ঢাকা ০৭:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহত ৪৪, লেবাননে ৩১

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০১:১৭:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪
  • / ৩৫৫ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা ও লেবাননে হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় গাজায় অন্তত ৪৪ জন নিহত হয়েছে। লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছে অন্তত ৩১ জন। সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলি সেনাদের হামলায় লেবাননে ছয় উদ্ধারকর্মী নিহত হয়েছে। গতকালের হামলায় নিহতদের মধ্যে দুই ফিলিস্তিনি সাংবাদিকও রয়েছেন।

গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় নির্বিচার হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। হামলায় এখন পর্যন্ত গাজায় সাড়ে ৪৩ হাজার জন নিহত হয়েছে। এ ছাড়া আহত হয়েছে ১ লাখের বেশি ফিলিস্তিনি। বাস্তুচ্যুত হয়েছে উপত্যকার ২৩ লাখ বাসিন্দার অধিকাংশ।

গাজায় হামলা শুরুর পর লেবাননের সঙ্গেও সংঘাত শুরু হয় ইসরায়েলের। গত এক বছরে সেখানে ৩ হাজার বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। আর প্রায় ১৪ হাজার জন আহত হয়েছে। এর জবাবে পাল্টা হামলা চালাচ্ছে লেবাননের সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহ।

এদিকে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া এক বক্তব্যে রানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগছি বলেছেন, ‘যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার মারাত্মক প্রভাব শুধু পশ্চিম এশিয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না। অস্থিতিশীলতা অন্য অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এমনকি অনেক দূরেও যেতে পারে এর প্রভাব।’

গাজা ও লেবাননের পাশাপাশি ইরানের সঙ্গেও কয়েক দফায় হামলা পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটেছে ইসরায়েলের। ফলে মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতি আরও মারাত্মক আকার নিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এমন পরিস্থিতির মধ্যে গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি চুক্তির মূল মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করার কথা জানিয়েছে কাতার। ইসরায়েল ও হামাস দুই পক্ষকেই কাতার জানিয়েছে, যতক্ষণ পর্যন্ত তারা যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে আন্তরিকভাবে যেতে রাজি না হবে, ততক্ষণ দোহা এ বিষয়ে আর মধ্যস্থতা করবে না।

নিউজটি শেয়ার করুন

ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহত ৪৪, লেবাননে ৩১

আপডেট সময় : ০১:১৭:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪

যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা ও লেবাননে হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় গাজায় অন্তত ৪৪ জন নিহত হয়েছে। লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছে অন্তত ৩১ জন। সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলি সেনাদের হামলায় লেবাননে ছয় উদ্ধারকর্মী নিহত হয়েছে। গতকালের হামলায় নিহতদের মধ্যে দুই ফিলিস্তিনি সাংবাদিকও রয়েছেন।

গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় নির্বিচার হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। হামলায় এখন পর্যন্ত গাজায় সাড়ে ৪৩ হাজার জন নিহত হয়েছে। এ ছাড়া আহত হয়েছে ১ লাখের বেশি ফিলিস্তিনি। বাস্তুচ্যুত হয়েছে উপত্যকার ২৩ লাখ বাসিন্দার অধিকাংশ।

গাজায় হামলা শুরুর পর লেবাননের সঙ্গেও সংঘাত শুরু হয় ইসরায়েলের। গত এক বছরে সেখানে ৩ হাজার বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। আর প্রায় ১৪ হাজার জন আহত হয়েছে। এর জবাবে পাল্টা হামলা চালাচ্ছে লেবাননের সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহ।

এদিকে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া এক বক্তব্যে রানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগছি বলেছেন, ‘যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার মারাত্মক প্রভাব শুধু পশ্চিম এশিয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না। অস্থিতিশীলতা অন্য অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এমনকি অনেক দূরেও যেতে পারে এর প্রভাব।’

গাজা ও লেবাননের পাশাপাশি ইরানের সঙ্গেও কয়েক দফায় হামলা পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটেছে ইসরায়েলের। ফলে মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতি আরও মারাত্মক আকার নিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এমন পরিস্থিতির মধ্যে গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি চুক্তির মূল মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করার কথা জানিয়েছে কাতার। ইসরায়েল ও হামাস দুই পক্ষকেই কাতার জানিয়েছে, যতক্ষণ পর্যন্ত তারা যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে আন্তরিকভাবে যেতে রাজি না হবে, ততক্ষণ দোহা এ বিষয়ে আর মধ্যস্থতা করবে না।