মস্কোর বিশেষ সামরিক অভিযানে ধরাশায়ী কিয়েভ। রাশিয়াকে রুখতে ইউক্রেন নির্ভরশীল আমেরিকাসহ পশ্চিমা দেশগুলোর ওপর। মিত্র বিবেচনায় কিয়েভ পাচ্ছে অঢেল সামরিক ও অর্থনৈতিকসহ সর্বাত্মক সহায়তা। এ অবস্থায়, সিরিয়ার জঙ্গি সংগঠন আল কায়দাকে সে অস্ত্র সহায়তা দিচ্ছে ইউক্রেন। সিরিয়ায় অবস্থিত রুশ সেনা ও কর্মকর্তাদের ওপর হামলা করতে সংগঠনটিকে ইউক্রেন এসব সহায়তা দিচ্ছে বলে অভিযোগ রাশিয়ার।

সার্বভৌমত্ব সংকটে ইউক্রেন, রণক্ষেত্রে রাশিয়ার বিরুদ্ধে টিকে আছে মিত্রদের সহায়তার জোরে। এ অবস্থাতে দেশটি সহায়তা করছে সিরিয়ার সশস্ত্র গোষ্ঠী আল কায়দাকে। গোষ্ঠীটিকে ইউক্রেনীয় এজেন্টরা দিচ্ছে প্রশিক্ষণ ও সমরাস্ত্র। দামেস্কে অবস্থিত রুশ সেনা ও কর্মকর্তাদের ওপর হামলার লক্ষ্য কিয়েভের। আল কায়দার হাতে দেখা যাচ্ছে মার্কিন অস্ত্র, যা সহায়তা হিসেবে ইউক্রেনকে দিয়েছে আমেরিকা।

এক সিরিয়ান কর্মকর্তার দাবি, আল কায়দা সদস্যদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে ২৫০ ইউক্রেনীয় এজেন্ট। দামেস্কে কিয়েভ এজেন্টদের সক্রিয় উপস্থিতি নিশ্চিত করেছেন এক রুশ সেনাও। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সিরিয়ার গোয়েন্দা বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, গোষ্ঠীটিকে রণকৌশল ও আত্মঘাতী ড্রোন ব্যবহারের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে ইউক্রেন।

রুশ সংবাদমাধ্যম আরটি ইন্টারন্যাশনালের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এসব তথ্য। বিশ্বব্যাপী জঙ্গী দমনে বরাবরই সোচ্চার আমেরিকা। এবার প্রশ্ন উঠেছে, কিয়েভকে দেওয়া মার্কিন অস্ত্র কেমন করে পেল জঙ্গি সংগঠন আল কায়দা।

এছাড়া, ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করছে আইএসসহ কয়েকটি জঙ্গি গোষ্ঠী। আফ্রিকাতেও এ সংগঠনগুলোকে প্রকাশ্যে সমর্থন দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে কিয়েভের বিরুদ্ধে। নির্ভরযোগ্য তথ্যের ভিত্তিতে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ এনেছে রাশিয়া।

আরব বসন্তের শুরু আফ্রিকার তিউনিশিয়ায়। মধ্যেপ্রাচ্যের মিশর, লিবিয়া ও ইয়েমেনসহ বিভিন্ন দেশে সাফল্য পেলেও, সিরিয়ায় ব্যর্থ আমেরিকা। ওয়াশিংটনকে রুখতে দামেস্কে সেনা মোতায়েন করেছিলেন বাশার আল আসাদের মিত্র ভ্লাদিমির পুতিন। এছাড়া, দেশটিতে আইএসসহ অন্যান্য জঙ্গি তৎপরতা দমনে সক্রিয় ভূমিকা ছিল রুশ ফেডারেশনের।