বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের নতুন কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পরই দক্ষিণ কোরিয়াতে যান তাবিথ আউয়াল। এএফসির অনুষ্ঠানে যোগদান শেষে দেশে ফিরে আজ বাফুফে ভবনে এসেছেন নবনির্বাচিত বাফুফে সভাপতি। বাফুফে ভবনে এসেই নিজের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন তাবিথ।
২০১২ সালে বাফুফেতে সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করা তাবিথ নতুন পরিচয়ে চার বছর পর বাফুফে ভবনে এসেছেন। বাফুফের বেতনভুক্ত কর্মীদের সঙ্গে পরিচয় পর্ব শেষে নতুন নির্বাহী কমিটির সঙ্গেও কথা বলেছেন। যেখানে ২০ জনের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সভাপতিসহ ১৮ জন।
সবার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন তাবিথ আউয়াল। ফুটবলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে নিজের বিভিন্ন পরিকল্পনার কথাও বলেছেন তিনি।
বাফুফেতে এতদিন সভাপতি নির্ভরতা ছিল অনেক, তা থেকে বের হওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে তাবিথ বলেন, ‘আমরা আগামী চার বছর ফুটবলটা এগিয়ে নিতে চাই কারও একজনের ওপর নির্ভরশীল না হয়ে। কেউ অসুস্থ থাকতে পারে, কেউ ট্র্যাভেলে থাকতে পারে। অন্য কেউ তার বিকল্প হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে, কাজ এগিয়ে নেবে। সেটা স্টাফদের ক্ষেত্রে যেমন, ঠিক তেমনই আমাদের নির্বাহী কমিটিরও। সভাপতি না থাকলে সিনিয়র সহ-সভাপতি থাকবেন। সিনিয়র সহ-সভাপতি না থাকলে সহ-সভাপতিরা আছেন। এছাড়া নির্বাহী সদস্যরাও কোন না কোন সময় দায়িত্ব নিতে হবে। এভাবেই আমরা দল হয়ে কমিটিটা চালাব। সিদ্ধান্তে বা কাজে ক্ষেত্রে কোন বাধা থাকবে না।’
চার বছর আগে সহ-সভাপতি হিসেবে ফেডারেশন থেকে বিদায় নিয়েছিলেন। সময়ের ব্যবধানে এখন সভাপতি হয়েছেন। সেই অনুভূতি নিয়ে তাবিথ বলেন, ‘বাফুফে ভবনে এসে নিশ্চয় খুব ভালো লাগছে, মনে হচ্ছে আমি আমার বাসায় ফিরে এসেছি। বিষয়টা এখনও স্বপ্নের মধ্যে আছে না কি, বাস্তব রূপ পেয়েছে, সেটা এখনো বুঝতে পারছি না। তাই এই উপলদ্ধিটা আমি পরে আপনাদের জানাবো। স্বপ্ন তো সবাই দেখে। তবে নির্দিষ্ট করে তো দেখিনি কোন দিন তারিখে সভাপতি হবো। একটা স্বপ্ন তো ছিলই। প্রথম যখন ২০১২ সালে সহ-সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়ে আসি, তখন স্বপ্ন ছিল একদিন সভাপতি হবো। হয়তো এত শিঘঘরই মনে করিনি। তবে যা হয়ে গেছে, তা নিয়ে আমি অবশ্যই গর্ববোধ করছি।’