প্রতিদিন অস্ট্রেলিয়াকে নতুন নতুন লজ্জা দিচ্ছে পাকিস্তান
- আপডেট সময় : ০১:০৫:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪
- / ৩৬০ বার পড়া হয়েছে
অ্যাডিলেড থেকে পার্থ- ভেন্যু বদলেছে, কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং বদলায়নি একটুও। অ্যাডিলেডে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে পাকিস্তানি পেসারদের গতির ঝড়ে এলোমেলো হয়ে ১৬৩ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। এশিয়ার দেশটির বিপক্ষে ওয়ানডেতে আগে ব্যাটিং করে এটাই অস্ট্রেলিয়ার সর্বনিম্ন দলীয় স্কোর। আজ সে রেকর্ড ভেঙে দিয়ে ৩১.৫ ওভারে ১৪০ রানে অলআউট হয়েছে স্বাগতিক দল।
পার্থে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে আজও নাহিম শাহ-শাহিন আফ্রিদিদের তোপে পড়েছে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং লাইন আপ। পার্থের গতিময় বাউন্সি উইকেটে আগের ম্যাচের মতো এ ম্যাচেও অস্ট্রেলিয়ার সবগুলো (৯টি) উইকেট পেয়েছেন পাকিস্তানি পেসাররা। অস্ট্রেলিয়ার আরেক অলরাউন্ডার কুপার কনোলি পুল শট খেলতে গিয়ে হাতে চোট পেয়ে মাঠ ছেড়েছেন।
অস্ট্রেরিয়ার ব্যাটিং লাইনকে ধসিয়ে দিতে বল হাতে নেতৃত্ব দিয়েছেন তরুণ পেসার নাসিম শাহ। শুরুতেই ২ উইকেট নিয়ে অস্ট্রেলিয়া ইনিংসে ধস নামানো নাসিম ৫৪ রানে পেয়েছেন ৩ উইকেট। ৮.৫ ওভার বোলিং করে ৩২ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। আগের ম্যাচে ৫ উইকেট পাওয়া হারিস রউফকে আজ ২টি উইকেট নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে। আরেক পেসার মোহাম্মদ হাসনাইন পেয়েছেন ১টি উইকেট।
আজ টস জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পাকিস্তান অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ান। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে ওপেনার জেইক ফ্রেজার ম্যাগার্ককে (৭) ফিরিয়ে অধিনায়কের সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতার প্রমাণ দেন নাসিম শাহ। তিনে নামা অ্যারন হার্ডিকে ইনিংসের সপ্তম ওভারে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন শাহিন আফ্রিদি।
পাকিস্তানি পেসারদের তোপ সামলে পাওয়ার প্লে-র ১০ ওভারে ২ উইকেটে ৫৪ রান তোলে অস্ট্রেলিয়া। দলীয় ৫৬ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। ওপেনার ম্যাথিউ শর্ট ৩০ বলে ২২ রান করে রউফের বলে ক্যাচ দেন ইরফান খানকে।
৭২ থেকে ৮৮- এ ১৬ রানের ব্যবধানে আরও ৩ উইকেট হারায় দলটি। এতে ২১ ওভার শেষে দলটির স্কোরবোর্ড দাঁড়ায় ৬ উইকেটে ৯০ রান। এছাড়া মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান কনোলিও চোট পেয়ে মাঠ ছেড়েছেন ততক্ষণে।
হাতে থাকা ৩ উইকেট নিয়ে অস্ট্রেলিয়া কতদূর যেতে পারে, সেটাই ছিল দেখার। দলটির টপ অর্ডার-মিডল অর্ডারের ব্যাটসম্যানরা যেটা পারেননি, সেটাই শেষ দিকে করেছেন শন অ্যাবট। আট নম্বরে নেমে ৪১ বলে ৩০ রান করেন তিনি, যা এ অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে সর্বোচ্চ। আর তাতে অস্ট্রেলিয়াও পেয়ে যায় ১৪০ রানের ‘সম্মানজনক’ সংগ্রহ!