সোমবার আইসিটিতে তোলা হবে সাবেক ১২ মন্ত্রী-উপদেষ্টাকে
- আপডেট সময় : ১০:২৮:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪
- / ৩৪৭ বার পড়া হয়েছে
জুলাই গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় কাল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে (আইসিটি) হাজির করা হবে ক্ষমতাচ্যূত আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক ১০ মন্ত্রী, দুই উপদেষ্টাসহ ১৪ হেভিওয়েট আসামিকে। এজন্য জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। আদালতের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, এ পর্যন্ত গুম-খুনসহ সব অপরাধেরই বিচার হবে। তবে সবার আগে হবে জুলাই গণহত্যার বিচার।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার মন্ত্রিসভার সদস্যসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে এক মাস আগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এর মধ্যে বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার ১৪ জনকে সোমবার হাজিরের নির্দেশ দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল।
সোমবার হাজির করাদের মধ্যে সাবেক মন্ত্রী আনিসুল হক, আব্দুর রাজ্জাক, শাহজাহান খান, দীপু মনি, হাসানুল হক ইনু, রাশেদ খান মেনন ও জুনায়েদ আহমেদ পলক উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও রয়েছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও তৌফিক-ই এলাহি চৌধুরী এবং আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক।
চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম জানান, আসামিদের বিচারের জন্য সব প্রস্তুতি শেষ। তিনি বলেন, ‘তাদের বিরুদ্ধে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের যে তথ্য প্রমাণ আমরা পেয়েছি তা তদন্ত সংস্থা ইতিমধ্যেই দাখিল করেছে আদালতে। সেগুলোর কপি যারা যারা হাজির থাকবেন প্রাথমিকভাবে তাদের কাছে আমরা সরবরাহ করব কালকে। অভিযোগ তো আছেই, অকাট্য দলিল–প্রমাণও আছে।’
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এলাকায় এমনিতেই কড়া নিরাপত্তা থাকে। সোমবার গুরুত্বপূর্ণ আসামিদের জন্য বাড়ানো হয়েছে কড়াকড়ি।
তাজুল ইসলাম বলেন, ‘সাংবাদিক ছাড়া অন্য কেউ যাতে প্রবেশ না করেন সে ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে আমরা বলেছি, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে। আদালত কক্ষে কোনো ব্যক্তিই মোবাইল নিয়ে প্রবেশ করবেন না। এটা আইনজীবী হোক, প্রসিকিউশন হোক, সাংবাদিক হোক।’
ট্রাইব্যুনালের মূল ভবনের সংস্কার শেষে এরই মধ্যে প্রস্তুত এজলাস কক্ষ। তবে, সেখানে বিচার শুরু হতে আরও কয়েকদিন সময় লাগবে।