ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ও লেবাননে আবারও বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে ১০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অসংখ্য।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, গতকাল বৃহস্পতিবার ইসরায়েলি হামলায় শুধু গাজাতেই ৫০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে গাজার উত্তরাঞ্চলে নিহত হয়েছেন ৪২ জন। গাজার মেডিকেল সূত্র আল জাজিরাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
গাজার স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয় বলেছে, গত এক বছরের বেশি সময় ধরে চলা ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত ৪৩ হাজার ৪৬৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন অন্তত ১ লাখ ২ হাজার ৫৬১ ফিলিস্তিনি।
অন্যদিকে লেবাননজুড়ে গতকাল ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছে ৫৩ জন। লেবাননের জনস্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৩ ঘণ্টায় ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলায় ৫৩ জন নিহত এবং ১৬১ জন আগত হয়েছেন।
এর আগের দিন বুধবারেও লেবাননের বেকা উপত্যকা ও বালবেক শহরে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে অন্তত ৪০ জন লেবানিজ নিহত হয়েছেন।
ওই দিন লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ জানায়, তারা ইসরায়েলের বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরের কাছে একটি সামরিক ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে।
এ হামলার ব্যাপারে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে, লেবানন থেকে ছোড়া একটি ক্ষেপণাস্ত্র গুরিয়ন বিমানবন্দরের কাছে পড়েছে। তবে বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করা হয়েছে।
গত সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময় থেকে রাজধানী বৈরুতসহ লেবাননের বিভিন্ন স্থানে বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এতে হাজারো মানুষ নিহত হয়েছে। যাদের মধ্যে অনেক বেসামরিক নাগরিক রয়েছে। তবে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর দাবি, লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর অবস্থান, অবকাঠামো ও অস্ত্রাগার লক্ষ্য করে এসব হামলা চালানো হচ্ছে।
পাল্টা হামলা চালাচ্ছে হিজবুল্লাহও। লেবাননে অভিযানে অংশ নেওয়া ইসরায়েলি বাহিনীর ৭০ জন সেনাকে হত্যার দাবি করেছে সশস্ত্র গোষ্ঠীটি। তবে ঠিক কত দিনে এই সেনারা নিহত হয়েছেন, তা উল্লেখ নিশ্চিত করা হয়নি।