চিত্রনায়িকা আঞ্জুমান আরার ব্যাংক হিসাব জব্দ
- আপডেট সময় : ০১:০৯:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪
- / ৩৫০ বার পড়া হয়েছে
ঢাকাই সিনেমার একসময়ের জনপ্রিয় নায়িকা আঞ্জুমান আরা শিল্পী। সালমান শাহ’র সঙ্গে জুটি বেঁধে কাজ করে বেশ প্রশংসা পেয়েছিলেন সে সময়। তবে প্রায় দুই দশক ধরে তিনি চলচ্চিত্রে নেই। তবুও দর্শকের আগ্রহ কমেনি তার প্রতি।
এদিকে এই অভিনেত্রীর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট স্থগিত করেছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।
চিত্রনায়িকা আঞ্জুমান আরা শিল্পী এবং তার স্বামী আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) ও প্রিমিয়ার ব্যাংকের চেয়ারম্যান এইচ বি এম ইকবালসহ তাদের তিন সন্তানের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) দেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়ে চিঠি পাঠিয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, হেফজুল বারি মোহাম্মদ ইকবাল ওরফে এইচবিএম ইকবাল, তার স্ত্রী আঞ্জুমান আরা শিল্পী, ডা. ইকবালের প্রথম স্ত্রী প্রয়াত মমতাজ বেগম পক্ষের সন্তান মঈন উদ্দিন ইকবাল, ইকরাম ইকবাল এবং নওরীন ইকবালের অ্যাকাউন্ট স্থগিত করার নির্দেশ দেওয়া হলো। আগামী ৩০ দিনের জন্য এসব ব্যক্তি ও একক মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের হিসাবের লেনদেন স্থগিত থাকবে।
মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ২৩(১)(গ) ধারা অনুযায়ী এ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে উল্লেখ করে চিঠিতে আরও বলা হয়, এসব ব্যক্তি ও তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নামে পরিচালিত সব হিসাবের তথ্য আগামী ৪ দিনের মধ্যে পাঠানোর অনুরোধ করা হলো। এসব ব্যক্তির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়িক হিসাবে লেনদেন যেন শুধু সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ব্যবসা সংশ্লিষ্ট বিষয়েই হয়, তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।
ব্যাংকের মালিকানার পাশাপাশি এইচ বি এম ইকবাল নানা ধরনের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। তিনি প্রিমিয়ার গ্রুপের চেয়ারম্যান। গ্রুপটির অধীনে পাঁচ তারকা হোটেলের পাশাপাশি রেস্টুরেন্ট, সিমেন্ট উৎপাদন, মেডিকেল সেন্টারসহ নানা ধরনের ব্যবসা রয়েছে। দেশে একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও গড়ে তুলেছেন তিনি।
ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে ২০১১ সাল থেকে প্রিমিয়ার ব্যাংকের চেয়ারম্যান পদে থাকার পাশাপাশি এইচ বি এম ইকবালের বিরুদ্ধে গুলশানে হোটেল রেনেসাঁ, গুলশান-২–এ হিলটন হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট ও রয়েল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা নির্মাণের অভিযোগ রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটে। এর পর থেকে দেশে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা ও সরকার–ঘনিষ্ঠ কিছু ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি তাদের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হচ্ছে।