ঢাকা ১০:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ২২ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ট্রাম্পকে শুভেচ্ছা জানালেন জেলেনস্কিও, যুদ্ধ কী থামবে?

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৪:১৯:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ নভেম্বর ২০২৪
  • / ৩৪৬ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আনুষ্ঠানিক ফল এখনো আসেনি। যদিও ফক্স নিউজ বলছে, প্রাথমিক ফলাফলে ২৭০টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট পেয়ে গেছেন রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনিই হতে চলেছেন পরবর্তী মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এরই মধ্যে ট্রাম্পকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বেশ কয়েকজন বিশ্বনেতা। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিও।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, এটি দুর্দান্ত এক জয়। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেছেন, তাঁর প্রেসিডেন্সির সময় ইউক্রেন আরেকটু শান্তির দিকে এগিয়ে যাবে।

জেলেনস্কি এক্সে লেখেন, বৈশ্বিক বিষয়ে শক্তির মাধ্যমে শান্তি পদ্ধতির প্রতি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রতিশ্রুতিকে আমি প্রশংসা করি। এটি সেই সঠিক নীতি, যা কার্যত ইউক্রেনে শুধু শান্তি আনতে পারে। আমি আশাবাদী যে, আমরা একসাথে এটি কার্যকর করতে পারব।’

এ ছাড়া শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান উরসুলা ভন দার লিয়েন। তিনি বলেন, ‘আমাদের মানুষদের মধ্যে সম্পর্ক সঠিক পথে রাখতে আমরা বাধ্য। আমরা ৮০ কোটি মানুষকে এক করছি।’

মার্কিন নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে ছিল রাশিয়া ও ইউক্রেন। যুদ্ধরত এই দেশ দুটো পর্যবেক্ষণ করেছে মূলত ট্রাম্প জেতেন কিনা সেটি দেখার জন্য। তিনি জিতে যাচ্ছেন, হয়তো ইউক্রেনে সহায়তা কমে যেতে পারে। তার প্রভাব পড়বে যুদ্ধে। বিশ্লেষকেরা এমনটাই বলছেন।

এমনকি ট্রাম্পও বলেছেন, তিনি চাইলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করতে পারবেন। ধারণা করা হচ্ছে, ক্ষমতায় গেলে তিনি সহায়তা বন্ধ করে দিয়ে ইউক্রেনকে রাশিয়ার সঙ্গে সমঝোতা করতে বাধ্য করতে পারেন। এতে করে ইউক্রেনের বেশকিছু এলাকা পেয়ে যাবে রাশিয়া।

এ ব্যাপারে ইউরেশিয়া গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি আইয়ান ব্রেমার সংবাদমাধ্যম সিএনবিসিকে বলছেন, ‘মার্কিন নির্বাচন ইউক্রেনীয়দের হাত জোর করে বেঁধে দিতে পারে। কারণ ট্রাম্পের জয় অবিলম্বে আমেরিকান নীতি অভিমুখী পরিবর্তনের দিকে নিয়ে যাবে এবং আলোচনার জন্য কিয়েভের ওপর আরও অনেক বেশি চাপ সৃষ্টি করবে, যার অর্থ ইউক্রেনীয়দের শীঘ্রই সিদ্ধান্ত নিতে হবে, তারা তাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সামরিক সমর্থক থেকে বিচ্ছিন্ন হতে চায় কি না।’

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্রাম্পকে শুভেচ্ছা জানালেন জেলেনস্কিও, যুদ্ধ কী থামবে?

আপডেট সময় : ০৪:১৯:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ নভেম্বর ২০২৪

আনুষ্ঠানিক ফল এখনো আসেনি। যদিও ফক্স নিউজ বলছে, প্রাথমিক ফলাফলে ২৭০টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট পেয়ে গেছেন রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনিই হতে চলেছেন পরবর্তী মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এরই মধ্যে ট্রাম্পকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বেশ কয়েকজন বিশ্বনেতা। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিও।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, এটি দুর্দান্ত এক জয়। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেছেন, তাঁর প্রেসিডেন্সির সময় ইউক্রেন আরেকটু শান্তির দিকে এগিয়ে যাবে।

জেলেনস্কি এক্সে লেখেন, বৈশ্বিক বিষয়ে শক্তির মাধ্যমে শান্তি পদ্ধতির প্রতি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রতিশ্রুতিকে আমি প্রশংসা করি। এটি সেই সঠিক নীতি, যা কার্যত ইউক্রেনে শুধু শান্তি আনতে পারে। আমি আশাবাদী যে, আমরা একসাথে এটি কার্যকর করতে পারব।’

এ ছাড়া শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান উরসুলা ভন দার লিয়েন। তিনি বলেন, ‘আমাদের মানুষদের মধ্যে সম্পর্ক সঠিক পথে রাখতে আমরা বাধ্য। আমরা ৮০ কোটি মানুষকে এক করছি।’

মার্কিন নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে ছিল রাশিয়া ও ইউক্রেন। যুদ্ধরত এই দেশ দুটো পর্যবেক্ষণ করেছে মূলত ট্রাম্প জেতেন কিনা সেটি দেখার জন্য। তিনি জিতে যাচ্ছেন, হয়তো ইউক্রেনে সহায়তা কমে যেতে পারে। তার প্রভাব পড়বে যুদ্ধে। বিশ্লেষকেরা এমনটাই বলছেন।

এমনকি ট্রাম্পও বলেছেন, তিনি চাইলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করতে পারবেন। ধারণা করা হচ্ছে, ক্ষমতায় গেলে তিনি সহায়তা বন্ধ করে দিয়ে ইউক্রেনকে রাশিয়ার সঙ্গে সমঝোতা করতে বাধ্য করতে পারেন। এতে করে ইউক্রেনের বেশকিছু এলাকা পেয়ে যাবে রাশিয়া।

এ ব্যাপারে ইউরেশিয়া গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি আইয়ান ব্রেমার সংবাদমাধ্যম সিএনবিসিকে বলছেন, ‘মার্কিন নির্বাচন ইউক্রেনীয়দের হাত জোর করে বেঁধে দিতে পারে। কারণ ট্রাম্পের জয় অবিলম্বে আমেরিকান নীতি অভিমুখী পরিবর্তনের দিকে নিয়ে যাবে এবং আলোচনার জন্য কিয়েভের ওপর আরও অনেক বেশি চাপ সৃষ্টি করবে, যার অর্থ ইউক্রেনীয়দের শীঘ্রই সিদ্ধান্ত নিতে হবে, তারা তাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সামরিক সমর্থক থেকে বিচ্ছিন্ন হতে চায় কি না।’