ঢাকা ০৫:৫০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

খেলাপি আদায়ে এস আলমের সম্পত্তি নিলামে

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১০:৩২:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ নভেম্বর ২০২৪
  • / ৩৭৩ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

এস আলম গ্রুপের ১ হাজার ৮৫০ কোটি টাকার খেলাপি ঋণ আদায়ের জন্য গ্রুপটির সহযোগী প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ট্রেডিং কর্পোরেশন লিমিটেডের জামানত সম্পত্তি নিলামে তুলেছে রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা ব্যাংক। ১ নভেম্বর পত্রিকায় নিলাম সংক্রান্ত প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে আগামী ২০ নভেম্বর নিলামের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে।

জনতা ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ তথ্য অনুযায়ী, এ ঋণের বিপরীতে বন্ধক রাখা হয়েছে চট্টগ্রাম ও গাজীপুরে এস আলম গ্রুপের ১ হাজার ৮৬০ শতাংশ জমি, যার বাজারমূল্য সর্বোচ্চ ৩৫৮ কোটি টাকা যা পাওনা টাকার চেয়ে প্রায় পাঁচ গুণ কম।

অর্থঋণ আদালত আইনের ১২(৩) ধারা অনুযায়ী, ব্যাংক মামলা করার আগেই জামানতের সম্পত্তি বিক্রি করে টাকা আদায় সম্ভব।

২০২১ সালের বাংলাদেশের কম্পট্রোলার এন্ড অডিটর জেনারেল (সিএজি)-এর এক নিরীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশিকা না মেনে গ্লোবাল ট্রেডিং কর্পোরেশন ঋণসীমা অতিক্রম করে অতিরিক্ত ঋণ নিয়েছে।

গ্লোবাল ট্রেডিং কর্পোরেশন ২০১২ সালে শিল্প কাঁচামাল, বাণিজ্যিক পণ্য এবং নির্মাণ সামগ্রীর ব্যবসায় জড়িত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সাধারণ বীমা ভবনে অবস্থিত জনতা ব্যাংকের চট্টগ্রাম কর্পোরেট শাখা থেকে ২০১২ সালে গ্লোবাল ট্রেডিং কর্পোরেশন প্রাথমিকভাবে ৬৫০ কোটি টাকা ঋণ নেয়।

সুদে আসলে এ ঋণ ২০২১ সাল পর্যন্ত মোট ১ হাজার ৭০ কোটি ৬৫ লাখ টাকায় পৌঁছেছে।

এর মধ্যে ৬১৭.৪৭ কোটি টাকা পিএডি (পেমেন্ট এগেইনস্ট ডকুমেন্ট), ২২৩.১৮ কোটি টাকা এলটিআর (ট্রাস্ট রিসিপ্ট) ঋণ এবং ২২৯.৯৯ কোটি টাকা সিসি হাইপো ঋণ।

নিউজটি শেয়ার করুন

খেলাপি আদায়ে এস আলমের সম্পত্তি নিলামে

আপডেট সময় : ১০:৩২:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ নভেম্বর ২০২৪

এস আলম গ্রুপের ১ হাজার ৮৫০ কোটি টাকার খেলাপি ঋণ আদায়ের জন্য গ্রুপটির সহযোগী প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ট্রেডিং কর্পোরেশন লিমিটেডের জামানত সম্পত্তি নিলামে তুলেছে রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা ব্যাংক। ১ নভেম্বর পত্রিকায় নিলাম সংক্রান্ত প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে আগামী ২০ নভেম্বর নিলামের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে।

জনতা ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ তথ্য অনুযায়ী, এ ঋণের বিপরীতে বন্ধক রাখা হয়েছে চট্টগ্রাম ও গাজীপুরে এস আলম গ্রুপের ১ হাজার ৮৬০ শতাংশ জমি, যার বাজারমূল্য সর্বোচ্চ ৩৫৮ কোটি টাকা যা পাওনা টাকার চেয়ে প্রায় পাঁচ গুণ কম।

অর্থঋণ আদালত আইনের ১২(৩) ধারা অনুযায়ী, ব্যাংক মামলা করার আগেই জামানতের সম্পত্তি বিক্রি করে টাকা আদায় সম্ভব।

২০২১ সালের বাংলাদেশের কম্পট্রোলার এন্ড অডিটর জেনারেল (সিএজি)-এর এক নিরীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশিকা না মেনে গ্লোবাল ট্রেডিং কর্পোরেশন ঋণসীমা অতিক্রম করে অতিরিক্ত ঋণ নিয়েছে।

গ্লোবাল ট্রেডিং কর্পোরেশন ২০১২ সালে শিল্প কাঁচামাল, বাণিজ্যিক পণ্য এবং নির্মাণ সামগ্রীর ব্যবসায় জড়িত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সাধারণ বীমা ভবনে অবস্থিত জনতা ব্যাংকের চট্টগ্রাম কর্পোরেট শাখা থেকে ২০১২ সালে গ্লোবাল ট্রেডিং কর্পোরেশন প্রাথমিকভাবে ৬৫০ কোটি টাকা ঋণ নেয়।

সুদে আসলে এ ঋণ ২০২১ সাল পর্যন্ত মোট ১ হাজার ৭০ কোটি ৬৫ লাখ টাকায় পৌঁছেছে।

এর মধ্যে ৬১৭.৪৭ কোটি টাকা পিএডি (পেমেন্ট এগেইনস্ট ডকুমেন্ট), ২২৩.১৮ কোটি টাকা এলটিআর (ট্রাস্ট রিসিপ্ট) ঋণ এবং ২২৯.৯৯ কোটি টাকা সিসি হাইপো ঋণ।