হিজবুল্লাহ-ইসরাইল উত্তেজনা যখন চরমে, তখন তেল আবিবে রকেটের ব্যারেজ দিয়ে হামলা করেছে সশস্ত্র গোষ্ঠীটি। হিজবুল্লাহ বলছে, সব হামলাই করা হয়েছে তেল আবিব ও আশপাশের সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে। বিপরীতে লেবাননের বৈরুতেও হামলা বাড়িয়েছে ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী। জাতিসংঘ বলছে, পুরো যুদ্ধের মধ্যে বর্তমানে গাজার অবস্থা সবচেয়ে গুরুতর। ত্রাণের গাড়ি লুট হওয়ায় কার্যক্রম চালানোই কঠিন হয়ে পড়েছে।
আকাশ থেকে ইসরাইলের মাটিতে পড়ছে একের পর এক হিজবুল্লাহ'র ছোড়া রকেট। রকেটের ব্যারেজ পড়ে আগুন ধরে গেছে বিভিন্নস্থানে। হতাহত হয়েছেন অনেকে। রাজধানী তেল আবিবের রামাত গান শহরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ভবন, রাস্তাঘাট। ইসরাইলের উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত সেনাঘাঁটিগুলো লক্ষ্য করে লেবাননের দক্ষিণাঞ্চল থেকে বিরতিহীনভাবে ছোড়া হচ্ছে ড্রোন আর মিসাইল।
ইয়েমেন, ইরাক আর সিরিয়া থেকে ইসরাইল অভিমুখে ছোড়া হচ্ছে ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র। অন্যদিকে, একযোগে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাই্ল। লেবানন বা গাজার সাধারণ মানুষের ওপর থেমে নেই ইসরাইলি আগ্রাসন। লেবাননের দক্ষিণাঞ্চল আর বৈরুতে ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর হামলায় প্রাণ গেছে লেবাননের বেশ কয়েকজন সাধারণ মানুষের। এরমধ্যে শান্তি চুক্তির জন্য লেবাননে পৌঁছেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের দূত।
মধ্য গাজার শরণার্থী শিবিরগুলোতে হামলা করছে আইডিএফ। উত্তর গাজায় হামলায় প্রাণ গেছে একই পরিবারের অনেক সদস্যের। এদিকে, অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরাইলি সামরিক বুলডোজার বিস্ফোরক দিয়ে উড়িয়ে দেয়ার কথা জানিয়েছে ফিলিস্তিনের সশস্ত্র যোদ্ধা আল কুদস ব্রিগেড।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ বলছে, এই উপত্যকার পরিস্থিতি দিন দিন আরও নেতিবাচক হচ্ছে। গাজায় ত্রাণ প্রবেশেও বাঁধা দিচ্ছে ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী। জাতিসংঘ বলছে, ১৬ নভেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত ফিলিস্তিনিদের জন্য বহন করা প্রায় শতাধিক ত্রাণের গাড়িতে লুটপাট হয়েছে। এই পরিবেশে কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া একেবারেই কঠিন বলে জানিয়েছে ইউএনআরডব্লিউএ।
এদিকে, বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, তেহরানের পরমাণু প্রকল্পে হামলা করেছে ইসরাইল। ব্যালিস্টিক মিসাইলের উৎপাদন সক্ষমতা কমে গেছে সেই পরমাণু গবেষণা কেন্দ্রের।