যথাযথ পরিকল্পনার অভাবে দেশের উন্নয়ন কেবল রাজধানীসহ কয়েকটি শহরেই সীমাবদ্ধ। এমন মন্তব্য করে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার সুষম উন্নয়নে জোর দিচ্ছে। সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্সের ইসলামিক অর্থায়ন প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। প্রকল্পের আওতায় ৭ থেকে ৯ শতাংশ সুদে আবাসনে ঋণ পাবেন গ্রাহকরা।
দেশের বড় জনগোষ্ঠী এখনো মানসম্মত আবাসন সুবিধার বাইরে। অন্যদিকে অপরিকল্পিত ঘরবাড়ি নির্মাণে কমছে কৃষি জমির পরিমাণও। প্রাকৃতিক দুর্যোগেও ক্ষতিগ্রস্ত অনেকের বসতবাড়ি। এসব চ্যালেঞ্জ মাথায় রেখে গ্রাম ও শহরতলীকে প্রাধান্য দিয়ে টেকসই আবাসনে অর্থায়ন প্রকল্প শুরু করেছে রাষ্ট্রায়ত্ব প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্স। শরীয়াহভিত্তিক এই প্রকল্পে প্রায় ৩ হাজার ২০০ কোটি টাকা তহবিল সহায়তা করছে ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ঢাকাসহ কয়েকটি শহরের বাইরে দেশে নাগরিক সুবিধা নেই। তাই বিকেন্দ্রীকরণে উন্নত আবাসনের সঙ্গে শিক্ষা-স্বাস্থ্যসুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।
অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘কয়েকটা সিটি আর বাকি সব অন্ধকারাচ্ছন্ন মাঠ, আনডার ডেভেলপ রুরাল ইকোনোমি। দ্যাট উই ক্যান নট অ্যালাউ।’
৫ বছর মেয়াদী অর্থায়নে হাউজ বিল্ডিং এর ২য় প্রকল্পটি শেষ হবে ২০২৯ সালে। ইসলামি উন্নয়ন ব্যাংকের প্রতিনিধি বলেন, প্রকল্পে সাড়ে ১৭ হাজারের বেশি পরিবার সুবিধা পাবে। রক্ষা করা যাবে ২২৫ একর কৃষি জমি।
২০ বছর মেয়াদি গৃহঋণে ঢাকা ও চট্টগ্রামে সুদহার ৯ শতাংশ, জেলাশহরে ৮ এবং উপজেলায় ৭ ভাগ।
বিএইচবিএফসি ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুল মান্নান বলেন, ‘স্বল্প আয়ের যারা তাদেরকে ৯০ ভাগ লোন আমরা দিয়ে থাকি। ১০ ভাগ তার ইক্যুইটি থাকলেই হলো। এ কারণে কয়েকজনে মিলেও একটা জায়গা কিনে সেখানে বাড়ি করতে পারে। ফলশ্রুতিতে আমাদের এগ্রিকালচার ল্যান্ড যেটা সেটা সেভ হলো।’
প্রকল্পে প্রায় ২ হাজার বহুতল ভবন, ১ হাজার ৯০০ পাকা বাড়ি, এবং ১০০টির মত জলবায়ু সহিষ্ণু-পরিবেশবান্ধব আবাসনে ঋণ দেওয়া হবে।