গুম কমিশন অভিযোগ পেয়েছে ১৬০০’র বেশি গুমের
- আপডেট সময় : ০২:১২:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০২৪
- / ৩৪১ বার পড়া হয়েছে
গত ১ অক্টোবর থেকে গুম কমিশন ১৬০০’র বেশি গুমের অভিযোগ পেয়েছে বলে জানা গেছে। এর মধ্যে ইন্টারভিউ নেয়া হয়েছে ১৪০ জনের। অন্যদিকে অভিযোগ খতিয়ে দেখা হয়েছে ৪০০ জনের। আজ মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) সকালে কমিশনের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে গুম কমিশনের চেয়ারম্যান হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরী এই তথ্য জানান।
এসময় তিনি বলেন, গত সরকারের আমলে গুমের শিকার ১০জন ব্যক্তি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করেছেন। এসকল গুমের ঘটনা ছিলো ২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত।
এসময় তিনি আরও বলেন, এই সকল গুমের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী কোন দেশের সংশ্লিষ্টতা আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জিজিএফআই, র্যাব, পুলিশ, ডিবি, সিটিটিসি, সিআইডির কর্মকর্তাদের গুমের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা ছিলো।
রাজনৈতিক কারণ ছাড়াও সরকারের সমালোচনা করার কারনে অনেকে গুমের শিকার হয়েছেন বলেও এসময় উল্লেখ করেন কমিশনের চেয়ারম্যান মঈনুল ইসলাম চৌধুরী।
সম্মেলনে কমিশনের প্রধান জানান, ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত কমিশনে ১ হাজার ৬ শ’র বেশি অভিযোগ জমা পড়েছে। এ পর্যন্ত র্যাবের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি ১৭২টি অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়া ডিবির বিরুদ্ধে ৫৫, সিটিটিসি বিরুদ্ধে ৩৭, ডিজিএফআইর বিরুদ্ধে ২৬ ও পুলিশের বিরুদ্ধে ২৫টি অভিযোগ জমা পড়েছে।
মইনুল ইসলাম চৌধুরী জানান, বেশিভাগ অভিযোগেই দেখা গেছে, গ্রেপ্তারের পর আদালতে যথাসময়ে হাজির করেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যদের ব্যাক্তি ও দলীয় স্বার্থে ব্যবহার করা হয়েছে বলেও উল্লাখ করা সংবাদ সম্মেলনে। সরকারের সমালোচনা করায় বিভিন্ন ব্যক্তিকে গুম ও নির্যাতনের তথ্য পেয়েছে কমিশন।
কমিশনের কাছে প্রায় দুই শ মানুষের নিখোঁজের তথ্য আছে, তবে তাদের কতজন গুম হয়েছেন তা নিশ্চিত নয় বলে জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে। এখন পর্যন্ত ৪০০টি অভিযোগ খতিয়ে দেখার পাশাপাশি ১৪০ জনের সঙ্গে কথা বলেছে কমিশন।
উল্লেখ্য, গুমকে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ উল্লেখ করে তা তদন্তে আগস্টে গঠন করা হয় গুম কমিশন। বাংলাদেশে গুমের ঘটনা তদন্তে স্বাধীনতার পর এই প্রথম এ ধরনের গঠন করলো সরকার। গত ১৪ বছরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গুমের শিকার ব্যক্তিদের সন্ধানে অন্তর্বর্তী সরকার পাঁচ সদস্যের এই তদন্ত কমিশন গঠন করে।