দোহায় হামাসের কার্যালয় থাকছে: কাতার
- আপডেট সময় : ০১:১৯:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪
- / ৩৫২ বার পড়া হয়েছে
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় এক বছরের বেশি সময় ধরে ইসয়ায়েলি আগ্রাসন চলছে। শুরু থেকেই যুদ্ধ বিরতিতে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকায় ছিল কাতার। আপাতত গাজায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি মুক্তির আলোচনায় মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতার। এছাড়া দোহা থেকে হামাসের কার্যালয় তুলে দেওয়ার বিষয়েও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছে কাতার।
দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, যুদ্ধবিরতির বিষয়ে ইসরায়েল ও হামাস “আন্তরিকতা দেখালে” তারা আবারও মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকায় ফিরতে রাজি আছে।
“ গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে একটি চুক্তির বিষয়ে শেষবার প্রচেষ্টা চালানোর ১০ দিন আগে সবপক্ষকে অবহিত করা হয়েছিল যে ওই দফায় চুক্তির বিষয়ে সম্মত না হতে পারলে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে মধ্যস্থতার প্রচেষ্টা বন্ধ করে দেবে কাতার,” এক বিবৃতিতে জানিয়েছে কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
সেখানে আরও বলা হয়েছে, “(হামাস-ইসরায়েল) উভয়পক্ষ নির্মম যুদ্ধের অবসান ঘটানোর বিষয়ে সদিচ্ছা ও গুরুত্ব দেখালে কাতার মধ্যস্থতার প্রচেষ্টা আবারও শুরু করবে।”
এক যুগ আগে ২০১২ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা প্রশাসনের অনুরোধে রাজধানী দোহাতে হামাসকে রাজনৈতিক কার্যালয় স্থাপনের অনুমতি দিয়েছিল কাতার।
শনিবার (৯ অক্টোবর) বেশ কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয় যে গাজায় যুদ্ধবিরতির বিষয়ে চুক্তিতে অস্বীকৃতি জানানোর কারণে দোহায় সশস্ত্র গোষ্ঠীটির রাজনৈতিক কার্যালয় বন্ধ করে দেওয়ার বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একমত পোষণ করেছে কাতার।
এমন একটি সময় কাতার এই ঘোষণা দিলো যখন সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের বিরুদ্ধে গাজা যুদ্ধ অবসানের নতুন প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার অভিযোগ তুলেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় কাতারে হামাসের প্রতিনিধিদের উপস্থিতি আর মেনে নেওয়া হবে না বলেও জানিয়ে দিয়েছেন তারা। সূত্র: বিবিসি বাংলা