ঢাকা ০৮:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

প্রধান উপদেষ্টা ৪ বছরের কথা বলেননি: প্রেস সচিব

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১০:৫৮:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪
  • / ৩৪৭ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস নিয়মিত সরকারের মেয়াদ ৪ বছরের কথা বলেননি বলে জানিয়েছেন প্রেস সেক্রেটারি শফিকুল আলম। আজ সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

এসময় শফিকুল আলম বলেন, ‘উনি (ড. মুহাম্মদ ইউনূস) যখন বলেছেন সরকারের মেয়াদ ৪ বছর করার প্রস্তাব আছে, তখন প্রশ্নকর্তা প্রশ্ন করেন অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদও ৪ বছর হবে কি না।’

প্রধান উপদেষ্টার জাতির উদ্দেশে ভাষণে নির্বাচনের রোডম্যাপ না থাকা সংক্রান্ত বিএনপি মহাসচিবের করা সমালোচনার জবাবে শফিকুল আলম বলেন, ‘এটা উনার বক্তব্য। নির্বাচন সংক্রান্ত যে কমিশন গঠন করা হয়েছে এটা রোডম্যাপেরই অংশ।’

প্রেস সচিব বলেন, গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনে সবাইকে ব্রডবেইজড জায়গা থেকে নেওয়া হয়েছে। কমিশনের প্রধান সম্পূর্ণ স্বাধীন। তিনি তাঁর বিবেচনায় সদস্য নির্বাচন করেছেন বলে জানান তিনি।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনেক ভালো দিকে যাচ্ছে। গতবছরের এই সময়ের তুলনায় বর্তমান সময়ের পুলিশ রিপোর্টেই এসব আছে।’

এসময় তিনি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের শান্ত থাকার আহ্বান জানান।

সম্প্রতি আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলনের (কপ ২৯) ফাঁকে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে এক সাক্ষাৎকারে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, নতুন সংবিধানে সরকারের মেয়াদ চার বছর হতে পারে।

সাক্ষাৎকারে অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ নিয়ে প্রশ্ন করলে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা অন্তর্বর্তী সরকার। নিয়মিত সরকার পাঁচ বছরের হয়। নতুন সংবিধানে সরকারের মেয়াদ সম্ভবত চার বছর হতে পারে। কারণ, মানুষ সরকারের মেয়াদ কম চায়। সুতরাং অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ চার বছরের কম হওয়া উচিত, এটা নিশ্চিত। এটা আরও কম হতে পারে। এটা পুরোটা নির্ভর করছে মানুষ কী চায়, রাজনৈতিক দলগুলো কী চায় তার ওপর।’

দেশে কবে ভোট হবে, এ বিষয়ে এখনও কিছু ঠিক হয়নি জানিয়ে ড. ইউনূস বলেন, নির্বাচনের সময় ও সংস্কারের বিষয়ে দেশের জনগণই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

প্রধান উপদেষ্টা ৪ বছরের কথা বলেননি: প্রেস সচিব

আপডেট সময় : ১০:৫৮:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস নিয়মিত সরকারের মেয়াদ ৪ বছরের কথা বলেননি বলে জানিয়েছেন প্রেস সেক্রেটারি শফিকুল আলম। আজ সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

এসময় শফিকুল আলম বলেন, ‘উনি (ড. মুহাম্মদ ইউনূস) যখন বলেছেন সরকারের মেয়াদ ৪ বছর করার প্রস্তাব আছে, তখন প্রশ্নকর্তা প্রশ্ন করেন অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদও ৪ বছর হবে কি না।’

প্রধান উপদেষ্টার জাতির উদ্দেশে ভাষণে নির্বাচনের রোডম্যাপ না থাকা সংক্রান্ত বিএনপি মহাসচিবের করা সমালোচনার জবাবে শফিকুল আলম বলেন, ‘এটা উনার বক্তব্য। নির্বাচন সংক্রান্ত যে কমিশন গঠন করা হয়েছে এটা রোডম্যাপেরই অংশ।’

প্রেস সচিব বলেন, গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনে সবাইকে ব্রডবেইজড জায়গা থেকে নেওয়া হয়েছে। কমিশনের প্রধান সম্পূর্ণ স্বাধীন। তিনি তাঁর বিবেচনায় সদস্য নির্বাচন করেছেন বলে জানান তিনি।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনেক ভালো দিকে যাচ্ছে। গতবছরের এই সময়ের তুলনায় বর্তমান সময়ের পুলিশ রিপোর্টেই এসব আছে।’

এসময় তিনি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের শান্ত থাকার আহ্বান জানান।

সম্প্রতি আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলনের (কপ ২৯) ফাঁকে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে এক সাক্ষাৎকারে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, নতুন সংবিধানে সরকারের মেয়াদ চার বছর হতে পারে।

সাক্ষাৎকারে অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ নিয়ে প্রশ্ন করলে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা অন্তর্বর্তী সরকার। নিয়মিত সরকার পাঁচ বছরের হয়। নতুন সংবিধানে সরকারের মেয়াদ সম্ভবত চার বছর হতে পারে। কারণ, মানুষ সরকারের মেয়াদ কম চায়। সুতরাং অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ চার বছরের কম হওয়া উচিত, এটা নিশ্চিত। এটা আরও কম হতে পারে। এটা পুরোটা নির্ভর করছে মানুষ কী চায়, রাজনৈতিক দলগুলো কী চায় তার ওপর।’

দেশে কবে ভোট হবে, এ বিষয়ে এখনও কিছু ঠিক হয়নি জানিয়ে ড. ইউনূস বলেন, নির্বাচনের সময় ও সংস্কারের বিষয়ে দেশের জনগণই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।