দেশের সরকারি ও বেসরকারি বিদ্যালয়ে প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে ২০২৫ শিক্ষাবর্ষের জন্য ভর্তির আবেদন শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ১১টা থেকে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন শুরু করেছে শিক্ষার্থীরা। এই প্রক্রিয়া চলবে আগামী ৩০শে নভেম্বর পর্যন্ত।
আবেদন শেষে ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী বাছাই ও ভর্তি করানো হবে। এ বছর সরকারি স্কুলে আসন সংখ্যা রয়েছে ১ লাখ ৮ হাজার ৪০৪টি। আর বেসরকারিতে আসন রয়েছে ১০ লাখ ৮ হাজার ১৫১টি।
অনেকদিন ধরে মাধ্যমিকে ভর্তির আবেদন শুরু হওয়ার অপেক্ষায় ছিলেন রাজধানীর কল্যাণপুরের সোহেল রানা। মঙ্গলবার আবেদন শুরু হওয়ায় ছেলে ও মেয়েকে ভর্তির জন্য কম্পিউটার-কম্পোজ এর দোকানে এসেছেন তিনি। অনলাইনে পূরণ করলেন ফরম।
অনলাইনে আবেদনের প্রক্রিয়াকে ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখছেন অভিভাবকরা। তবে লটারির মাধ্যমে বাছাইয়ের ক্ষেত্রে আপত্তি রয়েছে তাদের।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অনলাইন আবেদনের ক্ষেত্রে একজন শিক্ষার্থী পছন্দের ক্রমানুসারে সর্বোচ্চ পাঁচটি বিদ্যালয়ের নাম দিতে পারবে। আর কোনো স্কুলে একটি শ্রেণির কোনো শাখায় ৫৫ জনের বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি করা যাবে না বলে জানান মোহাম্মদপুর সরকারি মডেল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম খান।
এর আগে ১০শে নভেম্বর শেষ হয়েছে শূন্য আসনের তথ্যসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের রেজিস্ট্রেশন। সে অনুযায়ী এ বছর সরকারি বিদ্যালয়ে আসন সংখ্যা রয়েছে ১ লাখ ৮ হাজার ৪০৪টি। আর বেসরকারি বিদ্যালয়ে আসন রয়েছে ১০ লাখ ৮ হাজার ১৫১টি।
এবার সরকারি-বেসরকারি বিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে ৬৮ শতাংশই কোটা। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৪০ শতাংশ ক্যাচমেন্ট এরিয়া কোটা বা সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের আশপাশের এলাকায় বসবাসরতদের কোটা। তাছাড়া বীর ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য রয়েছে ৫ শতাংশ। তবে মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র-কন্যা পাওয়া না গেলে নাতি-নাতনিদের ভর্তির জন্য যে ৫ শতাংশ কোটা ছিল তা এবারে বাদ দেয়া হয়েছে।