প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দেশে রিজার্ভের পরিমাণও বাড়ছে। ফলে বর্তমান হিসাব অনুযায়ী রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পৌঁছেছে। তবে নিট ইন্টারন্যাশনাল রিজার্ভ (এনআইআর বা ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ) এখনো ১৫ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি অবস্থান করছে। বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) এ তথ্য প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
সম্প্রতি আমদানি ব্যয় কমে আসা ও প্রবাসী আয়ের ইতিবাচক ধারা অব্যাহত থাকার কারণে ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে।
প্রবাসী আয় বৃদ্ধি পেলে বাণিজ্যিক ব্যাংককে আর বাংলাদেশ ব্যাংকের দ্বারস্থ হতে হয় না। বরং প্রবাসী আয় সংগ্রহকারী ব্যাংকগুলোকে রেমিট্যান্সের নির্দিষ্ট পরিমাণ বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে বিক্রি করতে হয়। বৈদেশিক ঋণ, সহায়তা, বিনিয়োগের ডলার বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা হয়। আবার রপ্তানি আয়ও রিজার্ভের অংশ। রপ্তানি আয় বাদে রিজার্ভের সব উৎসে ইতিবাচক ধারা অব্যাহত আছে। যে কারণে রিজার্ভের হ্রাসের হার কিছুটা কমেছে।
তথ্য বলছে, আগের মাস ৮ অক্টোবরে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল এক হাজার ৯৮২ কোটি ৬৭ লাখ ২০ হাজার ডলার। সে হিসাবে এক মাসে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়েছে ১৮ কোটি ১৪ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকা। তবে ব্যবহারযোগ্য নিট রিজার্ভের পরিমাণ ১৫ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি।
অবশ্য দুই-এক দিনের মধ্যে প্রায় দেড় বিলিয়ন ডলার এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) বিল পরিশোধ করতে হবে। এরপর রিজার্ভের পরিমাণ ১৯ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে আসবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র হোসনে আরা শিখা বলেন, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ একটি প্রবাহমান ধারা। কমবে আবার বাড়বে। তবে এখন বৈদেশিক মুদ্রার জোগান ইতিবাচক ধারাতে আছে। ফলে রিজার্ভ এখন আর কমবে না।