ঢাকা ০৭:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

টিকা নিয়েও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০১:১৫:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪
  • / ৩৪৯ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিউমোনিয়া প্রতিরোধে সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির টিকা নিয়েও এ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। ঢাকা মেডিকেল ও শিশু হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া ৯৫ শতাংশ শিশুর ক্ষেত্রেই এমন জটিলতা দেখা গেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্যাকটেরিয়া ছাড়াও ভাইরাস এবং ছত্রাক সংক্রমণে নিউমোনিয়া বাড়ছে, যা বর্তমান টিকায় মোকাবিলা সম্ভব নয়। এ জন্য সচেতনতা ও উন্নত টিকা প্রয়োগে জোর দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা।

আগারগাঁওয়ের শিশু হাসপাতালের নিউমোনিয়া সেন্টারে চিকিৎসাধীন বরগুনার এক বছর বয়সী শিশু আদ্রিয়ান। একই সেন্টারে চিকিৎসা নিচ্ছে রাজধানীর বাসিন্দা ছয় বছরের আলিফও। এ ছাড়া ঢাকা মেডিকেলের শিশু বিভাগেও পাওয়া গেল নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত অন্য শিশুদের। তবে আদ্রিয়ান ও আলিফের মা জানান, সরকারি কর্মসূচির সব টিকাই দেওয়া হয়েছে তাদের শিশুকে।

পয়লা জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত শিশু হাসপাতালে ভর্তি হওয়া প্রায় চার হাজার নিউমোনিয়া রোগীর অধিকাংশই টিকা নিয়েছে। তারপরও কেন আক্রান্ত হচ্ছে, তা নিয়ে গবেষণা প্রয়োজন বলে মনে করেন চিকিৎকেরা।

শিশু হাসপাতালের শিশু বক্ষব্যাধি বিভাগের রেজিস্ট্রার ডা.জোহরা আক্তার বলেন, হাসপাতালে বর্তমানে যেসব শিশুরা নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি রয়েছে, তাদের অধিকাংশকেই টিকা দেওয়া হয়েছে। তারপরও তারা নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত।

পেডিয়াট্রিক পালমোনলজি ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. প্রবীর কুমার সরকার বলেন, এ মুহূর্তে নিউমোনিয়ার খুব সাধারণ ১০টি সেরোটাইপকে কভার দেওয়া যাচ্ছে। এগুলোর গতিবিধি নিয়ে আরও গবেষণা করা উচিত।

নিউমোনিয়া জীবাণুর সেরোটাইপ রয়েছে প্রায় এক শটি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকারি যে টিকা দেওয়া হয়, তা শুধু ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে কাজ করে। সংক্রমণ ঠেকাতে সচেতনতার পাশাপাশি উন্নত টিকাও প্রয়োজন।

শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা.আবিদ হোসেন মোল্লা বলেন, কোনো সুনির্দিষ্ট কারণ ছাড়া যেন টিকা মিস না হয় সেদিকে খেয়াল রাখা জরুরি। এ ছাড়া সরকারি যে টিকা দেওয়া হয়, তা শুধু ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে কাজ করে। নিউমোনিয়ার সংক্রমণ ঠেকাতে সচেতনতার পাশাপাশি এখন উন্নত টিকাও প্রয়োজন।

দেশে প্রতি বছর চব্বিশ হাজার শিশুর মৃত্যু হয় নিউমোনিয়ায়, যা মোট শিশু মৃত্যুর চব্বিশ শতাংশ।

নিউজটি শেয়ার করুন

টিকা নিয়েও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা

আপডেট সময় : ০১:১৫:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪

নিউমোনিয়া প্রতিরোধে সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির টিকা নিয়েও এ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। ঢাকা মেডিকেল ও শিশু হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া ৯৫ শতাংশ শিশুর ক্ষেত্রেই এমন জটিলতা দেখা গেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্যাকটেরিয়া ছাড়াও ভাইরাস এবং ছত্রাক সংক্রমণে নিউমোনিয়া বাড়ছে, যা বর্তমান টিকায় মোকাবিলা সম্ভব নয়। এ জন্য সচেতনতা ও উন্নত টিকা প্রয়োগে জোর দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা।

আগারগাঁওয়ের শিশু হাসপাতালের নিউমোনিয়া সেন্টারে চিকিৎসাধীন বরগুনার এক বছর বয়সী শিশু আদ্রিয়ান। একই সেন্টারে চিকিৎসা নিচ্ছে রাজধানীর বাসিন্দা ছয় বছরের আলিফও। এ ছাড়া ঢাকা মেডিকেলের শিশু বিভাগেও পাওয়া গেল নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত অন্য শিশুদের। তবে আদ্রিয়ান ও আলিফের মা জানান, সরকারি কর্মসূচির সব টিকাই দেওয়া হয়েছে তাদের শিশুকে।

পয়লা জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত শিশু হাসপাতালে ভর্তি হওয়া প্রায় চার হাজার নিউমোনিয়া রোগীর অধিকাংশই টিকা নিয়েছে। তারপরও কেন আক্রান্ত হচ্ছে, তা নিয়ে গবেষণা প্রয়োজন বলে মনে করেন চিকিৎকেরা।

শিশু হাসপাতালের শিশু বক্ষব্যাধি বিভাগের রেজিস্ট্রার ডা.জোহরা আক্তার বলেন, হাসপাতালে বর্তমানে যেসব শিশুরা নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি রয়েছে, তাদের অধিকাংশকেই টিকা দেওয়া হয়েছে। তারপরও তারা নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত।

পেডিয়াট্রিক পালমোনলজি ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. প্রবীর কুমার সরকার বলেন, এ মুহূর্তে নিউমোনিয়ার খুব সাধারণ ১০টি সেরোটাইপকে কভার দেওয়া যাচ্ছে। এগুলোর গতিবিধি নিয়ে আরও গবেষণা করা উচিত।

নিউমোনিয়া জীবাণুর সেরোটাইপ রয়েছে প্রায় এক শটি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকারি যে টিকা দেওয়া হয়, তা শুধু ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে কাজ করে। সংক্রমণ ঠেকাতে সচেতনতার পাশাপাশি উন্নত টিকাও প্রয়োজন।

শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা.আবিদ হোসেন মোল্লা বলেন, কোনো সুনির্দিষ্ট কারণ ছাড়া যেন টিকা মিস না হয় সেদিকে খেয়াল রাখা জরুরি। এ ছাড়া সরকারি যে টিকা দেওয়া হয়, তা শুধু ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে কাজ করে। নিউমোনিয়ার সংক্রমণ ঠেকাতে সচেতনতার পাশাপাশি এখন উন্নত টিকাও প্রয়োজন।

দেশে প্রতি বছর চব্বিশ হাজার শিশুর মৃত্যু হয় নিউমোনিয়ায়, যা মোট শিশু মৃত্যুর চব্বিশ শতাংশ।