অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো রাজনৈতিক অভিলাস নেই বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। রোববার সফররত ব্রিটিশ পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ক্যাথরিন ওয়েস্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘তারা (যুক্তরাজ্য) আমাদের সহযোগীতা করতে আগ্রহী। তারা জানতে চেয়েছেন যে কিভাবে আমাদের সহায়তা করতে পারেন। আমিও তাদের খুব পরিস্কারভাবে জানিয়েছি, আমাদের এখানে কারও কোনো রাজনৈতিক অভিলাষ নেই। আমরা আসলেও একটি সুষ্ঠ গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরি করে দিয়ে সরে যেতে চাই।’

বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাজ্য সরকারের আগ্রহ আছে বলেও জানান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।

খালেদা জিয়ার ভিসাপ্রাপ্তি নিয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে আমাদের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে। তাদের ভিসা প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়েছে, এখন তারা ইচ্ছা করলে চিকিৎসার জন্য বাইরে যেতে পারে।

বৈঠকের আলোচনা সর্ম্পকে তিনি বলেন, যুক্তরাজ্যের সঙ্গে আমাদের যেসব কূটনৈতিক সর্ম্পক রয়েছে, সে বিষয় নিয়েই আলোচনা হয়েছে। বিশেষ করে লিগ্যাল মাইগ্রেশন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তারা বলছে যে সঠিক কাগজপত্র দিয়ে তারা জনবল নেবে, কিন্তু এক্ষেত্রে অপতৎপরতা ঠেকাতে তারা আমাদের সহযোগিতা চেয়েছে, আমরাও এ বিষয়ে তাদের সহযোগিতা চেয়েছি।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পাচার হওয়া অর্থ বা সম্পদ ফিরিয়ে আনার বিষয়ে আমরা চেষ্টা করছি। এটি একটি খুব কনফিডেনশিয়াল ইস্যু। এটা নিয়ে খুব বেশি কথা বলার আপাতত কিছু নেই।

নির্বাচন নিয়ে প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আলোচনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে তারা আমাদের সহযোগিতা করতে চেয়েছে। নির্বাচন নিয়ে এখনই সুনির্দিষ্ট কোনো তারিখ আমরা বলতে পারছি না। তবে আমরা চাই একটি সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমাদের দায়িত্ব শেষ করতে। আমাদের কয়েকটি কমিশন কাজ করছে, কমিশনগুলোর প্রস্তাবনার ভিত্তিতে নির্বাচনের পরিবেশ ও তারিখ হতে পারে। এ বিষয়গুলো আমরা তাদের জানিয়েছি।

দুপুরে পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সাথে বৈঠক করেন ঢাকা সফররত যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ক্যাথরিন ওয়েস্ট।