ঢাকা ০৩:৫৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ছাত্র-জনতার প্রতিরোধে ভেঙে পড়া পুলিশ কতটুকু ঘুরে দাঁড়ালো?

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৪:২৬:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪
  • / ৩৪৬ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

৫ আগস্টের পর অনেক থানায় লুট হয়েছে অস্ত্র-গুলি। সিসিটিভি ফুটেজ ও আলামত না থাকায় যৌথ বাহিনীর অভিযানেও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি সেসব। এদিকে একে একে মাথা চাড়া দিচ্ছে শীর্ষ সন্ত্রাসীরা। রাজধানীতে কান পাতলেই শোনা যায় চুরি-ছিনতাইয়ের গল্প। ছাত্র-জনতার প্রতিরোধে ভেঙে পড়া পুলিশ কতটুকু ঘুরে দাঁড়ালো?

এই তো সেদিনের গল্প। যখন রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার হয়েছে পুলিশ। ক্ষমতার দাপটে মুখোমুখি হয়েছে ছাত্র জনতার। গুলির সামনে বুক পেতে দেয়া জনতার বাঁধ ভাঙা জোয়ারে এলোমেলো বাহিনীর সব সদস্য।

এই সুযোগে চুরি-ছিনতাই-ডাকাতির অভিযোগে আতঙ্কিত পুরো রাজধানী। রাতের আধারে অপরাধীরা আরো বেপরোয়া। এর মধ্যে বদলি-পদন্নতি আর অব্যহতিতে ঢেলে সাজানো হয়েছে পুলিশ। দলীয় পৃষ্ঠপোষকতার অভিযোগে আইনের আওতায় আনা হয়েছে অনেককে।

পুলিশকে সহায়তায় মাঠে নামে ৩ বাহিনীর সদস্যরা। যৌথ বাহিনীর অভিযানে রিভলভার ১৯টি, পিস্তল ৭৬টি, রাইফেল ২২টি, শটগান ৩৭টি, পাইপগান ৮টি, শুটারগান ৪৩টি, এলজি ৩১টি, বন্দুক ৪৮টি, একে৪৭ ১টি, এসএমজি ৫টি, গ্যাসগান ৪টি, এয়ারগান ১০টি, এসবিবিএল ১০টি, টিয়ার গ্যাস লঞ্চার ২টি এবং থ্রি-কোয়াটার ২টি জব্দ করা হয়েছে।

বাসিন্দাদের একজন বলেন, ‘আগে তাদের ব্যবহার অন্যরকম ছিল। আমাদের কথা তেমন শুনতো না। এখন আসলেই কাজ হয়ে যাচ্ছে।’

ছোটখাট সমস্যা প্রাথমিক অভিযোগ থেকে মামলা কিছুটা হলেও স্বস্তিতে সাধারণ মানুষ। অপ্রতুলতা টহল গাড়ির। হারিয়ে ফেলা অস্ত্রের ভয় তো আসেই। সাথে ঢাকায় ফেরা পুলিশের প্রায় সবাই এসেছে ঢাকার বাইরে থেকে। তাই বেগ পেতে হচ্ছে অপরাধী শনাক্তে।

পুলিশ সদস্যের একজন বলেন, ‘যেহেতু এই থানায় নতুন এসেছি তাই একটু সময় লাগবে বুঝে উঠতে।’

আরেকজন বলেন, ‘অনেক ধরনের মানুষ তো। তাদের ধৈর্য একটু কম। অনেক সময় আমাদের সাথে খারাপ ব্যবহার করে।’

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ মুখপাত্র বলছে। বাড়ানো হচ্ছে টহল গাড়ির সংখ্যা। নজরদারিতে আছে শীর্ষ সন্ত্রাসীরাও। চাইলেন জনগণের সহায়তা।

ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ কর্মকর্তা উপ-কমিশনার তালেবুর রহমান বলেন, ‘ইতিমধ্যে যেসব অস্ত্র লুট হয়েছিল তা পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। যেগুলো এখনো উদ্ধার হয়নি তার জন্য আমাদের নিয়মিত কার্যক্রম চলমান রয়েছে।’

সমাজ বিশ্লেষকরা বলছেন মনোবল ভাঙা পুলিশের দুর্বলতার সুযোগ নিচ্ছে অপরাধীরা। দরকার কঠোর অবস্থানের।

সমাজ ও অপরাধ বিশেষজ্ঞ ড. তৌহিদুল হক বলেন, ‘পুলিশ এখন অপরাধী ধরতে ও অপরাধ স্থলে যেতে অনেক চিন্তা ভাবনা করছে।’

কাঠামোগত পরিবর্তন করে জনবান্ধব পুলিশ তৈরি না করলে ভবিষ্যতে আবারও এর মাশুল গুনতে হবে এই বাহিনীকে মন্তব্য সমাজ বিশ্লেষকদের।

নিউজটি শেয়ার করুন

ছাত্র-জনতার প্রতিরোধে ভেঙে পড়া পুলিশ কতটুকু ঘুরে দাঁড়ালো?

আপডেট সময় : ০৪:২৬:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪

৫ আগস্টের পর অনেক থানায় লুট হয়েছে অস্ত্র-গুলি। সিসিটিভি ফুটেজ ও আলামত না থাকায় যৌথ বাহিনীর অভিযানেও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি সেসব। এদিকে একে একে মাথা চাড়া দিচ্ছে শীর্ষ সন্ত্রাসীরা। রাজধানীতে কান পাতলেই শোনা যায় চুরি-ছিনতাইয়ের গল্প। ছাত্র-জনতার প্রতিরোধে ভেঙে পড়া পুলিশ কতটুকু ঘুরে দাঁড়ালো?

এই তো সেদিনের গল্প। যখন রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার হয়েছে পুলিশ। ক্ষমতার দাপটে মুখোমুখি হয়েছে ছাত্র জনতার। গুলির সামনে বুক পেতে দেয়া জনতার বাঁধ ভাঙা জোয়ারে এলোমেলো বাহিনীর সব সদস্য।

এই সুযোগে চুরি-ছিনতাই-ডাকাতির অভিযোগে আতঙ্কিত পুরো রাজধানী। রাতের আধারে অপরাধীরা আরো বেপরোয়া। এর মধ্যে বদলি-পদন্নতি আর অব্যহতিতে ঢেলে সাজানো হয়েছে পুলিশ। দলীয় পৃষ্ঠপোষকতার অভিযোগে আইনের আওতায় আনা হয়েছে অনেককে।

পুলিশকে সহায়তায় মাঠে নামে ৩ বাহিনীর সদস্যরা। যৌথ বাহিনীর অভিযানে রিভলভার ১৯টি, পিস্তল ৭৬টি, রাইফেল ২২টি, শটগান ৩৭টি, পাইপগান ৮টি, শুটারগান ৪৩টি, এলজি ৩১টি, বন্দুক ৪৮টি, একে৪৭ ১টি, এসএমজি ৫টি, গ্যাসগান ৪টি, এয়ারগান ১০টি, এসবিবিএল ১০টি, টিয়ার গ্যাস লঞ্চার ২টি এবং থ্রি-কোয়াটার ২টি জব্দ করা হয়েছে।

বাসিন্দাদের একজন বলেন, ‘আগে তাদের ব্যবহার অন্যরকম ছিল। আমাদের কথা তেমন শুনতো না। এখন আসলেই কাজ হয়ে যাচ্ছে।’

ছোটখাট সমস্যা প্রাথমিক অভিযোগ থেকে মামলা কিছুটা হলেও স্বস্তিতে সাধারণ মানুষ। অপ্রতুলতা টহল গাড়ির। হারিয়ে ফেলা অস্ত্রের ভয় তো আসেই। সাথে ঢাকায় ফেরা পুলিশের প্রায় সবাই এসেছে ঢাকার বাইরে থেকে। তাই বেগ পেতে হচ্ছে অপরাধী শনাক্তে।

পুলিশ সদস্যের একজন বলেন, ‘যেহেতু এই থানায় নতুন এসেছি তাই একটু সময় লাগবে বুঝে উঠতে।’

আরেকজন বলেন, ‘অনেক ধরনের মানুষ তো। তাদের ধৈর্য একটু কম। অনেক সময় আমাদের সাথে খারাপ ব্যবহার করে।’

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ মুখপাত্র বলছে। বাড়ানো হচ্ছে টহল গাড়ির সংখ্যা। নজরদারিতে আছে শীর্ষ সন্ত্রাসীরাও। চাইলেন জনগণের সহায়তা।

ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ কর্মকর্তা উপ-কমিশনার তালেবুর রহমান বলেন, ‘ইতিমধ্যে যেসব অস্ত্র লুট হয়েছিল তা পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। যেগুলো এখনো উদ্ধার হয়নি তার জন্য আমাদের নিয়মিত কার্যক্রম চলমান রয়েছে।’

সমাজ বিশ্লেষকরা বলছেন মনোবল ভাঙা পুলিশের দুর্বলতার সুযোগ নিচ্ছে অপরাধীরা। দরকার কঠোর অবস্থানের।

সমাজ ও অপরাধ বিশেষজ্ঞ ড. তৌহিদুল হক বলেন, ‘পুলিশ এখন অপরাধী ধরতে ও অপরাধ স্থলে যেতে অনেক চিন্তা ভাবনা করছে।’

কাঠামোগত পরিবর্তন করে জনবান্ধব পুলিশ তৈরি না করলে ভবিষ্যতে আবারও এর মাশুল গুনতে হবে এই বাহিনীকে মন্তব্য সমাজ বিশ্লেষকদের।