আজীবন অবিবাহিতই থেকে গেলেন এই নায়িকা
- আপডেট সময় : ০১:১৮:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪
- / ৩৪৪ বার পড়া হয়েছে
সময়টা ৭০-৮০-এর দশক। বলিউডে তখন জুটির যুগ। ধর্মেন্দ্র-হেমা মালিনী, অমিতাভ-রেখা, ঋষি-নীতু। সেই সময় পর্দায় এলেন আশা সচদেব। কাজ করলেন অমিতাভ, ফিরোজ খান, শশী কাপুরদের মতো প্রথম সারির প্রায় সব অভিনেতাদের সঙ্গে। কিন্তু বি গ্রেড ছবিতে অভিনয়ই কাল হল। শেষ হয়ে গেল কেরিয়ার।
দর্শক থেকে সমালোচক, তাঁর অভিনয়ের জাদুতে মুগ্ধ ছিলেন সবাই। প্রায় সব ধরণের চরিত্রে অভিনয়ও করেছেন, যা সেই সময় খুব একটা দেখা যেত না। যদিও স্ক্রিনে জায়গা পেতেন কম। কয়েকটা দৃশ্যেই সুযোগ মিলত। সেটুকুতেই নিজের ক্যারিশ্মা দেখাতেন। কিন্তু যোগ্য হয়েও সেভাবে পরিচিতি পাননি কোনওদিন।
‘মেহবুবা’ এবং ‘এক হি রাস্তা’। এই দুটো ছবি অভিনেত্রীর কেরিয়ারের মাইলস্টোন। তাঁর শক্তিশালী অভিনয়ের কথা দর্শকদের মুখে মুখে ফিরত। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, ‘প্রিয়তমা’ ছবির জন্য ১৯৭৮ সালে ফিল্মফেয়ারে সেরা সহ অভিনেত্রীর পুরস্কার জিতেছিলেন। সে সময় প্রায় সব ছবিতেই কোনও না কোনও চরিত্রে দেখা যেত তাঁকে। ১৯৮০ সালে মুক্তি পেল ‘বার্নিং ট্রেন’। জিতেন্দ্র, ধর্মেন্দ্র, বিনোদ খান্না অভিনীত এই ছবি ঝড় তুলেছিল বক্স অফিসে। ছবির মাত্র একটি গানেই দেখা গিয়েছিল আশা সচদেবকে।
তাবায়েফ-এর চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন তিনি। অর্থাৎ নাচ-গানই যাঁদের পেশা। এই চরিত্র অভিনেত্রীকে ব্যাপক খ্যাতি এনে দিয়েছিল । তবে মনের মতো চরিত্র পাননি কোনওদিন। এই আক্ষেপ চিরকাল ছিল তাঁর।প্রায় ৪০ বছরের দীর্ঘ অভিনয় কেরিয়ারে ৯০টিরও বেশি ছবিতে কাজ করেছেন। অধিকাংশ সুপারহিট ছবিরই অংশ ছিলেন তিনি। বড়পর্দার পাশাপাশি ছোট পর্দাতেও ছিলেন সমান জনপ্রিয়। একাধিক টিভি সিরিয়ালে দেখা গিয়েছে তাঁকে।
গভীর কালো চোখ, মাদকতাময় চাহনি আর শরীরি হিল্লোল। পতঙ্গের মতো ছুটে যেত তামাম পুরুষকুল। কিন্তু বি গ্রেড ছবিতে অভিনয় তাঁর কেরিয়ারের বড় ক্ষতি করে দেয়। বলিউডের মেইন স্ট্রিমে কাজ পাওয়াই মুশকিল হয়ে গিয়েছিল। ‘বিন্দিয়া অর বন্দুক’। সেই সময়ের বহুল চর্চিত ছবি। কিন্তু বি-গ্রেড। এই ছবির সাফল্য আশা সচদেবকে তুমুল জনপ্রিয়তা এনে দেয়। কিন্তু বলিউডে কাজ পাওয়া বন্ধ হয়ে যায়।
প্রযোজক, পরিচালকরা তাঁকে এড়িয়ে যেতে শুরু করেন। এমনকী অনেক বড় অভিনেতাও। আশার গায়ে বি গ্রেড অভিনেত্রীর স্ট্যাম্প লেগে যায়।রিপোর্ট অনুযায়ী, এক ব্যবসায়ীর প্রেমে পড়েছিলেন আশা সচদেব। দু’জনের বিয়েও ঠিক হয়ে যায়। কিন্তু বিয়ের কিছুদিন আগে গাড়ি দূর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ওই ব্যবসায়ীর। এরপর আর আশা কোনওদিন বিয়ের কথা ভাবেননি। আজীবন অবিবাহিতই থেকে যান।