ঢাকা ১২:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी
ব্রেকিং নিউজ ::
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আদালতের পাঁচটি মামলা ছাড়াও মানহানির অভিযোগে করা একটি মামলা বাতিল করেছেন হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) পৃথক এসব মামলা বাতিল করেন আদালত। ::: সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও তার তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যার পরিকল্পনার অভিযোগে করা মামলায় জামিন পেয়েছেন সাংবাদিক শফিক রেহমান।

মন খারাপের মেছতা থেকে মুক্তির উপায়

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১২:২৬:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪
  • / ৩৪৭ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মেছতা বা মেলাসমা একধরনের চর্মরোগ। এটি হলো ছোট ছোট বাদামি রঙের ছোপ ছোপ দাগ যা মুখে, হাতের বাহুতে, ঘাড়ে বা পিঠের ত্বকে দেখা যায়। মূলত শরীরের যে অংশগুলো সূর্যের আলোর সংস্পর্শে থাকে সেসব জায়গায় মেছতা দেখা যায়।

মেছতা হয়ত খুব গুরুতর রোগ নয়, কিন্তু মুখের ত্বকে মেছতার কালো দাগ নিয়ে বিব্রতবোধ করেন অনেকেই। দিন যত যায়, তত গাঢ় হয় এই দাগ, সঙ্গে বাড়তে থাকে রোগীর মানসিক চাপ।

মেছতার কারণ
সূর্যের আল্ট্রাভায়োলেট (ইউভি) রশ্মি শরীরে মেলানিন বাড়িয়ে দেয়। তাই বেশিক্ষণ রোদে থাকলে শরীরের কিছু কিছু অংশের ত্বকে মেলানিন বেড়ে যায়; ফলে সেসব জায়গার রঙ গাঢ় হয়ে যায়। যা দেখতে বাদামি ছোপ ছোপ দাগের মতো মনে হয়। নারীদের এ রোগ বেশি হয়, বিশেষ করে চল্লিশোর্ধ্ব নারীদের মেছতায় আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বেশি।

এছাড়াও বিভিন্ন কারণে ত্বকে মেছতা হতে পারে, যেমন-

হরমোনের চিকিৎসা এবং গর্ভাবস্থায় হরমোনের পরিবর্তন।
ব্যবহৃত কোনো পণ্যের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া।
জেনেটিক কারণ।
চিকিৎসায় মেছতা পুরোপুরি ভাল হওয়ার সম্ভাবনা কম। কিন্তু ঘরোয়া পরিচর্যার মাধ্যমে আপনি মেছতার দাগ ধীরে ধীরে কমিয়ে আনতে পারেন। একেবারেই না কমলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সাহায্য নিতে পারেন। সময়ের সঙ্গে মেছতার অনেক আধুনিক চিকিৎসাপদ্ধতি আবিষ্কৃত হয়েছে।

বর্তমানে মেছতা দূর করার জন্য অনেকে লেজার ট্রিটমেন্ট করাতে চান। তবে বেশিরভাগই লেজার ট্রিটমেন্টের পরে সঠিকভাবে যত্ন নেন না। এ কারণে দীর্ঘমেয়াদে ত্বক আরও বেশি খারাপ হয়। মেছতা দূর করার জন্য সবচেয়ে নিরাপদ উপায় হিসেবে তাই বেছে নিতে পারেন কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি।

অ্যালোভেরা
তাজা অ্যালোভেরা মেছতার স্পটে লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট ম্যাসাজ করুন। এরপর ধুয়ে নিন। ত্বকে মানিয়ে গেলে আপনি সারারাতও অ্যালোভেরা জেল রেখে দিতে পারেন। প্রাকৃতিক এই উপাদান কোষের ডি-পিগমেন্টেশন করে মেছতার দাগ কমায়।

আমন্ড অয়েল
ত্বকের যত্নে দারুণ উপকারী আমন্ড অয়েল বা কাঠবাদামের তেল। ২-৩ ফোঁটা আমন্ড অয়েল নিয়ে মেছতার স্পটে নিয়মিত ম্যাসাজ করতে হবে। ঘণ্টাখানেক রেখে ধুয়ে ফেলবেন। নিয়মিত ব্যবহারে মেছতার দাগ দূর হবে।

টমেটোর রস
একটি ছোট, পাকা টমেটো ভালোভাবে চটকে নিন। এটি মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। এই প্যাকটিও প্রতিদিন ব্যবহারে মেছতার দাগ দূর হয়।

টক দই
মেছতা দূর করতে অন্যতম কার্যকরী উপায় হলো টক দইয়ের ব্যবহার। সামান্য টক দই ফেটিয়ে নিয়ে মুখে ভালোভাবে লাগিয়ে নিন। ১৫-২০ মিনিট পর ধুয়ে নিন। নিয়মিত টক দইয়ের ব্যবহারে মেছতা দূর হবে, বাড়বে ত্বকের উজ্জ্বলতাও।

প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ উত্তম। একবার মেছতা দেখা দিলে তা দ্রুত সারানো খুব কঠিন। কিছু জিনিস প্রথম থেকেই এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন।

যতটা সম্ভব রোদ এড়িয়ে চলুন। সূর্যের আলো মেলানিনের উৎপাদন বাড়িয়ে দেয়।
প্রতিদিন সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। যাদের মেছতার দাগ পড়ে গিয়েছে তারা জানালার পাশে কিংবা চুলার সামনেও সানস্ক্রিন ছাড়া যাবেন না।
নিয়মিত এক্সফোলিয়েট করুন। এক্সফোলিয়েশন ত্বকের মৃত কোষ দূর করে, ফলে মেছতার দাগ ধীরে ধীরে হালকা হয়ে ওঠে।
অনেক সময় ঠোটেও মেছতার দাগ হতে দেখা যায়। তাই এসপিএফ যুক্ত লিপ বাম ব্যবহার করুন।

নিউজটি শেয়ার করুন

মন খারাপের মেছতা থেকে মুক্তির উপায়

আপডেট সময় : ১২:২৬:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪

মেছতা বা মেলাসমা একধরনের চর্মরোগ। এটি হলো ছোট ছোট বাদামি রঙের ছোপ ছোপ দাগ যা মুখে, হাতের বাহুতে, ঘাড়ে বা পিঠের ত্বকে দেখা যায়। মূলত শরীরের যে অংশগুলো সূর্যের আলোর সংস্পর্শে থাকে সেসব জায়গায় মেছতা দেখা যায়।

মেছতা হয়ত খুব গুরুতর রোগ নয়, কিন্তু মুখের ত্বকে মেছতার কালো দাগ নিয়ে বিব্রতবোধ করেন অনেকেই। দিন যত যায়, তত গাঢ় হয় এই দাগ, সঙ্গে বাড়তে থাকে রোগীর মানসিক চাপ।

মেছতার কারণ
সূর্যের আল্ট্রাভায়োলেট (ইউভি) রশ্মি শরীরে মেলানিন বাড়িয়ে দেয়। তাই বেশিক্ষণ রোদে থাকলে শরীরের কিছু কিছু অংশের ত্বকে মেলানিন বেড়ে যায়; ফলে সেসব জায়গার রঙ গাঢ় হয়ে যায়। যা দেখতে বাদামি ছোপ ছোপ দাগের মতো মনে হয়। নারীদের এ রোগ বেশি হয়, বিশেষ করে চল্লিশোর্ধ্ব নারীদের মেছতায় আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বেশি।

এছাড়াও বিভিন্ন কারণে ত্বকে মেছতা হতে পারে, যেমন-

হরমোনের চিকিৎসা এবং গর্ভাবস্থায় হরমোনের পরিবর্তন।
ব্যবহৃত কোনো পণ্যের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া।
জেনেটিক কারণ।
চিকিৎসায় মেছতা পুরোপুরি ভাল হওয়ার সম্ভাবনা কম। কিন্তু ঘরোয়া পরিচর্যার মাধ্যমে আপনি মেছতার দাগ ধীরে ধীরে কমিয়ে আনতে পারেন। একেবারেই না কমলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সাহায্য নিতে পারেন। সময়ের সঙ্গে মেছতার অনেক আধুনিক চিকিৎসাপদ্ধতি আবিষ্কৃত হয়েছে।

বর্তমানে মেছতা দূর করার জন্য অনেকে লেজার ট্রিটমেন্ট করাতে চান। তবে বেশিরভাগই লেজার ট্রিটমেন্টের পরে সঠিকভাবে যত্ন নেন না। এ কারণে দীর্ঘমেয়াদে ত্বক আরও বেশি খারাপ হয়। মেছতা দূর করার জন্য সবচেয়ে নিরাপদ উপায় হিসেবে তাই বেছে নিতে পারেন কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি।

অ্যালোভেরা
তাজা অ্যালোভেরা মেছতার স্পটে লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট ম্যাসাজ করুন। এরপর ধুয়ে নিন। ত্বকে মানিয়ে গেলে আপনি সারারাতও অ্যালোভেরা জেল রেখে দিতে পারেন। প্রাকৃতিক এই উপাদান কোষের ডি-পিগমেন্টেশন করে মেছতার দাগ কমায়।

আমন্ড অয়েল
ত্বকের যত্নে দারুণ উপকারী আমন্ড অয়েল বা কাঠবাদামের তেল। ২-৩ ফোঁটা আমন্ড অয়েল নিয়ে মেছতার স্পটে নিয়মিত ম্যাসাজ করতে হবে। ঘণ্টাখানেক রেখে ধুয়ে ফেলবেন। নিয়মিত ব্যবহারে মেছতার দাগ দূর হবে।

টমেটোর রস
একটি ছোট, পাকা টমেটো ভালোভাবে চটকে নিন। এটি মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। এই প্যাকটিও প্রতিদিন ব্যবহারে মেছতার দাগ দূর হয়।

টক দই
মেছতা দূর করতে অন্যতম কার্যকরী উপায় হলো টক দইয়ের ব্যবহার। সামান্য টক দই ফেটিয়ে নিয়ে মুখে ভালোভাবে লাগিয়ে নিন। ১৫-২০ মিনিট পর ধুয়ে নিন। নিয়মিত টক দইয়ের ব্যবহারে মেছতা দূর হবে, বাড়বে ত্বকের উজ্জ্বলতাও।

প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ উত্তম। একবার মেছতা দেখা দিলে তা দ্রুত সারানো খুব কঠিন। কিছু জিনিস প্রথম থেকেই এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন।

যতটা সম্ভব রোদ এড়িয়ে চলুন। সূর্যের আলো মেলানিনের উৎপাদন বাড়িয়ে দেয়।
প্রতিদিন সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। যাদের মেছতার দাগ পড়ে গিয়েছে তারা জানালার পাশে কিংবা চুলার সামনেও সানস্ক্রিন ছাড়া যাবেন না।
নিয়মিত এক্সফোলিয়েট করুন। এক্সফোলিয়েশন ত্বকের মৃত কোষ দূর করে, ফলে মেছতার দাগ ধীরে ধীরে হালকা হয়ে ওঠে।
অনেক সময় ঠোটেও মেছতার দাগ হতে দেখা যায়। তাই এসপিএফ যুক্ত লিপ বাম ব্যবহার করুন।