ঢাকা ০৫:২৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

বঙ্গভবন থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সরানো উচিত হয়নি: রিজভী

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৩:৪৫:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪
  • / ৩৪৬ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ইতিহাসে যার যতটুকু অবদান তা বিএনপি স্মরণ করতে চায় উল্লেখ করে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বঙ্গভবন থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সরানো উচিত হয়নি।

আজ (মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর) সকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ৭ই নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও রক্তদান কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, জাতীয় পর্যায় যাদের অবদান আছে, তাদের স্বীকার করতেই হবে। কেউ অপরাধ করলে ইতিহাস ও জনগণ তা সিদ্ধান্ত নেবে। আওয়ামী লীগের মত সংকীর্ণমনা দল বিএনপি নয়। বঙ্গভবন থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি নামানো ঠিক হয়নি।

রিজভী বলেন, ‘খন্দকার মুশতাক রাষ্ট্রপতি হয়ে বঙ্গভবন থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সরিয়েছিলেন। তবে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সেই ছবি পুনরায় স্থাপন করেছিলেন।’

এ সময় আওয়ামী লীগ শাসনামলের সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ভালো ডাক্তার হওয়া সত্ত্বেও শেখ হাসিনার শাসনামলে বিভাজন করা হয়েছিল। বিএনপির সাথে যুক্ত থাকার কারণে পদোন্নতি দেয়া হয়নি অনেককে। রাজনৈতিক কারণে বঞ্চিত করা হয়েছে তাদের। একই পদে ১৫ থেকে ১৬ বছর চাকরি করেছেন তারা।

তিনি আরও বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি কম অত্যাচার করত তাহলে তাকে পালাতে হতো না। তিনি জানেন কাকে কাকে গুম করা হয়েছে, কার প্রতি অন্যায় করেছেন। অন্যায় করলে তাকে পালাতে হবে। অবিচার করলে নিজ দেশে থাকতে পারবেন না কেউ।

জনগণের জন্য কাজ করতে বেশিদিন সময় প্রয়োজন নেই মন্তব্য করে এসময় অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘রাষ্ট্র পরিচালনায় দরকার অন্তর্গত তাগিদ।’

বর্তমান স্বাস্থ্য উপদেষ্টা ও সচিব যোগ্য চিকিৎসকদের সাথে ভালো ব্যবহার করে না বলেও অভিযোগ করেন রিজভী। রাজধানীসহ দেশজুড়ে বিএনপির আয়োজনে শুরু হওয়া এই ফ্রী মেডিকেল ক্যাম্প চলবে দুপুর দুইটা পর্যন্ত।

এর আগে গতকাল সোমবার বঙ্গভবনের দরবার হল থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সরানো হয়। অন্তর্বর্তী সরকারের নতুন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেয়া পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়।

এদিকে বঙ্গভবন থেকে বঙ্গবন্ধুর ছবি সরানো নিয়ে নিজের দেওয়া আগের বক্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। আজ মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে বঙ্গবন্ধুর ছবি সরানোর বিষয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত বক্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি।

রিজভী আরও বলেন, “আজ গণমাধ্যমে প্রকাশিত ‘বঙ্গভবন থেকে শেখ মুজিবের ছবি নামানো হয়েছে’ মর্মে একটি সংবাদের প্রতি আমার দৃষ্টি আকর্ষণ হয়। আমি মনে করেছিলাম, বঙ্গভবনের দরবার কক্ষ, যেখানে সব রাষ্ট্রপতির ছবি থাকে সেখান থেকে শেখ মুজিবের ছবি নামানো হয়েছে। মূলত ছবিটি সরানো হয়েছিল বঙ্গভবনের অন্য একটি অফিস কক্ষ থেকে। শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসনে শেখ মুজিবের ছবি রাখার বাধ্যতামূলক আইন করা হয়েছে। ফ্যাসিবাদী আইনের কোনো কার্যকারিতা থাকতে পারে না। অফিস-আদালত সর্বত্রই দুঃশাসনের চিহ্ন রাখা উচিত নয়। অনাকাঙ্ক্ষিত বক্তব্যের জন্য আমি দুঃখিত।”

নিউজটি শেয়ার করুন

বঙ্গভবন থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সরানো উচিত হয়নি: রিজভী

আপডেট সময় : ০৩:৪৫:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪

ইতিহাসে যার যতটুকু অবদান তা বিএনপি স্মরণ করতে চায় উল্লেখ করে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বঙ্গভবন থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সরানো উচিত হয়নি।

আজ (মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর) সকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ৭ই নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও রক্তদান কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, জাতীয় পর্যায় যাদের অবদান আছে, তাদের স্বীকার করতেই হবে। কেউ অপরাধ করলে ইতিহাস ও জনগণ তা সিদ্ধান্ত নেবে। আওয়ামী লীগের মত সংকীর্ণমনা দল বিএনপি নয়। বঙ্গভবন থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি নামানো ঠিক হয়নি।

রিজভী বলেন, ‘খন্দকার মুশতাক রাষ্ট্রপতি হয়ে বঙ্গভবন থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সরিয়েছিলেন। তবে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সেই ছবি পুনরায় স্থাপন করেছিলেন।’

এ সময় আওয়ামী লীগ শাসনামলের সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ভালো ডাক্তার হওয়া সত্ত্বেও শেখ হাসিনার শাসনামলে বিভাজন করা হয়েছিল। বিএনপির সাথে যুক্ত থাকার কারণে পদোন্নতি দেয়া হয়নি অনেককে। রাজনৈতিক কারণে বঞ্চিত করা হয়েছে তাদের। একই পদে ১৫ থেকে ১৬ বছর চাকরি করেছেন তারা।

তিনি আরও বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি কম অত্যাচার করত তাহলে তাকে পালাতে হতো না। তিনি জানেন কাকে কাকে গুম করা হয়েছে, কার প্রতি অন্যায় করেছেন। অন্যায় করলে তাকে পালাতে হবে। অবিচার করলে নিজ দেশে থাকতে পারবেন না কেউ।

জনগণের জন্য কাজ করতে বেশিদিন সময় প্রয়োজন নেই মন্তব্য করে এসময় অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘রাষ্ট্র পরিচালনায় দরকার অন্তর্গত তাগিদ।’

বর্তমান স্বাস্থ্য উপদেষ্টা ও সচিব যোগ্য চিকিৎসকদের সাথে ভালো ব্যবহার করে না বলেও অভিযোগ করেন রিজভী। রাজধানীসহ দেশজুড়ে বিএনপির আয়োজনে শুরু হওয়া এই ফ্রী মেডিকেল ক্যাম্প চলবে দুপুর দুইটা পর্যন্ত।

এর আগে গতকাল সোমবার বঙ্গভবনের দরবার হল থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সরানো হয়। অন্তর্বর্তী সরকারের নতুন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেয়া পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়।

এদিকে বঙ্গভবন থেকে বঙ্গবন্ধুর ছবি সরানো নিয়ে নিজের দেওয়া আগের বক্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। আজ মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে বঙ্গবন্ধুর ছবি সরানোর বিষয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত বক্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি।

রিজভী আরও বলেন, “আজ গণমাধ্যমে প্রকাশিত ‘বঙ্গভবন থেকে শেখ মুজিবের ছবি নামানো হয়েছে’ মর্মে একটি সংবাদের প্রতি আমার দৃষ্টি আকর্ষণ হয়। আমি মনে করেছিলাম, বঙ্গভবনের দরবার কক্ষ, যেখানে সব রাষ্ট্রপতির ছবি থাকে সেখান থেকে শেখ মুজিবের ছবি নামানো হয়েছে। মূলত ছবিটি সরানো হয়েছিল বঙ্গভবনের অন্য একটি অফিস কক্ষ থেকে। শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসনে শেখ মুজিবের ছবি রাখার বাধ্যতামূলক আইন করা হয়েছে। ফ্যাসিবাদী আইনের কোনো কার্যকারিতা থাকতে পারে না। অফিস-আদালত সর্বত্রই দুঃশাসনের চিহ্ন রাখা উচিত নয়। অনাকাঙ্ক্ষিত বক্তব্যের জন্য আমি দুঃখিত।”