সবজির দাম কমেছে তবে চলছে সেঞ্চুরির খেলা
- আপডেট সময় : ০১:২৭:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ নভেম্বর ২০২৪
- / ৩৫৪ বার পড়া হয়েছে
প্রতিনিয়ত উঠানাম করছে নিত্যপণ্যের দাম। মাছ, মাংস, ডিমের বাজার সব সময়ই থাকছে চড়া। বাজারে আমদানি বাড়ায় সবজির দাম কমাতে জনমনে কিছুটা স্বস্তি এসেছে। তবে আবারও বৃদ্ধি পেয়েছে আলুর দাম। তবে বাকিসব মাছসহ মুরগির মাংস ও গরুর মাংসের দাম অপরিবর্তিতই রয়েছে।
শুক্রবার (৮ নভেম্বর) রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে সবজির এমন দাম দেখা গেছে। দাম এমন চড়া থাকায় ক্রেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করলেও বিক্রেতারা বলছে, এখন বেশির ভাগ সবজির মৌসুম শেষ, শীতে নতুন করে সবজি ওঠার সময় আসছে সামনে। তাই বাজার দর একটু বেশি।
এসব বাজারে গ্রীষ্মকালীন সবজি কচুরমুখী প্রতিকেজি ৭০ টাকা, বেগুন ৬০ থেকে ৮০ টাকা, করলা ৭০ থেকে ৮০ টাকা, পটল ৫০ থেকে ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৭০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকা, পেঁপে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, ধুন্দল ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৭০ টাকা, কচুর লতি ৮০ থেকে ১০০ টাকা, ঝিঙা ১০০ টাকা, শসা ৬০ থেকে ৮০ টাকা ও কাঁচামরিচ ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারগুলোতে শীতকালীন সবজি সিম ১২০ টাকা কেজি, ফুলকপি ৩০ থেকে ৫০ টাকা পিস, বাঁধাকপি ছোট সাইজের ৪০ টাকা পিস, পাকা টমেটো প্রকারভেদে ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা, গাজর ১২০ টাকা, মুলা ৬০ টাকা ও জলপাই ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এসব বাজারে লেবুর হালি ২০ থেকে ৪০ টাকা, ধনেপাতা কেজিতে ১০০ টাকা কমে ২০০ টাকা, কাঁচা কলা হালি ৫০ টাকা, চাল কুমড়া ৬০ টাকা পিস ও মিষ্টি কুমড়া ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারগুলোতে লালশাক ১৫ টাকা আঁটি, লাউশাক ৪০ টাকা, মুলাশাক ২০ টাকা, কলমিশাক ১৫ টাকা, পুঁইশাক ৪০ টাকা ও ডাটাশাক ৩০ টাকা আঁটি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।
বাজারগুলোতে দেশি পেঁয়াজ ১৬০ টাকা, ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ ১২০ টাকা, কাঁচা আদা ১২০ টাকা, পুরান আদা ২৮০ টাকা, রসুন কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে ২৪০ টাকা, নতুন আলু ১২০ টাকা, বগুড়ার আলু ১০০ টাকা ও পুরান আলু ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
রাজধানীর মালিবাগ বাজারের আরেক ক্রেতা সাইদুর রহমানও একই ধরনের অভিযোগ জানিয়ে বলেন, বিক্রেতারা বলছে আগের চেয়ে সবজির দাম কমেছে। হ্যাঁ কমেছে সেটা ১৪০/১৫০ টাকা থেকে ১০০ টাকায় নেমেছে। কিছু সবজি ৬০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু এটাকে তো সবজির দাম কমেছে বলা যায় না। বরং সবজির দামের ঊর্ধ্বগতি। সাধারণ ক্রেতাদের বাজারদর নিয়ে এমন আপত্তি, ভোগান্তি তবুও বাজার মনিটরিংয়ের কোনো উদ্যোগ কখনোই দেখলাম না।
এদিকে সবজির দামের বিষয়ে রামপুরা বাজারের সবজি বিক্রেতা শরিফুল ইসলাম বলেন, গেল কয়েক সপ্তাহের তুলনায় সবজির দাম কিছুটা কমেছে। বাজারের সাত-আট ধরনের সবজির দাম ১০০ টাকা বা তার চেয়ে কিছুটা বেশি। বাকি সব সবজি ৬০ থেকে ৮০ টাকার ঘরে। গেল কয়েক সপ্তাহের তুলনায় সবজির দাম কিছুটা কম।
এসব বাজারে গরুর মাংস প্রতিকেজি ৬৫০ থেকে ৮০০ টাকা, গরুর কলিজা ৮০০ টাকা, গরুর মাথার মাংস ৪৫০ টাকা, গরুর বট ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা ও খাসির মাংস ১ হাজার ১৫০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারগুলোতে এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা, হাঁসের ডিম ২৩০ টাকা, দেশি মুরগির ডিমের হালি ৯০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।
এদিকে গত সপ্তাহের তুলনায় সব ধরনের মুরগির দাম কমেছে। গত সপ্তাহের তুলনায় ব্রয়লার মুরগি কেজিতে ১০ টাকা কমে ১৮৫ থেকে ১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সোনালি কক মুরগি কেজিতে ৪০ টাকা কমে ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সোনালি হাইব্রিড ২৯০ টাকা, দেশি মুরগি ৫২০ টাকা, লেয়ার লাল মুরগি ৩০০ টাকা ও সাদা লেয়ার ২৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
নিষেধাজ্ঞা শেষে বাজারে ইলিশ আসতে শুরু করায় মাছের বাজার স্থিতিশীল রয়েছে। বাজারগুলোতে ৫০০ গ্রামের ইলিশ ১ হাজার টাকা, ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রামের ১ হাজার ৫০০ টাকা, এক কেজি ওজনের ১ হাজার ৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারগুলোতে প্রতিকেজি শিং মাছ চাষের (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, রুই মাছের দাম বেড়ে (আকারভেদে) ৩৮০ থেকে ৫০০ টাকা, দেশি মাগুর মাছ ৮০০ থেকে ১ হাজার ১০০ টাকা, মৃগেল ৩২০ থেকে ৪০০ টাকা, চাষের পাঙাস ২০০ থেকে ২২০ টাকা, চিংড়ি ৭০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা, বোয়াল মাছ ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা, কাতল ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, পোয়া মাছ ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, পাবদা মাছ ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০ টাকা, কই মাছ ২২০ থেকে ২৩০ টাকা, মলা ৫০০ টাকা, বাতাসি টেংরা ১ হাজার ৩০০ টাকা, টেংরা মাছ ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা, কাচকি মাছ ৫০০ টাকা, পাঁচ মিশালি মাছ ২২০ টাকা, রুপচাঁদা ১ হাজার ২০০ টাকা, বাইম মাছ ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকা, দেশি কই ১ হাজার ২০০ টাকা, শোল মাছ ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, আইড় মাছ ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, বেলে মাছ ৮০০ টাকা ও কোরাল মাছ ৭০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এসব বাজারে ৫ কেজি সোয়াবিন তেল ৮১৮ টাকা, দেশি মশুর ডাল ১৪০ টাকা, মুগ ডাল ১৮০ টাকা, মিনিকেট চাল ৭৬ থেকে ৮০ টাকা ও নাজিরশাইল চাল ৭৫ থেকে ৮২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
সাপ্তাহিক ছুটির দিনে বাড্ডা কাঁচাবাজারে বাজার করতে এসেছেন বেসরকারি চাকরিজীবী মুর্শেদ আলম। মাছ-মাংসের দাম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দেশি মুরগি, গরু, খাসির মাংস তো অতিরিক্ত দামের কারণে খেতে পারি না। খাওয়ার মধ্যে কোনোভাবে কিনি ব্রয়লার আবার কোনো কোনো সময় সোনালি মুরগি। এগুলো দাম যদি একটু কম থাকে, তাহলে মাসটা কিছুটা স্বস্তিতে যায়। কিন্তু দামটা বেড়ে গেলেই আবার সমস্যায় পড়তে হয়। বর্তমান বাজারেও যে অবস্থা, তাতে করে ব্রয়লার মুরগিও কেনা এখন দায় হয়ে গেছে।
মুর্শেদ আলম বলেন, আমি মনে করি ব্রয়লার মুরগির দাম সর্বোচ্চ ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা পর্যন্ত হলেই যথেষ্ট কিন্তু এই মুরগি আজকে কিনেছি ১৮০ টাকায়, যা হুটহাট করেই আবার ২০০-২১০ টাকা কেজি হয়ে যায়। কিন্তু সরকার গতমাসে ব্রয়লার মুরগির দাম নির্ধারণ করে দিলো, কিন্তু এরপর থেকে একটি দিনের জন্যও ব্রয়লার নির্ধারিত দামে বিক্রি হয়নি। সংশ্লিষ্টদের যদি বাজারে মনিটরিং না থাকে তাহলে শুধু দাম নির্ধারণের ঘোষণা দিয়ে কি লাভ?
মাছ ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম বলেন, কিছু মাছ এখন পানির দামেই বিক্রি হচ্ছে। আজকের বাজারে মাঝারি সাইজের পাঙাশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা কেজি, যা আগে সাধারণত ১৮০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছিল। এছাড়াও কই, তেলাপিয়া, রুই মাছের দামও গত সপ্তাহের তুলনায় কম।
তিনি বলেন, আমরা যখন পাইকারি বাজার থেকে কম দামে মাছ কিনে আনতে পারি, তখন তেমনি কম দামেই খুচরা বাজারে বিক্রি করতে পারি। আবার যদি আড়তে দামটা বেশি থাকে, তখন বাধ্য হয়েই বেশি দামে বিক্রি করতে হয়। কিছুদিন আগে বন্যাসহ বেশ কিছু কারণে দামটা বেশি ছিলো, এখন আবার সেটা কিছুটা কমতে শুরু করেছে।
আমাদের জেলার প্রতিনিধির পাঠানো তথ্যে দেশের স্থানীয় বাজারদর নিম্নে তুলে ধরা হলো।
চট্টগ্রাম
সপ্তাহের ব্যাবধানে চট্টগ্রামে কিছুটা দাম দেশি মুরগির, অপরিবর্তিত রয়েছে ব্রয়লার মুরগির দাম। শীতকালীন সবজির সরবরাহ বাড়ায় কমতে শুরু করেছে সবজির দামও। আজ শুক্রবার নগরীর নানা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গেল সপ্তাহে ৫৩০ টাকায় বিক্রি হওয়া দেশী মুরগি আজ বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ টাকায়, ৩৩০ টাকার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৫২০ টাকায়, আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে ব্রয়লার মুরগির দাম। বিক্রি হচ্ছে ১৯৫ টাকায়।
এদিকে কমতে শুরু করেছে সবজির দাম। আলু ছাড়া বেশীরভাগ সবজি কেজিতে দাম কমেছে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত। বেগুন ১০০ টাকা, শিম ১৬০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, পেপে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বৃষ্টির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত চাষি এরই মধ্যে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। ফলন ভালো তাই সরবরাহ স্বাভাবিক।
বরিশাল
বরিশালে সপ্তাহের ব্যাবধানে আলুর কেজিতে বেড়েছে ১০ টাকা পর্যন্ত। গত সপ্তাহের ৬০ টাকা কেজির আলু বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা কেজিদরে। পাইকারিতে দাম বাড়ায় খুচরা বাজারে দাম বেশি বলে দাবি বিক্রেতাদের।
এদিকে গত সপ্তাহের মতো এ সপ্তাহেও আমদানি করা পেঁয়াজ ১১০ টাকা, আর দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়। এছাড়া প্রতিহালি ডিম ৪৮-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
জেলার বাজারগুলো ঘুরে দেখা যায়, বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে চাল। চালের বাজারে প্রকার ভেদে খুচরায় ৩-৪ টাকা বেড়ে মিনিকেট ৭০-৭৫, স্বর্না বুলেট ৫৮-৬০, আঠাশ বালাম ৬০-৬৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে স্বস্তি ফিরেছে সবজির বাজারে। বরিশালের বাজারে শশা ৪০-৫০ টাকা, বেগুন ৮০, টমেটো ১৮০, গাজর ২০০, ফুলকপি ৮০, করলা ৬০, সিম ৯০-১০০, কাঁচামরিচ ১৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে মাছ বাজারে ইলিশের আমদানি থাকায় কেজিতে ১০-২০ টাকা পর্যন্ত কমেছ অন্যান্য মাছের দাম। মাংসের বাজারে গত সপ্তাহের মতো এ সপ্তাহেও ব্রয়লার ১৭০, লেয়ার ৩১০, সোনালী ২৮০। ক্রেতারা বলছেন, একদিক থেকে দাম কমলে অন্যদিক থেকে বেড়ে যায়। তাই নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ের দাবি তাঁদের।
সিলেট
সপ্তাহের ব্যবধানে সিলেটের বাজারে কমেছে সবজির দাম। গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে সবজির দাম কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। এ সপ্তাহে কেজি প্রতি ১০ টাকা কমে টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়, কাঁচামরিচ কেজি প্রতি ১৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, আলু বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজিতে, শসা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজিতে যা গত সপ্তাহে ছিল ৭০ টাকা, ঝিঙা বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ৮০ টাকা। পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ৬০ টাকা।
এদিকে স্থিতিশীল রয়েছে মাংসের দাম। বয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা কেজিতে, খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৯৫০ থেকে ১০০০ টাকায়, গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা কেজিতে। জেলার বাজার কমেছে ডিমের দাম। প্রতি হালি ডিম বিক্রি হচ্ছে ৪৮ থেকে ৫০ টাকায়। তবে বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১৫ থেকে ১২০ টাকায়।
বিক্রিতেরা বলছেন, সরবারহ বেশি থাকায় দাম কিছুটা কমেছে। বাজারে শীতকালীন সবজি আসতে শুরু করেছে। সামনে দাম আরও কমবে বলে জানান বিক্রিতেরা। মধ্যসত্বভোগীদের কারণে বাজারে দাম বাড়ে বলে দাবি ক্রেতাদের। দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিত বাজার তদারকির দাবি জানান তারা।
রাজশাহী
রাজশাহীর বাজারে কমেছে কাঁচামরিচ ও আদার দাম। তবে বেড়েছে পেঁয়াজসহ অনান্য সবজির দাম। কেজিতে ৫০ টাকা কমে কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা কেজি দরে। কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা দরে। একইভাবে কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে আলু বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। প্রতি পিচ লাউ বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। রসুন বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকা। করল্লা ১০০ টাকা কেজি, বেগুন ৮০ টাকা কেজি, কঁচু ৭০ টাকা কেজি, ফুলকপি ১০০ টাকা কেজি। কমেছে মুরগির ডিমের দাম। ডজনে ৬ টাকা বেড়ে ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৬২ টাকায়। কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা এবং গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকা কেজি দরে।
বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে সরবরাহ বাড়লে পণ্যের দাম কমে এবং সরবরাহ ঘাটতি থাকলেই দাম বাড়ে এতে তাদের করার কিছু নেই। ক্রেতারা বলছেন, সকল পণ্যের দাম ব্যবসায়ীরা ইচ্ছামতো নিয়ন্ত্রণ করে। রাজশাহীর সবজি স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত আমদানি নির্ভর নয়, এরপরেও দাম হাতের নাগালের বাইরে। প্রয়োজন সরকারের কঠোর নজরদারি।
খুলনা
খুলনার বাজারে গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে কমেছে সবজি ও কাঁচামরিচের দাম। বৃদ্ধি পেয়েছে আলু পেঁয়াজ ও রসুনের দাম। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা কমেছে সবজির দাম। জেলার বাজার ঘুরে জানা যায়, মিষ্টি কুমড়া ৭০ টাকা, লাউ ৪০ টাকা থেকে ৫০ টাকা, ফুলকপি ৫০টাকা, টমেটো ১০০ টাকা থেকে ১২০ টাকা, পেপে ৩০ টাকা থেকে ৪০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০ থেকে ৬০ টাকা, বেগুন ৭০ টাকা থেকে ৮০ টাকা, বরবটি ৫০ টাকা থেকে ৬০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। অপরদিকে কাঁচামরিচ কেজিতে ৬০ টাকা থেকে ৮০ টাকা কমে ১৪০টাকা থেকে ২৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
কেজিতে ১০ টাকা থেকে ২০ বৃদ্ধি পেয়ে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। রসুন ২৮০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। অপরদিকে আলুর দাম কেজিতে ১০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ৭০ টাকা থেকে ৭৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
বগুড়া
বগুড়ার বাজারগুলোতে পর্যাপ্ত সবজির সরবরাহ থাকলেও দাম খুব একটা কমেনি। এ নিয়ে ক্রেতা-ভোক্তাদের মুখে দেখা গেছে, হতাশার ছাপ। কাঁচামরিচ ১২০ টাকা, পটল, ৫০, ফুলকপি ৮০ টাকা, কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে আলুর দাম। এছাড়া বেগুন ৭০, টমেটো ২০০, পেঁয়াজ ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সহনীয় পর্যায়ে না থাকলেও মাছ ও ডিমের দাম স্থিতিশীল রয়েছ। সরকার নির্ধারিত দামের থেকে কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে আজ ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা আর পাকিস্তানি ৩০০ টাকায়।
বিক্রেতারা জানান, উৎপাদন এবং আমদানি কম হওয়ায় বাজারে দাম কমছে না। ক্রেতারা জানান, দিনের পর দিন বাজারের এমন অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন তারা। প্রশাসনের নজরদারির অভাবে অসাধু ব্যবসায়িদের সিন্ডিকেটকে দুষছেন তারা।