সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার হরিপুরে পুরোনো গ্যাসকূপ (সিলেট-৭) সংস্কারের সময় নতুনভাবে গ্যাসের সন্ধান পাওয়া গেছে। আজ সোমবার (৪ নভেম্বর) এই কূপ থেকে সাড়ে ৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পরীক্ষামূলকভাবে জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ শুরু হবে বলে জানিয়েছে সিলেট গ্যাস ফিল্ড লিমিটেড (এসজিএফএল)।
এসজিএফএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মিজানুর রহমান জানান, দুপুরের পর আনুষ্ঠানিকভাবে এই কার্যক্রম উদ্বোধন হবে। অনুষ্ঠানে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব এবং পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যানের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। তিনি আরও জানান, সিলেট গ্যাস ফিল্ড লিমিটেড ইতিমধ্যে জাতীয় গ্রিডে ১৩০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করে আসছে এবং আজ থেকে সেই পরিমাণ আরও বাড়বে।
গত ২২ অক্টোবর কূপ সংস্কারের সময় নতুন গ্যাসের সন্ধান মেলে, যা পরে দুই দফায় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। ১২০০ মিটার গভীরতায় পাওয়া এই গ্যাস কূপটি ১৯৮৬ সালে তেল উত্তোলনের মাধ্যমে চালু হয়, যা ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত চলে। পরবর্তীতে ওই কূপ থেকে গ্যাস উত্তোলন শুরু করা হয়।
সিলেট গ্যাস ফিল্ড লিমিটেডের প্রকল্প পরিচালক আবদুল জলিল প্রামাণিক জানান, সংস্কারের ফলে কূপটির দুটি স্তরে গ্যাসের মজুদ পাওয়া যায়, যার মধ্যে একটি স্তর থেকে আজ জাতীয় গ্রিডে সাড়ে ৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস যুক্ত হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ১৯৫৫ সালে সিলেটের হরিপুরে প্রথম গ্যাসের সন্ধান পাওয়া যায়। এরপর থেকে আবিষ্কার হতে থাকে একের পর এক গ্যাসক্ষেত্র। দেশে বর্তমানে গ্যাসক্ষেত্রের সংখ্যা হচ্ছে ২৯টি। তার মধ্যে এসজিএফএল নিয়ন্ত্রণে আছে ৫টি গ্যাসক্ষেত্র। এই গ্যাসক্ষেত্রগুলো হচ্ছে হরিপুর গ্যাস ফিল্ড, রশিদপুর গ্যাস ফিল্ড, ছাতক গ্যাস ফিল্ড, কৈলাশটিলা গ্যাস ফিল্ড ও বিয়ানীবাজার গ্যাস ফিল্ড।