বৈঠক করতে দিল্লি থেকে আসছেন ২০ দেশের রাষ্ট্রদূত
- আপডেট সময় : ১০:৪৩:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪
- / ৩৫০ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ভারতের দিল্লি থেকে আসা ২০ দেশের রাষ্ট্রদূতসহ মোট ২৭ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন। রোববার (১৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে ড. ইউনূস এ তথ্য জানিয়েছেন।
মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের ২০ দেশের ২০ জন রাষ্ট্রদূত দিল্লিতে থাকেন। সাত দেশের সাত রাষ্ট্রদূত ঢাকায় আছেন। দিল্লি থেকে একসঙ্গে ২০ জন রাষ্ট্রদূতসহ মোট ২৭ রাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত সমবেতভাবে আমার সঙ্গে বৈঠক করার জন্য আগামী কয়েকদিনের মধ্যে ঢাকায় আসছেন।
ড. ইউনূস বলেন, “গণঅভ্যুত্থানের পর আমরা গুম, খুন ও গণহত্যার বিচারের জন্য দেশের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক আদালতেও উদ্যোগ নিয়েছি। ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোর্টের প্রধান কৌঁসুলির সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হয়েছে। জাতিসংঘও আমাদের তদন্তে সহযোগিতা করছে।”
প্রধান উপদেষ্টা জানান, গুমের তদন্তে একটি কমিশন গঠন করা হয়েছে। কমিশন প্রধানের প্রতিবেদন অনুসারে, এ পর্যন্ত ১ হাজার ৬০০ গুমের তথ্য পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, এই সংখ্যা ৩ হাজার ৫০০ ছাড়িয়ে যাবে। তিনি বলেন, “গুমের ঘটনায় অভিযুক্তদের আমরা বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাবই, যতই শক্তিশালী হোক না কেন।”
ড. ইউনূস বলেন, “আমরা গুমবিরোধী আন্তর্জাতিক সনদে স্বাক্ষর করেছি। জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনার সম্প্রতি বাংলাদেশ সফর করেছেন এবং জুলাই-আগস্ট গণহত্যার তদন্তে সহযোগিতা করছেন। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে জাতিসংঘ তাদের প্রতিবেদন হস্তান্তর করবে।”
তিনি জানান, অভ্যুত্থানে শহীদ পরিবারের পুনর্বাসনে প্রতিটি পরিবারকে ৩০ লাখ টাকা অনুদান দেওয়া হচ্ছে। আহতদের চিকিৎসার সম্পূর্ণ ব্যয় সরকার বহন করবে। নেপাল থেকে কর্নিয়া আনার ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং বিদেশে চিকিৎসার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
ড. ইউনূস বলেন, “জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে শহীদদের স্মৃতি রক্ষায় গঠিত ‘জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন’ কাজ শুরু করেছে। এ ফাউন্ডেশনে সরকার ১০০ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছে।”
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর ছাত্র-শ্রমিক-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়। ৮ আগস্ট ড. ইউনূস প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেন। বর্তমানে উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সংখ্যা ২৪।
ড. ইউনূস বলেন, “আমাদের দায়িত্ব দেশের আইনশৃঙ্খলা পুনরুদ্ধার এবং মানবাধিকার রক্ষায় স্থায়ী পদক্ষেপ নেওয়া। আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে আমরা গুম, খুন ও গণহত্যার বিচার নিশ্চিত করব।”