গুমের মূলহোতা জিয়াউলের সম্পত্তি দেখভাল করেন ঊর্মিলা!
- আপডেট সময় : ০৩:৩৭:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ নভেম্বর ২০২৪
- / ৩৪৩ বার পড়া হয়েছে
দীঘদিন অভিনয় থেকে দূরে থাকলেও, হঠাৎই আলোচনায় একসময়ের ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী উমিলা শ্রাবন্তী কর। তবে নতুন কোনো নাটক বা ওয়েব সিরিজে অভিনয়ের জন্য না, আওয়ামী লীগের দোসর কুখ্যাত মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানের সঙ্গে থানা হাজতে দেখা করতে যেয়েই লাইমলাইটে এই অভিনেত্রী।
আওয়ামী লীগের ১৬ বছরের শাসনামলে সাবেক এই সেনাকমকতার নানা অপকর্ম এখন একে একে সমনে আসছে। কুখ্যাত জিয়ার সঙ্গে কেন থানায় দেখা করতে গেলেন উমিলা সেই প্রশ্ন এখন জনমনে।
বর্তমানে নিউমার্কেট থানা হাজতে বন্দি, হাজারো অপকর্মের জন্য দায়ী মেজর জিয়ার সাথে উমিলার দেখা করতে যাওয়ার বিষয়টি, কাতারভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল-জাজিরার সংবাদকর্মী জুলকারনাইন সাইর তার ফেসবুকের একটি পোস্টে জানান। যেখানে তিনি সাবেক এনটিএমসির মহাপরিচালক জিয়াউল আহসান কীভাবে, সরকারী দপ্তরকে নিজের পারিবারিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছিলেন, তারই একটি অভিযোগ তুলে ধরেন। ফেসবুকের ওই পোস্টে নাম ও পদবিসহ বিস্তারিত আকারে এনটিএমসির সকল অসাধু ও জিয়ার আত্মীয়দের চিহ্নিত করে দেন জুলকারনাইন।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে সাবেক এই সেনা কর্মকর্তার সঙ্গে ছোট পর্দার অভিনেত্রী ডমিলার কী সম্পর্ক? মূলতো উর্মিলা শিক্ষা জীবন থেকেই আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠন ও বর্তমানে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন। অভিনয় জীবনে তেমন সাফল্য কায়েম করতে না পেরে, তিনি রাজনীতির পথ বেছে নেন উপরে উঠার জন্য। আর কোনো এক পর্যায়ে তিনি আওয়ামী দোসর মেজর জিয়াউল আহসানের সাথেও ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন।
জুলকারনাইনের সেই পোস্ট অনুযায়ী, অনৈতিক সম্পর্ক ছাড়াও, সাবেক এনটিএমসির মহাপরিচালক মেজর জিয়ার অবৈধ বিভিন্ন ব্যবসার সাথেও জড়িত আছেন এই অভিনেত্রী। সেসব ব্যবসার বিষয়েই আলাপ করতে এবং মেজর জিয়ার সহচর শাকিল ও রাসেলের জন্য নির্দেশনা নিতেই উমিলা থানায় যান বলে জানিয়েছেন জুলকারনাইন।
২০১৬ থেকে বহু শুম-খুনের সাথে জড়িত কুখ্যাত সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানের ছত্রছাঁয়ায়ই কাজ করতেন এনটিএমসির একটি বিশেষ দল। সেই দলে ছিলেন জিয়ার শ্যালক রিজভান ইসলাম অনতু, জামাল উদ্দিন, আহমেদ ডালিম, জামিউল ইসলাম, মুনাইম শাহরিয়ার। এরা সবাই এনটিএমসির সদস্য।
জিয়াউল আহসান নিজে গ্রেপ্তার হলেও, তার বিশেষ দলের প্রত্যেকে বহাল তবিয়তে বাংলাদেশেই অবস্থান করছেন। এদিকে, জিয়ার এসব সহচরদের গ্রেপ্তার বা আটকে দেশের কোন একটি সংস্থাও কার্যকরী ভূমিকা রাখছে না। অন্যদিকে, জিয়ার অবৈধ ব্যবসার পরিচালনার উদ্দেশে বার্তালাপ করতেই উর্মিলা শ্রাবন্তী কর থানা পর্যন্ত পৌঁছে গেছে।