ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রাশিয়ায় হামলা চালাতে ইউক্রেনকে অনুমতি বাইডেনের
- আপডেট সময় : ১২:৪৪:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪
- / ৩৪৪ বার পড়া হয়েছে
যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে রাশিয়ার ভূখণ্ডে হামলা করতে ইউক্রেনকে সবুজ সংকেত দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। একজন মার্কিন কর্মকর্তা বিবিসির মার্কিন সহযোগী সংবাদমাধ্যম সিবিএসকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিবিসি জানিয়েছে, গত কয়েক মাস ধরেই ‘এটিএসিএমএস’ নামের ক্ষেপণাস্ত্রের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছিলেন ইউক্রেনের প্রেসেডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। একই সঙ্গে তিনি রাশিয়ার অভ্যন্তরে হামলা চালানোরও অনুমতি চাচ্ছিলেন।
রাশিয়ার অভ্যন্তরে হামলার ব্যাপারে গতকাল রোববার জেলেনস্কি বলেন, ‘এ ধরনের অভিযান ঘোষণা জানিয়ে শুরু করা হয় না। যখন প্রয়োজন হয়, তখন ক্ষেপণাস্ত্র নিজে থেকেই কথা বলে ওঠে।’
এ ধরনের পদক্ষেপের ব্যাপারে পশ্চিমা দেশগুলোকে বারবার সতর্ক করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি একাধিকবার বলেছেন, ‘রাশিয়ার অভ্যন্তরে হামলা চালানোর অর্থ হচ্ছে ইউক্রেন যুদ্ধে ন্যাটো সামরিক জোটের সরাসরি জড়িয়ে পড়া।’
তবে রুশ ভূখণ্ডে মার্কিন অস্ত্র দিয়ে হামলার অনুমতির ব্যাপারে এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া জানাননি পুতিন। শুধু ক্রেমলিনের কয়েক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এ ধরনের পদক্ষেপকে ‘গুরুতর’ বলে মন্তব্য করেছেন।
এদিকে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ইউক্রেনকে দেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রাশিয়ায় হামলার অনুমতির ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি হোয়াইট হাউস।
আগামী বছরের ২০ জানুয়ারি শপথ নেবেন যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর মাত্র দুই মাস আগে এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি সিদ্ধান্ত নিল যুক্তরাষ্ট্র।
মাত্রই গত মাসে ইউক্রেন যুদ্ধে উত্তর কোরিয়ার সেনা মোতায়েন করেছে রাশিয়া। এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেন। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই নিজেদের সরবরাহ করা অস্ত্র দিয়ে রাশিয়ার অভ্যন্তরে হামলা চালানোর অনুমিত দিল জো বাইডেনের প্রশাসন।
অন্তত তিনটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া এটিএসিএমএস মিসাইলগুলো ১৯০ মাইল (৩০৬ কিলোমিটার) দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে।
কয়েকজন মার্কিন কর্মকর্তা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, দূরপাল্লার অস্ত্র দিয়ে রাশিয়ার গভীরের হামলা চালানোর অনুমতি ইউক্রেন যুদ্ধের গতিপথ বদলে দিতে পারে।