আইন উপদেষ্টাকে হেনস্তা: জেনেভা মিশনের শ্রম কাউন্সেলরকে ‘স্ট্যান্ড রিলিজ’
- আপডেট সময় : ০২:৫৮:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪
- / ৩৪৫ বার পড়া হয়েছে
সুইজারল্যান্ডের জেনেভা বিমানবন্দরে আইন, বিচার ও প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলকে হেনস্তার ঘটনায় বাংলাদেশ মিশনের শ্রম কাউন্সেলর মুহাম্মদ কামরুল ইসলামকে ‘স্ট্যান্ড রিলিজ’ করা হয়েছে এবং তাকে দ্রুত ঢাকায় ফিরতে বলা হয়েছে। প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র বুধবার রাতে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় ৭ নভেম্বর ড. আসিফ নজরুলের সঙ্গে ঘটে যাওয়া এ ঘটনা সরকারের কাছে একটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হেনস্তা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই ঘটনার প্রতি গুরুত্ব দিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। উপদেষ্টার সঙ্গে প্রটোকল থাকার পরও কেন এমন ঘটনা ঘটলো এবং এর সঙ্গে কারা জড়িত তা জানতে চেয়ে মন্ত্রণালয় জেনেভার বাংলাদেশ দূতাবাস এবং স্থায়ী মিশনের মাধ্যমে কূটনৈতিক পত্রের মাধ্যমে ব্যাখ্যা চেয়েছে।
জেনেভা মিশন দ্রুত ঘটনাটি তদন্ত করে এবং প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করে ঢাকা পাঠিয়েছে। সদর দপ্তরের কূটনৈতিক পত্র পাওয়ার স্বল্প সময়ের মধ্যে মাঠে নেমে পড়ে মিশন। ঢাকায় পাঠানো প্রতিবেদনে মিশন জানিয়েছে, ওই ঘটনায় আওয়ামী লীগ আমলে জেনেভা মিশনে নিয়োগ পাওয়া একজন কর্মকর্তা এবং এক লোকাল স্টাফের যোগসূত্র থাকতে পারে।
এ ঘটনায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে শ্রম কাউন্সেলর মুহাম্মদ কামরুল ইসলামকে ‘স্ট্যান্ড রিলিজ’ করার পর তাকে ঢাকায় ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আওয়ামী লীগের আমলে নিয়োগ পাওয়া লোকাল স্টাফ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সাবেক কর্মচারী মিজানের চাকরি বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এদিকে, এই ঘটনার পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দেশের সকল মিশনে একটি জরুরি পরিপত্র পাঠিয়েছে, যেখানে দুটি মূল নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রথমত, বিদেশে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সফরের সময় যথাযথ প্রটোকল এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। দ্বিতীয়ত, যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে রাষ্ট্রদূতসহ মিশনের কর্মকর্তাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে।
গত ৭ নভেম্বর সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ভাইরাল হয়, যেখানে দেখা যায়, জেনেভা বিমানবন্দরে ড. আসিফ নজরুলকে একদল লোক ঘিরে ধরে উত্তেজিত ভাষায় তর্ক করছে। ভিডিওতে শোনা যায়, আসিফ নজরুল হেনস্তাকারীদের বলেন, “আপনি গায়ে হাত দিচ্ছেন কেন?” এর পর, ওই ব্যক্তিরা ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান দিতে শুরু করেন।