ঢাকা ১২:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

গাজার যুদ্ধ এবার কোনদিকে যাবে

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৯:০৯:৫৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ নভেম্বর ২০২৪
  • / ৩৫৪ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়কে ফিলিস্তিনি জনগণের ইতিহাসে নতুন বিপর্যয় বলে মনে করছেন গাজাবাসী। তারা বলছেন, ট্রাম্পকে তারা শত্রু হিসেবেই মোকাবিলা করবেন। এদিকে, ইসরায়েলের সাথে আমেরিকার নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে হতাশ আরবের বাসিন্দারা।

এক বছরের বেশি সময় ধরে চলা ইসরায়েলি আগ্রাসনে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজা। বাইডেন প্রশাসনের সামরিক সহায়তায় সেখানে প্রাণহানি ছাড়িয়েছে ৪৩ হাজার। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচিত হওয়ায় উদ্বেগ বেড়েছে গাজাবাসীর মধ্যে। ট্রাম্পের জয় ফিলিস্তিনি জনগণের ইতিহাসে নতুন করে বিপর্যয় আনবে বলে মনে করছেন তারা।

গাজাবাসীরা বলছেন, আমেরিকার নেতৃত্ব যেই আসুক, ফিলিস্তিন ইস্যুতে তাদের মনোভাব অপরিবর্তনীয়।

গাজার এক বাসিন্দা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘ডোনাল্ড ট্রাম্প বা কমলা হ্যারিস একই প্রশাসনের। ফিলিস্তিনিদের তারা শত্রু হিসেবেই দেখে। ভুলে যাবেন না ট্রাম্পই প্রথম যিনি প্রেসিডেন্ট হয়ে জেরুজালেমকে ইসরায়েলিদের রাজধানী বলেছিলেন। সেইসাথে তেল আবিব থেকে জেরুজালেমে মার্কিন দূতাবাস সরিয়ে নিয়েছিলেন। তাই সেও আমাদের শক্র। ট্রাম্প ফিলিস্তিনিদের জন্য বড় কোনো পরিবর্তন আনবেন না বলেই মনে করেন অনেকেই।

গাজার আরেক বাসিন্দা বলেন, ‘ডোনাল্ড ট্রাম্প ফিলিস্তিনিদের জন্য বড় কোনো পরিবর্তন আনবেন না। গাজায় গোলাবর্ষণ, গণহত্যা সবকিছু ঢাকার চেষ্টা করেছে আমেরিকা। এমনকি জাতিসংঘের বৈঠকে যখন গাজা ইস্যুতে কোনো ইতিবাচক পদক্ষেপ আসতে যায়, তখনই তারা ভেটো দিয়েছে। তাদের থেকে আমরা কীবা আশা করবো।

এদিকে, সমর্থকদের উদ্দেশে ভাষণে যুদ্ধ বন্ধে ট্রাম্পের মন্তব্যকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন আরব দেশের বাসিন্দারা। যদিও ইসরায়েলের সাথে তার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে হতাশ কেউ কেউ।

নিউজটি শেয়ার করুন

গাজার যুদ্ধ এবার কোনদিকে যাবে

আপডেট সময় : ০৯:০৯:৫৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ নভেম্বর ২০২৪

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়কে ফিলিস্তিনি জনগণের ইতিহাসে নতুন বিপর্যয় বলে মনে করছেন গাজাবাসী। তারা বলছেন, ট্রাম্পকে তারা শত্রু হিসেবেই মোকাবিলা করবেন। এদিকে, ইসরায়েলের সাথে আমেরিকার নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে হতাশ আরবের বাসিন্দারা।

এক বছরের বেশি সময় ধরে চলা ইসরায়েলি আগ্রাসনে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজা। বাইডেন প্রশাসনের সামরিক সহায়তায় সেখানে প্রাণহানি ছাড়িয়েছে ৪৩ হাজার। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচিত হওয়ায় উদ্বেগ বেড়েছে গাজাবাসীর মধ্যে। ট্রাম্পের জয় ফিলিস্তিনি জনগণের ইতিহাসে নতুন করে বিপর্যয় আনবে বলে মনে করছেন তারা।

গাজাবাসীরা বলছেন, আমেরিকার নেতৃত্ব যেই আসুক, ফিলিস্তিন ইস্যুতে তাদের মনোভাব অপরিবর্তনীয়।

গাজার এক বাসিন্দা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘ডোনাল্ড ট্রাম্প বা কমলা হ্যারিস একই প্রশাসনের। ফিলিস্তিনিদের তারা শত্রু হিসেবেই দেখে। ভুলে যাবেন না ট্রাম্পই প্রথম যিনি প্রেসিডেন্ট হয়ে জেরুজালেমকে ইসরায়েলিদের রাজধানী বলেছিলেন। সেইসাথে তেল আবিব থেকে জেরুজালেমে মার্কিন দূতাবাস সরিয়ে নিয়েছিলেন। তাই সেও আমাদের শক্র। ট্রাম্প ফিলিস্তিনিদের জন্য বড় কোনো পরিবর্তন আনবেন না বলেই মনে করেন অনেকেই।

গাজার আরেক বাসিন্দা বলেন, ‘ডোনাল্ড ট্রাম্প ফিলিস্তিনিদের জন্য বড় কোনো পরিবর্তন আনবেন না। গাজায় গোলাবর্ষণ, গণহত্যা সবকিছু ঢাকার চেষ্টা করেছে আমেরিকা। এমনকি জাতিসংঘের বৈঠকে যখন গাজা ইস্যুতে কোনো ইতিবাচক পদক্ষেপ আসতে যায়, তখনই তারা ভেটো দিয়েছে। তাদের থেকে আমরা কীবা আশা করবো।

এদিকে, সমর্থকদের উদ্দেশে ভাষণে যুদ্ধ বন্ধে ট্রাম্পের মন্তব্যকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন আরব দেশের বাসিন্দারা। যদিও ইসরায়েলের সাথে তার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে হতাশ কেউ কেউ।