ঢাকা ০৫:৪৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

পার্লামেন্টে ক্ষমা চাইলেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৪:০০:০৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪
  • / ৩৪৫ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আশ্রয়হীন হয়ে অথবা মানসিক সহায়তার প্রয়োজনে রাষ্ট্র কাছে সাহায্য চাইতে গিয়ে হেনস্থার শিকার হওয়া অন্তত ৬ লাখ মানুষের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ক্রিস্টোফার লুকসন। তিনি পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে বলেন, এমন ঘটনা যাতে আর কখনো না ঘটে, সে দিকে নজর দেওয়া হবে। যে ঘটনা ঘটেছে, তার তদন্ত হবে।

বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, আজ মঙ্গলবার নিউজিল্যান্ডের পার্লামেন্টের গ্যালারিতে উপস্থিত ছিলেন অসংখ্য সাধারণ মানুষ। তাদের অভিযোগ, অসহায় অবস্থায় রাষ্ট্র বা চার্চের কাছে সাহায্য চাইতে গিয়ে তারা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এ ব্যাপারে নিউজিল্যান্ডের সরকার একটি তদন্ত কমিশন গঠন করেছিল। ওই তদন্ত কমিশন জানায়, অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। প্রতি তিনজনের মধ্যে একজন অত্যাচার বা হেনস্থার শিকার হয়েছেন।

এরপরই পার্লামেন্টে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয় এবং প্রধানমন্ত্রী ক্রিস্টোফার লুকসন নিজের এবং সাবেক সরকারের তরফ থেকে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। যারা এই অভিযোগ করেছিলেন, তাদের অধিকাংশই নিউজিল্যান্ডের জনজাতি গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত।

কমিশন জানিয়েছে, ১৯৫০ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত অন্তত ৬ লাখ ৫০ হাজার মানুষ অত্যাচার এবং হেনস্থার শিকার হয়েছেন। নির্যাতনের শিকার হওয়াদের মধ্যে শিশুও রয়েছে। বহু শিশু মানসিক, শারীরিক ও যৌন নির্যাতেনর শিকার হয়েছে। কিন্তু চার্চ কিংবা রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে এসব নির্যাতন হওয়ার কারণে তারা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে অভিযোগ জানাতে পারেনি।

তদন্ত প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বহু শিশুকে বিনা কারণে তাদের মায়েদের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। জোর করে অন্য কোথাও দত্তক হিসেবে পাঠানো হয়েছে। বহু নারী জানিয়েছেন, তাদের ইলেকট্রিক শকের মাধ্যমে নির্যাতন করা হয়েছে।

সবচেয়ে বেশি নির্যাতনের শিকার হয়েছেন নিউজিল্যান্ডের মাওরি জনজাতির মানুষ বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী ক্রিস্টোফার লুকসন বলেন, ‘কমিশনের তদন্ত প্রতিবেদনে ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অবশ্যই দোষীদের শাস্তি দেওয়া হবে, যাতে ভবিষ্যতে এমন ঘটনা আর না ঘটে।’

নিউজটি শেয়ার করুন

পার্লামেন্টে ক্ষমা চাইলেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০৪:০০:০৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪

আশ্রয়হীন হয়ে অথবা মানসিক সহায়তার প্রয়োজনে রাষ্ট্র কাছে সাহায্য চাইতে গিয়ে হেনস্থার শিকার হওয়া অন্তত ৬ লাখ মানুষের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ক্রিস্টোফার লুকসন। তিনি পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে বলেন, এমন ঘটনা যাতে আর কখনো না ঘটে, সে দিকে নজর দেওয়া হবে। যে ঘটনা ঘটেছে, তার তদন্ত হবে।

বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, আজ মঙ্গলবার নিউজিল্যান্ডের পার্লামেন্টের গ্যালারিতে উপস্থিত ছিলেন অসংখ্য সাধারণ মানুষ। তাদের অভিযোগ, অসহায় অবস্থায় রাষ্ট্র বা চার্চের কাছে সাহায্য চাইতে গিয়ে তারা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এ ব্যাপারে নিউজিল্যান্ডের সরকার একটি তদন্ত কমিশন গঠন করেছিল। ওই তদন্ত কমিশন জানায়, অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। প্রতি তিনজনের মধ্যে একজন অত্যাচার বা হেনস্থার শিকার হয়েছেন।

এরপরই পার্লামেন্টে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয় এবং প্রধানমন্ত্রী ক্রিস্টোফার লুকসন নিজের এবং সাবেক সরকারের তরফ থেকে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। যারা এই অভিযোগ করেছিলেন, তাদের অধিকাংশই নিউজিল্যান্ডের জনজাতি গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত।

কমিশন জানিয়েছে, ১৯৫০ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত অন্তত ৬ লাখ ৫০ হাজার মানুষ অত্যাচার এবং হেনস্থার শিকার হয়েছেন। নির্যাতনের শিকার হওয়াদের মধ্যে শিশুও রয়েছে। বহু শিশু মানসিক, শারীরিক ও যৌন নির্যাতেনর শিকার হয়েছে। কিন্তু চার্চ কিংবা রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে এসব নির্যাতন হওয়ার কারণে তারা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে অভিযোগ জানাতে পারেনি।

তদন্ত প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বহু শিশুকে বিনা কারণে তাদের মায়েদের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। জোর করে অন্য কোথাও দত্তক হিসেবে পাঠানো হয়েছে। বহু নারী জানিয়েছেন, তাদের ইলেকট্রিক শকের মাধ্যমে নির্যাতন করা হয়েছে।

সবচেয়ে বেশি নির্যাতনের শিকার হয়েছেন নিউজিল্যান্ডের মাওরি জনজাতির মানুষ বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী ক্রিস্টোফার লুকসন বলেন, ‘কমিশনের তদন্ত প্রতিবেদনে ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অবশ্যই দোষীদের শাস্তি দেওয়া হবে, যাতে ভবিষ্যতে এমন ঘটনা আর না ঘটে।’