলর না থাকলেও ১৭ জনের কমিটি নিয়ে তিনি সিটি করপোরেশনের কার্যক্রম চালাবেন বলে জানান উপদেষ্টা। সিটি করপোরেশনগুলোতে শিগগিরি পূর্ণাঙ্গ প্রশাসক নিয়োগ দেয়া হবে বলেও জানান উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ।

নিউজটি শেয়ার করুন

শপথ নিলেন চসিকের নতুন মেয়র ডা. শাহাদাত

আপডেট সময় : ০৩:১৮:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ নভেম্বর ২০২৪

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) নতুন মেয়র হিসেবে শপথ নিলেন ডা. শাহাদাত হোসেন। আদালতের রায়ের পর আজ (রোববার, ৩ নভেম্বর) সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে তাকে শপথবাক্য পাঠ করিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ।

২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগে ২৪ ফেব্রুয়ারি আদালতে ৯ জনকে বিবাদি করে মামলা করেন বিএনপির প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন।

এরপর দীর্ঘ চার বছরের ব্যবধানে গেল ১ অক্টোবর শাহাদাত হোসেনকে চট্টগ্রাম সিটির মেয়র হিসেবে ঘোষণা করে রায় দিয়েছিলেন আদালত। রায় ঘোষণার সাত দিন পরই ৮ অক্টোবর শাহাদাত হোসেনকে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ঘোষণা করে সংশোধিত প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন।

তবে ১৯ আগস্ট মেয়রদের অপসারণ করে বিভাগীয় কমিশনারদের প্রশাসক হিসেবে যে প্রজ্ঞাপন দিয়েছিল স্থানীয় সরকার বিভাগ, তা নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক। পরে যদিও চট্টগ্রামকে বাদ দিয়ে পুনরায় প্রজ্ঞাপন দেয় স্থানীয় সরকার বিভাগ। এমন অবস্থায় মেয়রের কার্যক্রম নিয়ে শুরু হয় নতুন বিতর্ক।

শপথের পর গণমাধ্যমে সঙ্গে কথা বলেন নতুন মেয়র। নানা চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরে পর্যটনকে এগিয়ে নিতে চট্টগ্রাম বিভাগে কাঠামোগত সংস্কারের কথা বলেন তিনি।

নতুন মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘চট্টগ্রাম বাঁচলে বাংলাদেশ বাঁচবে। পর্যটন শিল্পের জন্য কাজ করতে চাই। চট্টগ্রাম এমন একটি জায়গায় আছে যেখানে পর্যটন শিল্পের অপার সম্ভাবনা। চট্টগ্রাম বিভাগে কাঠামোগত সংস্কার করা দরকার।’

তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রামের জন্য আলাদা বাজেট দিয়ে কাঠামোগত উন্নয়ন করতে হবে। জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ করবে। সবাইকে সাথে নিয়ে চট্টগ্রামকে একটি পরিকল্পিত শহর হিসেবে গড়ে তোলা হবে।’

এসময় উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ নতুন মেয়রকে শুভেচ্ছা জানিয়ে স্মরণ করিয়ে দেন, বিপ্লবোত্তর সময়ের কথা।

হাসান আরিফ বলেন, ‘যে একটি বিপ্লবোত্তর সময়ে তিনি শপ নিলেন। ছাত্র জনতার আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখতে হবে। তাই আগের ধ্যান ধারণা থেকে বের হয়ে এসে চট্টগ্রাম সিটির মানুষের জন্য কাজ করবেন। জলাবদ্ধতা মুক্ত সিটি চাই, জনবান্ধব সিটি দেখতে চাই।’

মেয়রের মেয়াদ কত দিন হবে এমন প্রশ্নে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা বিদ্যমান আইনে উদ্ধৃতি দেন। বলেন আইন অনুযায়ী মেয়াদ হবে তার।

তিনি বলেন, ‘নতুন মেয়রের মেয়াদ আইন অনুযায়ী যা হওয়া দরকার তাই হবে। এছাড়া কাউন্সিলর না থাকলেও ১৭ জন প্রতিনিধি রয়েছে। তাই তারা একজন অভিভাবক হিসেবে মেয়রকে পাচ্ছেন।’

এছাড়া কাউন্সিলর না থাকলেও ১৭ জনের কমিটি নিয়ে তিনি সিটি করপোরেশনের কার্যক্রম চালাবেন বলে জানান উপদেষ্টা। সিটি করপোরেশনগুলোতে শিগগিরি পূর্ণাঙ্গ প্রশাসক নিয়োগ দেয়া হবে বলেও জানান উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ।