ঢাকা ০১:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী চাওয়া মাত্রই শেখ হাসিনাকে ফেরত দিতে ভারতের প্রতি আহ্বান

নীলফামারী প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৯:২৫:১৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ নভেম্বর ২০২৪
  • / ৩৫৬ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যখনই চাইবে তখনই শেখ হাসিনাকে ফেরত দিতে ভারতের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জামায়াতের আমীর ডা. শফিকুর রহমান। নীলফামারী জেলা জামায়াতের আয়োজনে কর্মী সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘জামায়াত চায় না বিনা বিচারে দেশের একজন মানুষও হত্যা হোক।’

দেড় যুগেরও বেশি সময় পর মুক্ত বাতাসে উত্তরের জনপদে জামায়াতে ইসলামীর এই সমাবেশ। এর আগে বিশ দলীয় জোটের ব্যানারে দলটি নিজেদের কর্মীদের ব্যাপক সমাগমের চেষ্টা করলেও নীলফামারিতে একক আয়োজনে এমন কর্মী সমাবেশ সবশেষ হয়েছিল ২০০৭ সালে।

এ সমাবেশে দলটির সর্বোচ্চ নেতার আগমন ঘিরে নীলফামারী পৌরসভা মাঠে নামে নেতাকর্মীর ঢল। চোখেমুখে স্বস্তি আর রাজনীতির মাঠে দলটির সরব উপস্থিতি একদিকে নেতাকর্মীদের যেমন চাঙা করে তুলেছে, তেমনি আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে এ সমাবেশ পাচ্ছে বাড়তি গুরুত্ব।

নীলফামারী জেলার ছয়টি উপজেলা ও চারটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত চারটি সংসদীয় আসনের একটিতে রয়েছে জামায়াতের একক আধিপত্য। ১৯৮৬ থেকে ২০০১ পর্যন্ত তিনটি নির্বাচনে বিপুল ভোট পেয়ে সংসদে প্রতিনিধিত্ব করে দলটির প্রার্থী। তবে পট-পরিবর্তনের পর এ সংখ্যা বাড়াতে বেশ তৎপর বিগত সরকারের আমলে কোণঠাসা হয়ে থাকা দলটির নেতাকর্মীরা। এ সমাবেশে জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতাদের বক্তব্যেও পাওয়া যায় তেমন আভাস।

সকালে শুরু হওয়া কর্মী সভায় পূর্বনির্ধারিত সময়ে মঞ্চে আসেন আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান। বক্তব্যের শুরুতেই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের জামায়াত নেতাদের বিচারের কঠোর সমালোচনা করেন আমীরে জামায়াত।

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী ক্যাডারদের বিচারক সাজিয়ে পাতানো সাক্ষী দিয়ে খুন করা হয় জামায়াত নেতাদের।’

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ১৫০টিরও অধিক মামলা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে খুন ও গুমসহ অনেক মামলা আছে। আমাদের বিচারালয় যখন চাইবে তখন তাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দেবেন।’

পাঁচ আগস্ট পরবর্তী পট পরিবর্তনের প্রসঙ্গ টানেন ডা. শফিক, ফ্যাসিস্ট পতনের পর রক্তপাত এড়াতে দেশবাসী যে ধৈর্য ধারণ করেছেন তারও প্রশংসা করেন জামায়াতের আমির।

তিনি বলেন, ‘জামায়াত চায় না অন্যায়ভাবে দেশের একজন মানুষকেও হত্যা করা হোক।’

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘যদি কিছু করতে হয় তাহলে আইনের আশ্রয় নিতে হবে, কেউ আইন হাতে তুলে নিবেন না। আমাদের দেশবাসী চরম ধৈর্য ও দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়েছে।’

এ সময় গুম-খুনের মামলার আসামি পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরত দিতে ভারতের প্রতি আহ্বান জানান জামায়াত আমীর।

নিউজটি শেয়ার করুন

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী চাওয়া মাত্রই শেখ হাসিনাকে ফেরত দিতে ভারতের প্রতি আহ্বান

আপডেট সময় : ০৯:২৫:১৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ নভেম্বর ২০২৪

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যখনই চাইবে তখনই শেখ হাসিনাকে ফেরত দিতে ভারতের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জামায়াতের আমীর ডা. শফিকুর রহমান। নীলফামারী জেলা জামায়াতের আয়োজনে কর্মী সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘জামায়াত চায় না বিনা বিচারে দেশের একজন মানুষও হত্যা হোক।’

দেড় যুগেরও বেশি সময় পর মুক্ত বাতাসে উত্তরের জনপদে জামায়াতে ইসলামীর এই সমাবেশ। এর আগে বিশ দলীয় জোটের ব্যানারে দলটি নিজেদের কর্মীদের ব্যাপক সমাগমের চেষ্টা করলেও নীলফামারিতে একক আয়োজনে এমন কর্মী সমাবেশ সবশেষ হয়েছিল ২০০৭ সালে।

এ সমাবেশে দলটির সর্বোচ্চ নেতার আগমন ঘিরে নীলফামারী পৌরসভা মাঠে নামে নেতাকর্মীর ঢল। চোখেমুখে স্বস্তি আর রাজনীতির মাঠে দলটির সরব উপস্থিতি একদিকে নেতাকর্মীদের যেমন চাঙা করে তুলেছে, তেমনি আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে এ সমাবেশ পাচ্ছে বাড়তি গুরুত্ব।

নীলফামারী জেলার ছয়টি উপজেলা ও চারটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত চারটি সংসদীয় আসনের একটিতে রয়েছে জামায়াতের একক আধিপত্য। ১৯৮৬ থেকে ২০০১ পর্যন্ত তিনটি নির্বাচনে বিপুল ভোট পেয়ে সংসদে প্রতিনিধিত্ব করে দলটির প্রার্থী। তবে পট-পরিবর্তনের পর এ সংখ্যা বাড়াতে বেশ তৎপর বিগত সরকারের আমলে কোণঠাসা হয়ে থাকা দলটির নেতাকর্মীরা। এ সমাবেশে জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতাদের বক্তব্যেও পাওয়া যায় তেমন আভাস।

সকালে শুরু হওয়া কর্মী সভায় পূর্বনির্ধারিত সময়ে মঞ্চে আসেন আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান। বক্তব্যের শুরুতেই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের জামায়াত নেতাদের বিচারের কঠোর সমালোচনা করেন আমীরে জামায়াত।

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী ক্যাডারদের বিচারক সাজিয়ে পাতানো সাক্ষী দিয়ে খুন করা হয় জামায়াত নেতাদের।’

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ১৫০টিরও অধিক মামলা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে খুন ও গুমসহ অনেক মামলা আছে। আমাদের বিচারালয় যখন চাইবে তখন তাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দেবেন।’

পাঁচ আগস্ট পরবর্তী পট পরিবর্তনের প্রসঙ্গ টানেন ডা. শফিক, ফ্যাসিস্ট পতনের পর রক্তপাত এড়াতে দেশবাসী যে ধৈর্য ধারণ করেছেন তারও প্রশংসা করেন জামায়াতের আমির।

তিনি বলেন, ‘জামায়াত চায় না অন্যায়ভাবে দেশের একজন মানুষকেও হত্যা করা হোক।’

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘যদি কিছু করতে হয় তাহলে আইনের আশ্রয় নিতে হবে, কেউ আইন হাতে তুলে নিবেন না। আমাদের দেশবাসী চরম ধৈর্য ও দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়েছে।’

এ সময় গুম-খুনের মামলার আসামি পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরত দিতে ভারতের প্রতি আহ্বান জানান জামায়াত আমীর।