মৎস্যজীবী ও মৎস্য খাতের বৈষম্য দূর করতে সরকার সর্বাত্মকভাবে কাজ করে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। শনিবার (৯ নভেম্বর) সিরডাপ মিলনায়তনে এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
ফরিদা আখতার বলেন, "যারা মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে, তারাই প্রকৃত মৎস্যজীবী। এ খাতে কোনো ব্যবসায়ীকে অন্তর্ভুক্ত করা যাবে না। নারী মৎস্যজীবীদেরও স্বীকৃতি দেওয়া এবং তাদের মজুরি বৈষম্য দূর করতে হবে। সমর্থন ও সুযোগ-সুবিধা দিলে মৎস্যজীবীরা আর আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকবে না।"
তিনি আরও বলেন, "বাংলাদেশের মেরিন ফিশারিজের সম্পদকে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারলে দেশ দারিদ্র্যমুক্ত হতে পারে। সরকার গভীর সমুদ্রে মৎস্য আহরণের জন্য আধুনিক ভেসেল আনার চেষ্টা করছে এবং বৈজ্ঞানিক গবেষণায় আরও বিনিয়োগ করছে। ইলিশ মাছের উৎপাদন বাড়ানোর জন্য মাইগ্রেটরি রুট সুরক্ষা এবং ভারতের জেলেদের প্রবেশ রোধেও সরকার কাজ করছে।"
পরিবেশ দূষণের ক্ষতিকর প্রভাব তুলে ধরে উপদেষ্টা বলেন, "সমুদ্র ও নদী দূষণ রোধে প্লাস্টিক ব্যবহারের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে, কারণ অনেক মাছেই মাইক্রো প্লাস্টিক পাওয়া যাচ্ছে। দেশীয় প্রজাতির মাছ রক্ষা এবং উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে সকলের কাছে এ সম্পদ পৌঁছে দিতে হবে।"
সেমিনারে কোস্ট ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর সঞ্চালনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ফাউন্ডেশনের উপনির্বাহী পরিচালক সনৎ কুমার ভৌমিক।