প্রথম দিনই অবৈধ অভিবাসীদের তাড়াতে পদেক্ষেপ নেবেন ট্রাম্প
- আপডেট সময় : ০২:৪৯:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪
- / ৩৪১ বার পড়া হয়েছে
আমেরিকার নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দায়িত্বগ্রহণের পর হোয়াইট হাউসে তাঁর প্রথম দিনেই অবৈধ অভিবাসনসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নির্বাহী পদক্ষেপ নেবেন। সংশ্লিষ্ট কয়েকজন কর্মকর্তার বরাতে এমন তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
কর্মকর্তারা জানান, ট্রাম্পের নির্বাহী পদক্ষেপের ফলে কেন্দ্রীয় অভিবাসন কর্মকর্তারা অপরাধের রেকর্ড নাই এমন মানুষদেরও গ্রেপ্তার করার এখতিয়ার পেতে পারেন। এ ছাড়া মেক্সিকো সীমান্তে সেনা বাড়ানো এবং সীমান্ত দেয়াল নির্মাণের কাজও ফের শুরু করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই কর্মকর্তারা।
প্রাথমিক নির্বাহী পদক্ষেপে ট্রাম্প অভিবাসন কর্মসূচির বাস্তবায়ন শুরু করবেন, যার প্রতিশ্রুতি তিনি নির্বাচনী প্রচারের সময় দিয়েছিলেন। রিপাবলিকান এই নেতা বলেছিলেন, নির্বাচিত হলে যুক্তরাষ্ট্র থেকে রেকর্ড সংখ্যক অবৈধ অভিবাসীকে বের করে দেওয়া হবে।
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসন মানবিক কর্মসূচির আওতায় লাখ লাখ অভিবাসীকে প্রবেশের যে অনুমতি দিয়েছিল, ট্রাম্প তা বন্ধ করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। একইসঙ্গে বসবাসের নির্দিষ্ট সময় পেরোনোর পরও যারা যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছে, তাদের স্বেচ্ছায় চলে যেতে উৎসাহিত করা হতে পারে।
ট্রাম্প তাঁর প্রথম দিনের নির্বাহী পদক্ষেপে দেশের ভেতরে আইনের কড়া প্রয়োগের আদেশ দিতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। এ আইনের আওতায় যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে থাকা অভিবাসীরা গ্রেপ্তার ও আটক হতে পারে।
ট্রাম্পের আরেকটি নির্বাহী আদেশে সীমান্ত নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন দুই কর্মকর্তা। তাঁরা জানান, সীমান্তে দেয়াল নির্মাণের জন্য তহবিল উন্মুক্ত করতে ট্রাম্প বর্ডার ন্যাশনাল গার্ড সেনা পাঠাতে চান। অবৈধ অভিবাসনকে জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করতে চান তিনি।
এ ছাড়া বাইডেনের অস্থায়ী ‘মানবিক প্যারোল’ কর্মসূচি বন্ধ করার পরিকল্পনা করছেন ট্রাম্প। এই কর্মসূচির অধীনে লাখ লাখ অভিবাসী বৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ এবং ওয়ার্ক পারমিট নেওয়ার অনুমোদন পায়।
ডোনাল্ড ট্রাম্প এখনও ক্ষমতায় বসেননি। এ প্রক্রিয়া প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। আগামী ২০ জানুয়ারি ট্রাম্পের অভিষেকের আগে এসব পরিকল্পনা অনেকটা পরিবর্তন হতে পারে।