ঢাকা ০৫:৪২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের দায়িত্ব কোনো দলের নয়: মির্জা ফখরুল

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৩:৪৯:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪
  • / ৩৭২ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের দায়িত্ব কোনো দলের নয়, তাই আওয়ামী লীগকে নিয়ে বিএনপির কোনো মাথাব্যথা নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব। পাশাপাশি উপদেষ্টা পরিষদ নিয়ে বিতর্ক এড়াতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনারও পরামর্শ দেন তিনি।

ঠাকুরগাঁওয়ে নিজ বাসভবনে মতবিনিময়ে, প্রতিবেশী ভারতের কঠোর সমালোচনা করে দেশটির বিরুদ্ধে বাংলাদেশের নামে অপপ্রচারের অভিযোগ তোলেন মির্জা ফখরুল। এছাড়া সংখ্যানুপাতিক হারে নির্বাচন সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দেন তিনি।

৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে সংবিধান সংশোধনসহ রাষ্ট্র সংস্কার নাকি নির্বাচন এ প্রসঙ্গেই যেন দুটি ধারায় বিভক্ত দেশের মূলধারার রাজনৈতিক দলগুলো। রাজনৈতিক শক্তি, কর্মী বাহিনী বা জনসমর্থন সব সূচকেই এগিয়ে থাকা দল বিএনপি নেতারাও সরব একই ইস্যুতে।

এসব প্রসঙ্গে যেন মন খুলেই কথা বললেন বিএনপি মহাসচিব। আজ (বুধবার, ১৩ নভেম্বর) সকালে ঠাকুরগাঁওয়ের নিজ বাসভবনে মহাসচিবের সঙ্গে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে উঠে আসে বিপ্লব পরবর্তী বাংলাদেশের সংকট ও সমাধানের পথ। একইসঙ্গে বার্তা পাওয়া যায় এমন প্রেক্ষাপটে বিএনপির অবস্থানেরও।

মতবিনিময়ের শুরুতেই শেখ হাসিনাকে ফ্যাসিবাদের শীর্ষ নেতা আখ্যা দেন মির্জা ফখরুল। পতিত সরকারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে আশ্রয় নেয়ায় দেশটি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নানাভাবে অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ করেন বিএনপি মহাসচিব। এজন্য জাতিগতভাবে ঐক্যবদ্ধ থাকতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান তিনি। বলেন, ‘কাউকে নিষিদ্ধ করা কোন দলের কাজ নয়। এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে দেশের জনগণ ও আগামী সংসদ।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ফ্যাসিবাদের যিনি প্রধান হোতা তিনি কিন্তু ভারতে অবস্থান করছেন এবং ভারত কিন্তু বাংলাদেশের বিরুদ্ধে একটি প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। এটা বলতে আমার কোনো দ্বিধা নেই। রাজনৈতিক দলগুলো অন্য আরেকটা রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে আমি মনে করি যে মতামত দেয়াটা সমীচীন নয়, এটি জনগণ ভোটের মাধ্যমে ঠিক করবে কে রাজনীতি করবে আর কে রাজনীতি করবে না।’

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নিয়ে বিএনপির কোনো মাথাব্যথা নেই। এসময় উপদেষ্টা নিয়োগের বিষয়ে সরকারকে আরো সতর্ক হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি।

আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশ নেওয়া নিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের আওয়ামী লীগের আগামী নির্বাচন নিয়ে কোনো চিন্তা নেই। আমাদের চিন্তা হচ্ছে আগামী নির্বাচন নিয়ে, সেটাই আমরা এখনো নিশ্চিত নই। এর কারণ বর্তমান যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আছে তারা এখনো নির্বাচনের কোনো রোডম্যাপ দেয়নি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আমরা বার বার করে বলছি সবগুলো সংস্কারে এখনি হাত দেয়ার প্রয়োজন নাই, সেটা আগামীতে নির্বাচিত যে সংসদ আসবে তারা করবে।’

এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জামায়াতসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সংখ্যানুপাতিক হারে নির্বাচনের প্রস্তাব নাকচ করে দেন বিএনপি মহাসচিব।

নিউজটি শেয়ার করুন

রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের দায়িত্ব কোনো দলের নয়: মির্জা ফখরুল

আপডেট সময় : ০৩:৪৯:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪

রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের দায়িত্ব কোনো দলের নয়, তাই আওয়ামী লীগকে নিয়ে বিএনপির কোনো মাথাব্যথা নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব। পাশাপাশি উপদেষ্টা পরিষদ নিয়ে বিতর্ক এড়াতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনারও পরামর্শ দেন তিনি।

ঠাকুরগাঁওয়ে নিজ বাসভবনে মতবিনিময়ে, প্রতিবেশী ভারতের কঠোর সমালোচনা করে দেশটির বিরুদ্ধে বাংলাদেশের নামে অপপ্রচারের অভিযোগ তোলেন মির্জা ফখরুল। এছাড়া সংখ্যানুপাতিক হারে নির্বাচন সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দেন তিনি।

৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে সংবিধান সংশোধনসহ রাষ্ট্র সংস্কার নাকি নির্বাচন এ প্রসঙ্গেই যেন দুটি ধারায় বিভক্ত দেশের মূলধারার রাজনৈতিক দলগুলো। রাজনৈতিক শক্তি, কর্মী বাহিনী বা জনসমর্থন সব সূচকেই এগিয়ে থাকা দল বিএনপি নেতারাও সরব একই ইস্যুতে।

এসব প্রসঙ্গে যেন মন খুলেই কথা বললেন বিএনপি মহাসচিব। আজ (বুধবার, ১৩ নভেম্বর) সকালে ঠাকুরগাঁওয়ের নিজ বাসভবনে মহাসচিবের সঙ্গে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে উঠে আসে বিপ্লব পরবর্তী বাংলাদেশের সংকট ও সমাধানের পথ। একইসঙ্গে বার্তা পাওয়া যায় এমন প্রেক্ষাপটে বিএনপির অবস্থানেরও।

মতবিনিময়ের শুরুতেই শেখ হাসিনাকে ফ্যাসিবাদের শীর্ষ নেতা আখ্যা দেন মির্জা ফখরুল। পতিত সরকারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে আশ্রয় নেয়ায় দেশটি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নানাভাবে অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ করেন বিএনপি মহাসচিব। এজন্য জাতিগতভাবে ঐক্যবদ্ধ থাকতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান তিনি। বলেন, ‘কাউকে নিষিদ্ধ করা কোন দলের কাজ নয়। এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে দেশের জনগণ ও আগামী সংসদ।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ফ্যাসিবাদের যিনি প্রধান হোতা তিনি কিন্তু ভারতে অবস্থান করছেন এবং ভারত কিন্তু বাংলাদেশের বিরুদ্ধে একটি প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। এটা বলতে আমার কোনো দ্বিধা নেই। রাজনৈতিক দলগুলো অন্য আরেকটা রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে আমি মনে করি যে মতামত দেয়াটা সমীচীন নয়, এটি জনগণ ভোটের মাধ্যমে ঠিক করবে কে রাজনীতি করবে আর কে রাজনীতি করবে না।’

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নিয়ে বিএনপির কোনো মাথাব্যথা নেই। এসময় উপদেষ্টা নিয়োগের বিষয়ে সরকারকে আরো সতর্ক হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি।

আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশ নেওয়া নিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের আওয়ামী লীগের আগামী নির্বাচন নিয়ে কোনো চিন্তা নেই। আমাদের চিন্তা হচ্ছে আগামী নির্বাচন নিয়ে, সেটাই আমরা এখনো নিশ্চিত নই। এর কারণ বর্তমান যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আছে তারা এখনো নির্বাচনের কোনো রোডম্যাপ দেয়নি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আমরা বার বার করে বলছি সবগুলো সংস্কারে এখনি হাত দেয়ার প্রয়োজন নাই, সেটা আগামীতে নির্বাচিত যে সংসদ আসবে তারা করবে।’

এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জামায়াতসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সংখ্যানুপাতিক হারে নির্বাচনের প্রস্তাব নাকচ করে দেন বিএনপি মহাসচিব।