আর্জেন্টিনার দল ঘোষণা মানেই দিবালার ডাক না পাওয়া!
- আপডেট সময় : ০২:০১:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ নভেম্বর ২০২৪
- / ৩৪৩ বার পড়া হয়েছে
আগামী ১৫ নভেম্বর প্যারাগুয়ের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচ খেলবে আর্জেন্টিনা। এর ৫ দিন পর ঘরের মাঠে পেরুকে আতিথ্য দেবে লিওনেল স্কলোনির দল। এ দুটি ম্যাচকে সামনে রেখে গতকাল মঙ্গলবার ২৮ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে আর্জেন্টিনা। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে দলে ফিরেছেন গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্তিনেস। প্রথমবারের মতো জাতীয় দলে ডাক পেয়েছেন ভালেন্সিয়ার ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার এনসো বারেনেচিয়া। অন্যদিকে স্কোয়াড থেকে আরেকবার জায়গা হারিয়েছেন পাওলো দিবালা।
এর আগে গত সেপ্টেম্বরে চিলি ও কলম্বিয়ার বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের দুটি ম্যাচ খেলে আর্জেন্টিনা। ওই দুই ম্যাচে আপত্তিকর আচরণের অভিযোগে মার্তিনেসকে দুই ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা দেয় ফিফা। সে কারণে গতমাসে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ভেনেজুয়েলা ও বলিভিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে স্কোয়াডে ছিলেন না অ্যাস্টন ভিলার ৩২ বছর বয়সী এ গোলকিপার।
ওই দুই ম্যাচের স্কোয়াডে থাকলেও পেশির চোটে মাঠে নামতে পারেননি দিবালা। রোমার ফরোয়ার্ড এবার বাদ পড়লেন স্কোয়াড থেকেই। অক্টোবরে আর্জেন্টিনার ম্যাচগুলোর পর অবশ্য ক্লাব রোমার হয়ে লিগ ও ইউরোপা ৫ ম্যাচের সবগুলোতেই খেলেছেন দিবালা, গোল করেছেন ১টি।
চোট শঙ্কা ছিল ডিফেন্ডার ক্রিস্তিয়ান রোমেরোকে নিয়েও, তবে তিনি দলে আছেন। গত সপ্তাহে অ্যাস্টন ভিলার বিপক্ষে ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে চোট পেয়ে উঠে যান টটেনহাম ডিফেন্ডার। আর্জেন্টাইন সংবাদমাধ্যম মুন্দো আলবিসেলেস্তে এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, মেডিকেল পরীক্ষার পর জানা গেছে, রোমেরোর হাড় ভাঙেনি। ডান পায়ের বুড়ো আঙুলের লিগামেন্টের ক্ষতি হয়েছে।
স্কালোনি ঘোষিত ২৮ সদস্যের দলে নতুন মুখ ভালেন্সিয়ার ২৩ বছর বয়সী ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার এনসো বারেনেচিয়াই। এছাড়া তরুণ নিকোলাস পাস, আলেহান্দ্রো গারনাচোরা এবারও দলে আছেন।
বর্তমানে ১০ ম্যাচে ২২ পয়েন্ট নিয়ে লাতিন অঞ্চলের তালিকার শীর্ষেই আছে আর্জেন্টিনা। সমান ম্যাচে ১৯ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার দুইয়ে কলম্বিয়া। সমান ১৬ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে যথাক্রমে উরুগুয়ে ও ব্রাজিল।
আর্জেন্টিনার স্কোয়াড
গোলকিপার: এমিলিয়ানো মার্তিনেস (অ্যাস্টন ভিলা), হেরোনিমো রুইয়ি (অলিম্পিক মার্শেই), ওয়ালতার বেনিতেস (পিএসভি)।
ডিফেন্ডার: গনসালো মন্তিয়েল (সেভিয়া), নাহুয়েল মলিনা (আতলেতিকো মাদ্রিদ), ক্রিস্তিয়ান রোমেরো (টটেনহাম), লিওনার্দো বালের্দি (অলিম্পিক মার্শেই), হেরমান পেতসেয়া (রিভার প্লেত), নিকালোস ওতামেন্দি (বেনফিকা), লিসান্দ্রো মার্তিনেস (ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড), নিকোলাস তাগলিয়াফিকো (লিও), নেহুয়েন পেরেস (পোর্তো)।
মিডফিল্ডার: লিয়ান্দ্রো পারেদেস (এএস রোমা), আলেক্সিস ম্যাকঅ্যালিস্টার (লিভারপুল), রদ্রিগো দে পল (আতলেতিকো মাদ্রিদ), এজেকিয়েল পালাসিওস (বায়ের লেভারকুসেন), এনসো ফের্নান্দেস (চেলসি), জিওভান্নি লো সেলসো (রেয়াল বেতিস), এনসো বারেনেচিয়া (ভ্যালেন্সিয়া), থিয়াগো আলমাদা (বোতাফোগো), নিকোলাস পাস (কোমো ১৯০৭) ও ফাকুন্দো বোনানোত্তে (লেস্টার সিটি)।
ফরোয়ার্ড: আলেহান্দ্রো গারনাচো (ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড), নিকোলাস গনসালেস (ইউভেন্তুস), লিওনেল মেসি (ইন্টার মায়ামি), লওতারো মার্তিনেস (ইন্তের মিলান), হুলিয়ান আলভারেস (আতলেতিকো মাদ্রিদ), ভালেন্তিন কাস্তেয়ানোস (লাৎসিও)।